ছোট ছেলের জন্য চাকরি চান হাদিসুরের বাবা

ইউক্রেনের বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলায় জাহাজের প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান নিহত হওয়ায় অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে পরিবার। এই পরিস্থিতিতে তার বাবা-মা ছোট দুই ছেলের একজনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

হাদিসুরের ছোট ভাই তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, ‌‘আমার বাবা-মায়ের আয়-উপার্জনের একমাত্র সম্বল ছিল আমার ভাই। বাবা-মাকে দেখাশোনার মতো এখন আর কেউ নেই। আমরা দুই ভাই বেকার। আমাদের যদি একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, তাহলে বাবা-মা শান্তিতে থাকতে পারবেন। আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রী যাতে আমাদের পরিবারের প্রতি সুদৃষ্টি দেন।’

হাদিসুরের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সরকারের কাছে একটা আবেদন ছিল লাশ দেশে আনার, ছেলের লাশ পেয়েছি, দাফন করেছি। এখন সরকারের কাছে আরেকটি আবেদন, দুই ছেলের একজনকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়।’

বেতাগী উপজেলা নিবাহী অফিসার সুহৃাদ সালেহীন বলেন, ‘হাদিসুরের পরিবারের এ ক্ষতিপূরণ অপূরণীয়। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আবেদন জানাই তিনি যেন হাদিসুরের পরিবারে প্রতি খেয়াল রাখেন এবং তাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। আমি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’
বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই হাদিসুরের বিষয়টা গভীরভাবে উপলব্ধি করেছেন এবং ব্যথিত হয়েছেন। আশা করি, মন্ত্রণালয়ের অধীনে হাদিসুর রহমান চাকরি করতেন। তাদের তরফ থেকে সাহায্য সহযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। সেখানে নোঙর করা অবস্থায় গত ২ মার্চ জাহাজটি রকেট হামলার শিকার হয়। ওই হামলায় প্রাণ হারায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান। সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টায় তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হাদিসুরের মরদেহ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আসে। লাশ গ্রহণ করেন হাদিসুরের ছোট ভাইগোলাম মাওলা প্রিন্স। রাত পৌনে ১০টার দিকে লাশ নিয়ে আসা হয় কদমতলা গ্রামে। এরপর মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় বেতাগী উপজেলার কদমতলা গ্রামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মানুষের ঢল নামে।

Leave a Reply