৩৫ টি অদ্ভুত ওয়েবসাইট যা দেখলে আপনি অবাক হবেন
যতই দিন যাচ্ছে ততই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। স্ট্যাটিস্টা ওয়েবসাইটের মতে, বর্তমানে এক্টিভ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৪.৬৬ বিলিয়ন। ইন্টারনেট লাইভ স্ট্যাটাস ওয়েবসাইটে গেলে বর্তমানে কত ওয়েবসাইট চলমান আছে তা দেখতে পারবেন। বিশ্বব্যাপী এত ওয়েবসাইট এত ইউজার! এদের মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী কিছু ওয়েবসাইট থাকা অস্বাভাবিক নয়। এমন কিছু অদ্ভুত ওয়েবসাইট আছে যেগুলো দেখলে আপনি আশ্চর্য হয়ে যাবেন আবার কিছু ওয়েবসাইট আছে যেগুলো দেখলে আপনি আনন্দবোধ করবেন। এই ব্লগে অবাক করার মতো ৩৫ টি ওয়েবসাইটের কথা উল্লেখ করেছি, আশাকরি আপনারা এগুলো বেশ উপভোগ করতে পারবেন।
প্রথমেই আমি যে ওয়েবসাইটির কথা বলব, সেটি হলো নিনজা ফ্ল্যাক্স। এখানে প্রবেশ করলে আপনি পাশাপাশি দুটি ইমুজি দেখতে পাবেন, এছাড়া এখানে আর কিছুই নেই। একটি ইমুজিতে একজন মানুষ নাচছে অপরটিতে একটি বাহু উঠানামা করছে। আপনি যদি বাহুর ইমুজিতে স্পর্শ করেন তাহলে কেউ একজন বলবে ফ্ল্যাক্স আর মানুষের ইমুজিতে স্পর্শ করলে বলবে নিনজা।
আপনি রাগী মোডে আছেন, কাউকে থাপড়ানোর জন্য আপনার হাত নিশপিশ করছে। কিন্তু রিয়েল লাইফে মানুষকে চড়ানো অনেক কঠিন একটা দিলে দুইটা খেতে হয়। কিন্তু অনলাইনে থাপড়ালে কোন সমস্যা নেই, Eelslap এ গিয়ে মনের স্বাধ মিটিয়ে থাপড়ায়ে আসুন।
একটা ঘোড়ার পা কত লম্বা হতে পারে! কিন্তু এখানের ঘোড়ার পা যে এতো লম্বা হবে তা আগে বুঝতে পারিনি। এখানে গেলে আপনি দেখতে পারবেন কেউ একজন কিবোর্ডর স্যাম্বলে টাইপ করে একটা ঘোড়া বানিয়েছে। কিন্তু এর পা যে কতদিন সময় নিয়ে বানিয়েছে সেটা জানতে হলে আপনাকে এই সাইটে ভিজিট করতে হবে। আরো একটি অবাক করার বিষয় হলো এর ডোমেইন নিয়ে, সাধারণত একটি ডোমেইনের এক্সটেনশনে .com .net .org. .info থাকে কিন্তু এটার ডোমেইন হলো .horse
আরো পড়ুন : শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা দশটি অ্যাপস
আপনার টয়লেট পেপার শেষ হয়ে গেছে! কোন চিন্তা করবেন না। এখানে আপনি আনলিমিটেড টয়লেট পেপার পাবেন, যা আপনার সাড়া জীবনেও শেষ করতে পারবেন না। তবে তা ভার্চুয়াল (হা হা হা)
বেচারা কি ভেবে এই সাইট বানিয়েছিল কে জানে? তবে আমার মনে হয় সে ফেসবুকে লাইক কম পায় তাই এই কান্ড ঘটিয়েছে। সারাদিন তো ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে অনেক লাইক দেন এবার এখানে একটি লাইক দিয়ে আসুন, প্লিজ।
আমার কাছে এটিকে বেশ রহস্যময় মনে হয়। এখানে গিয়ে ভলিয়ম বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে কেউ একজন অদ্ভুত ভাবে আপনাকে ওয়েলকাম জানাবে। এছাড়াও চারপাশে ছয়টি রঙিন বল ঘুরতে থাকবে, মনে হয় কেউ হিপনোটাইজ করছে।
এখানে আপনি দাবা খেলার মতো একটি খেলা দেখতে পারবেন, আপনার কিছু করতে হবে না আপনা-আপনিই এটা খেলবে। এটা ঠিক কি খেলা আমি বুঝে উঠতে পারিনি, কেউ বুঝতে পারলে আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।
