জমি মাপার জন্য প্রয়োজনীয় সূত্রাবলী Formulas required for measuring land

১ম অধ্যায়
শতক/শতাংশ/ ডিসিমিলের সূত্রঃ
১০০০ বর্গলিংক (সংযুগ) = ১ শতক (চেনের ÿেত্রে)
৪৩৫.৬ বর্গফুট = ১ শতক (ফিতার ÿেত্রে)
১৯৩.৬ বর্গহাত = ১ শতক (হাতের ÿেত্রে)
৪৮.৪৭ বর্গগজ = ১ শতক (গজের ÿেত্রে)
৪০.৪৭ বর্গমিটার = ১ শতক (মিটারের ÿেত্রে)
[নোট ঃ শতকের ১০০ ভাগের এক একটা ভাগকে সেন্ট বলে]

একরের সূত্র
১০ বর্গচেইন = ১ একর ৪৩৫৬০ বর্গফুট = ১ একর
১৯৩৬০ বর্গহাত = ১ একর ৪৮৪০ বর্গগজ = ১ একর
৪০৪৭ বর্গমিটার = ১ একর ১০০ শতক = ১ একর

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক মাপের কানি গন্ডার হিসাব
কানির সূত্র ঃ গন্ডার সূত্র ঃ কড়ার সূত্র ঃ
১৭২৮০ বগফুট = ১ কানি ৮৬৪ বর্গফুট = ১ গন্ডা ২১৬ বর্গফুট = ১ কড়া
৭৬৮০ বর্গহাত = ১ কানি ৩৮৪ বর্গহাত = ১ গন্ডা ৯৬ বর্গহাত = ১ কড়া
১৯২০ বর্গগজ = ১ কানি ৯৬ বর্গগজ = ১ গন্ডা ২৪ বর্গগজ = ১ কড়া
১৬০০ বর্গমিটার = ১ কানি ৮০ বর্গমিটার = ১ গন্ডা ২০ বর্গমিটার = ১ কড়া
৮০ কড়া = ১ কানি ৪ কড়া = ১ গন্ডা ৩ কন্ট = ১ কড়া
৪০ শতক =১ কানি ২ শতক = ১ গন্ডা ০.৫ শতক = ১ কড়া
জমি মাপার পদ্ধতি
[চলমান পৃষ্টা ঃ ১]
কন্টের সূত্র ঃ দন্তের সূত্র ঃ
৭২ বর্গফুট = ১ কন্ট ১২ বর্গফুট = ১ দন্ত
৩২ বর্গহাত = ১ কন্ট ৫.৩৩ বর্গহাত = ১ দন্ত
৮ বর্গগজ = ১ কন্ট ১.৩৩ বর্গগজ = ১ দন্ত
৬.৬৬ বর্গ মি. = ১ কন্ট ১.১১ বর্গমিটার = ১ দন্ত
৬ দন্ত = ১ কন্ট

গন্ডা থেকে কড়াঃ গন্ডা থেকে কন্টঃ গন্ডা থেকে দন্ত ঃ
০.২৫ গন্ডা = ১ কড়া ০.০৮৩ গন্ডা = ১ কন্ট ০.০১৩ গন্ডা = ১ দন্ত
০.০৫ গন্ডা = ২ কড়া ০.১৭ গন্ডা = ২ কন্ট ০.২৬ গন্ডা = ২ দন্ত
০.৭৫ গন্ডা = ৩ কড়া ০.৩৯ গন্ডা = ৩ দন্ত
০.৫৩ গন্ডা = ৪ দন্ত
০.৬৩ গন্ডা = ৫ দন্ত
বিঘা কাঠার হিসাব ঃ
২০ তিল = ১ ক্রন্তি
৩ ক্রান্তি = ১ কড়া
৪ কড়া = ১ ছটাক
২০ গন্ডা = ১ ছটাক
১৬ ছটাক = ১ কাঠা
২০ কাঠা = ১ বিঘা