এইসব হাবিজাবি মানুষ কেন বানায় আমি বুঝি না, খেয়ে দেয়ে কাজ নাই শুধু সময় নষ্ট। এখানে গেলে আপনি দেখবেন রঙ বে-রঙের শেইপ দেখতে পারবেন, যেগুলো নিচের দিকে পড়ছে। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে মনে হবে আপনিও নিচের দিকে পড়ে যাচ্ছেন।
একটা ছবি কত জুম হতে পারে জানেন? এই ওয়েবসাইটে গেলে দেখতে পারবেন কিভাবে একটি ছবি জুম হয়। দেরি না করে তারাতাড়ি চলে যান এই সাইটে আর হারিয়ে যান রুপকথার কল্প রাজ্যে।
আরো পড়ুন : ক্রোম ব্রাউজারের অসাধারণ কয়েকটি টিপস ও ট্রিকস
এখানে শুধু ইংরেজিতে বড় অক্ষরে HUSTLIN লেখা আছে এছাড়া আর কিছুই নেই, আপনি স্ক্রিনে স্পর্শ করা মাত্রই একেকবার একেক আলো জ্বলবে এবং একটি কন্ঠ শুনতে পাবেন। কেউ একজন বলবে everyday I’m hostlin
আপনি এখানে একটা হাতের ইমুজি দেখতে পারবেন। যদি স্ক্রিনে টাচ করেন তাহলে দুটি আঙুল বড়-ছোট হবে। এছাড়া আর কিছুই এখানে নেই।
এই বাক্যটার বাংলা অনুবাদ করলে যা বুঝায় তা হলো, “আমার সম্পদসহ আমাকে কবর দিও।” এই ওয়েবসাইটে এটাই দেখানো হয়েছে। এখানে একটার পর একটা মানুষ উপর থেকে তার টাকাসহ নিচে পড়ে যায় আর কেউ একজন বলে উপরের কথাটি বলে।
নাম দেখেই হয়তো বুঝতে পারছেন এখানে আঁকিবুকি করা হয়। এটাতে প্রবেশ করলে আপনি স্ক্রিনে আঁকতে পারবেন, তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে যাই আঁকুন না কেন? কেউ একজন বলে দিবে আপনি কি আঁকছেন?
এখানে আপনি এমন ক্রসের মতো কিছু অ্যানিমেশন দেখতে পারবেন, মোবাইলস্ক্রিনে ছুঁয়ে দিলেই তা রঙ বদলাবে, এটা আসলে কি বুঝায় আমি জানিনা।
ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে cats and dogs raining এর বাংলা মানে হচ্ছে মুষলধারে বৃষ্টি। মুষলধারে বৃষ্টির ইংরেজি cat’s and dogs raining কেন সেটা জানিনা তবে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে আপনি বিড়ালের বৃষ্টি দেখতে পারবেন।
এই ওয়েবসাইটে গেলে আপনি একটি বড় বৃত্ত দেখতে পাবেন, আপনি বৃত্তটিকে চেপে ধরলে তা ভেঙে চারটি হয়ে যাবে। সেই চারটিকেও আবার ছোট করতে পারবেন, এটা এভাবে ছোট হতেই থাকবে।
এখানে গেলে আপনি RGB লেখাটি দেখতে পারবেন, সেখানে R এ ক্লিক করলে লাল কালার G তে ক্লিক করলে সবুজ ও B তে ক্লিক করলে ডিসপ্লে নীল হয়ে যাযে এছাড়াও একটি সাউন্ড শুনতে পাবেন।
বর্তমান বিশ্বে শীর্ষ ধনীর তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিল গেটস। কিন্তু তিনি এক সময় একটানা তের বছর প্রথম অবস্থানে ছিলেন। আচ্ছা সে যাইহোক, আপনাকে যদি বিল গেটসের সম পরিমাণ টাকা দেয়া হয় তাহলে আপনি কি করবেন? এই ওয়েবসাইটে চলে যান আর পেয়ে যান $100,000,000,000 ডলার। আর মনের ইচ্ছে মতো এটা সেটা কিনে খরচ করুন।
আরো পড়ুন : বিদেশি মুভি ডাউনলোড ও সাবটাইটেল যুক্ত করুন
এখানে প্রবেশ করলে আপনি তিনটি টাকলার ছবি দেখতে পারবেন, ছবিগুলোতে টাচ করলেই অদ্ভুত আওয়াজ শুনবেন।
এখানে একটি প্লেটে দুটো স্ন্যাকস দেখবেন, ওটা এক প্রকার তেলে ভাজা আমেরিকান খাদ্য। ওটাকে কর্ণ ডগ বলে। সেখানে যদি ক্লিক করেন তাহলে মিউজিক শুরু হবে।