বিঘার সূত্র ঃ কাঠার সূত্র ঃ
৩৩০০০ বর্গলিংক = ১ বিঘা ১৬৫০ বর্গলিংক = ১ কাঠা
১৪৪০০ বর্গফুট = ১ বিঘা ৭২০ বর্গফুট = ১ কাঠা
৬৪০০ বর্গহাত = ১ বিঘা ৩২০ বর্গহাত = ১ কাঠা
১৬০০ বর্গগজ = ১ বিঘা ৮০ বর্গগজ = ১ কাঠা
১৩৩৬ বর্গমিটার = ১ বিঘা ৬৬.৭৮ বর্গমিটার = ১ কাঠা
৩৩ শতক = ১ বিঘা ১৬ ছটাক = ১ কাঠা
২০ কাঠা = ১ বিঘা

ছটাকের সূত্র ঃ গন্ডার সূত্র ঃ
১০৩ বর্গলিংক = ১ ছটাক ৫.১৫ বর্গলিংক = ১ গন্ডা
৪৫ বর্গফুট = ১ছটাক ২.২৫ বর্গফুট = ১ গন্ডা
২০ বর্গহাত = ১ ছটাক
৫ বর্গগজ = ১ ছটাক
৪.১৬ বর্গ মি. = ১ ছটাক [চলমান পৃষ্টা ঃ ২]
বিভিন্ন এককের তুলনামূলক সমাধান ঃ
১ লিংক = ০.৬৬ ফুট ১ বর্গলিংক = ০.৪৩৫৬ বর্গফুট
[নোট ঃ বর্গলিংককে ০.৪৩৫৬ দ্ধারা গুণ করলে বর্গফুট পাওয়া যাবে।]
[নোট ঃ বর্গফুটকে ০.৪৩৫৬ দ্ধারা গুণ করলে বর্গলিংক পাওয় যাবে।]
১ হাত = ১৮ ইঞ্চি ১ হাত = ১.৫ ফুট ১ বর্গহাত = ২.২৫ বর্গফুট
[নোট ঃ বর্গফুটকে ২.২৫ দ্ধারা ভাগ করলে বর্গহাত পাওয়া যাবে।]
[নোট ঃ বর্গহাতকে ২.২৫ দ্ধারা গুণ করলে বর্গফুট পাওয়া যাবে।]
১ গজ = ২ হাত ১ বর্গগজ ৪ বর্গহাত
[নোট ঃ বর্গহাতকে ৪ দ্ধারা ভাগ করলে বর্গগজ পাওয়া যাবে।]
[নোট ঃ বর্গগজকে ৪ দ্ধারা গুণ করলে বর্গহাত পাওয়া যাবে।]
১ গজ = ৩ ফুট ১ বর্গগজ = ৯ বর্গফুট
[নোট ঃ বর্গফুটকে ৯ দ্ধারা ভাগ করলে বর্গগজ পাওয়া যাবে।]
মিটার ঃ হেক্টরের সূত্র ঃ এয়রের সূত্র ঃ
১ মি. = ৩৯.৩৭ ইঞ্চি ১০,০০০ বর্গমিটার = ১ হেক্টর ১০০ বর্গমিটার = ১ এয়র
১ মি. = ৩.২৮ ফুট ২৪৭ শতক = ১ হেক্টর
১ মি. = ১.০৯ গজ ১০০ এয়র = ১ হেক্টর
১ মি. = ২.১৮ হাত ২.৪৭ একর = ১ হেক্টর