এখানে আপনি দেখতে পারবেন অনেকগুলো বিড়াল, মাঝে মাঝে দু একটা বড় বিড়াল হেটে যাবে।
এখানে ঢুকলে WTF লেখাটি দেখতে পারবেন, উপরে দেখবেন যে Try anther ওখানে ক্লিক করলে অন্য একটি সাইটে নিয়ে যাবে, সেখানে গেলে দেখবেন কিছু ক্যাপসুল চক্রাকারে ঘুরছে, ক্যাপসুলে ক্লিক করলে দেখবেন সেফটিপিন চলে আসছে, ওখানে ক্লিক করলে আবার অন্যটা আসবে।
একটু পূর্বে আপনারা কর্ণ ডগ সম্পর্কে জানতে পারলেন, এই সাইটে গেলে আপনি বৃষ্টির মতো কর্ণ ডগ দেখতে পারবেন। এগুলো মানুষ কেন করে আমি বলতে পারবো না।
আরো পড়ুন : বাংলাদেশের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট সমূহ
এখানে প্রবেশ করলে আপনি উপরে একটা পোষ্টারে রোবট জাতীয় কিছু দেখবেন এবং নিচে একটি নীল রঙের বাটন পাবেন, সেখানে টিপ দিলেই কেউ একজন একটা চিৎকার দিয়ে বলবে নোওওওওওওওওও।
নাম দেখেই হয়তো বুঝে গেছেন যে অদৃশ্য গাভী কিংবা এরকম কোন কিছু আছে। এখানে আপনি কিছুই পাবেন না, তবে স্কিনে টাচ করলেই অদ্ভুত এক ডাক শুনতে পাবেন।
এই ওয়েবসাইটে সাপের মত একটি কালো আঙ্গুল দেখতে পারবেন, যেটা স্পর্শ করলে সাপের মত কিলবিল করবে। আপনি এটার কোডিং অ্যাম্বেড ও করতে পারবেন।
এখানে প্রবেশ করলে আপনার উইন্ডোতে হ্যাকিং করার মতো সংখ্যা ও ওয়ার্ড ভেসে আসবে। স্কিনে অথবা কিবোর্ডে স্পর্শ করলেই হ্যাকারদের মতো টাইপিং হবে। তবে আপনি যদি সত্যি সত্যিই হ্যাকিং শিখতে চান তাহলে আর চিন্তা নেই, আপনি এখানে হ্যাকিং শেখার জন্য কোর্সের লিংক পেয়ে যাবেন।
এখানে আপনি একটি রুমের ভেতর একটা গ্লাস ও একখন্ড পাথর দেখতে পারবেন। আপনি চাইলে পাথরটিকে গ্লাসের ভেতরে ঢুকাতে পারবেন তবে তা আবার বের হয়ে আসবে।
১৯৯৩ সালে উইন্ডোজ দেখতে কেমন ছিল তা জানার আগ্রহ থাকলে এই ওয়েবসাইটে চলে যান। আর ব্যবহার করে আসুন সেই পুরনো দিনের কম্পিউটার।
এই সাইট টা যে বানিয়েছে, সে মনে হয় অনেক দুষ্টু। এখানে প্রবেশ করে বিড়ালের ঝাকানাকা নাচ আর গান শুনে আসুন।
আমার কাছে এটাকে অনেকটা ব্লাক হুলের মতো হয়, আপনার যদি প্রচন্ড মন খারাপ অথবা আপনি যদি রাগান্বিত হয়ে থাকেন তাহলে এখানে আপনার ফিলিংস টাইপ করে scream বাটনে চাপ দিন আর আর্তনাদ শুনুন।
এটা মূলত শিক্ষণীয় ওয়েবসাইট। আপনি যদি ইংরেজি ভোকেবলারীতে কাঁচা হয়ে থাকেন তাহলে এর মাধ্যমে আপনার ভোকেবলারী গ্রো করতে পারবেন।
যদি জানতে পারেন আর কতদিন বাঁচবেন তাহলে কেমন লাগবে? খুব জানতে ইচ্ছে করে কবে মারা যাবেন। এখানে গিয়ে আপনার নাম, জন্ম তারিখ, উচ্চতা, ওজন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন দিয়ে সাবমিট করলে জানতে পারবেন আপনি কত তারিখে মারা যাবেন, আর কতদিন বাঁচবেন, এবং কত সেকেন্ড বাঁচবেন। খুব মজার ওয়েবসাইট তাই না। কিন্তু এসব বিশ্বাস করিয়েন না।
১৯৯১ সালের ৬ আগষ্ট টিম বার্নার্স লি সর্ব প্রথম ওয়েবসাইট তৈরি করেন। এটিতে শুধু এইচটিএমএল ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এটি আজও অবিকল আগের মতই আছে শুরুতে যেমন ছিল।
বর্তমানে পৃথিবীতে কোন বিমান কোথায় যাচ্ছে তা সরাসরি দেখতে পারবেন এমনকি নির্দিষ্ট বিমানের বিস্তারিত তথ্য ও পেয়ে যাবেন।