২য় অধ্যায়
জ্যামিতিক সূত্র ঃ

আয়তÿেত্রের সূত্র ঃ বর্গÿেত্রের সূত্র ঃ
ÿেত্রফল = দৈর্ঘ্য  প্রস্থ ১/. ÿেত্রফল = বাহু বাহু
পরিসীমা = ( দৈর্ঘ্য + প্রস্থ )  ২ ২/. বাহু = ÿেত্রফল
৩/. কর্ণ = বাহু ২
৪/. বাহু = কর্ণ ২
৫/. পরিসীমা = বাহু  ৪
৬/. বাহু = পরিসীমা  ৪
সামান্তরিকের সূত্র ঃ
১/. ÿেত্রফল = ভ‚মি  উচ্চতা
২/. উচ্চতা = ÿেত্রফল  ভূমি
৩/. ভ‚মি = ÿেত্রফল  উচ্চতা

রম্বসের সূত্রঃ অনিয়মিত চতুর্র্ভূজের সূত্রঃ
১/. ÿেত্রফল = ভ‚মি  উচ্চতা ১/. ÿেত্রফল = ২ দৈর্ঘ্যরে সমষ্টি  ২  ২ প্রস্থের সমষ্টি  ২
২/. ÿেত্রফল = বড় কর্ণ  ছোট কর্ণ  ২ ২/. ÿেত্রফল = (১ম অপসেট + ২য় অপসেট)  কর্ণ  ২
৩/. বড় কর্ণ = ÿেত্রফল  ২  ছোট কর্ণ ট্রাপিজিয়ামের সূত্রঃ
৪/. ছোট কর্ণ = ÿেত্রফল  ২  বড় কর্ণ ১/. ÿেত্রফল = সামান্তরাল দুইটি বাহুর সমষ্টি  উচ্চতা  ২
৫/. ভ‚মি = ÿেত্রফল  উচ্চতা ২/. উচ্চতা = ÿেত্রফল  ২  সমান্তরাল দুইটি বাহুর সমষ্টি
৬/.উচ্চতা = ÿেত্রফল  ভ‚মি ৩/. সমান্তরাল ২টি বাহুর সমষ্টি = ÿেত্রফল  ২  উচ্চতা

ত্রিভুজের সূত্র ঃ
সমবাহু ত্রিভুজ ঃ সমবাহু ত্রিভুজ ঃ
১/. ÿেত্রফল = ভূমি  উচ্চতা  ২ ১/. ÿেত্রফল =৩  ৪  (ব্যাসার্ধ্য)২
২/. ভূমি = ÿেত্রফল  ২  উচ্চতা ২/. ঊাহু =  ÿেত্রফল  ৪ ৩
৩/. উচ্চতা = ÿেত্রফল  ২  ভ‚মি ৩/. পরিসীমা = বাহু  ৩
৪/. অতিভ‚জ = (উচ্চতা)২ + (ভ‚মি)২ ৪/. বাহু = পরিসীমা  ৩
৫/. উচ্চতা =  (অতিভ‚জ)২ -( ভ‚মি)২
৬/.ভূমি =  (অতিভ‚জ)২ – (উচ্চতা)২
বিষম বাহু ঃ
১/. ÿেত্রফল = ং (ং-ধ)(ং-ন)(ং-প)
ঝ=ংবসর = অর্ধ পরিসীমা
অ = ১ম বাহু, ন = ২য় বাহু, প = ৩য় বাহু

বৃত্তের সূত্র ঃ
১/. ÿেত্রফল = ব্যাসার্ধ্য  ব্যাসার্ধ্য  ২২  ৭ ৎ২ ২/. ÿেত্রফল = (ব্যাস)২  ১১  ১৪
৩/. ÿেত্রফল = (পরিধি)২ ৭  ৮৮ ৪/. ÿেত্রফল = ব্যাস  পরিধি  ৪
৫/. পরিধি = ÿেত্রফল  ৮৮  ৭ ৬/.পরিধি = ÿেত্রফল  ৪  ব্যাস
৭/. পরিধি = ব্যাস  ২২  ৭ ৮/. পরিধি = ব্যাসার্ধ্য  ৪৪  ৭
৯/. ব্যাস = ÿেত্রফল  ৪  ১১ ১০/. ব্যাস = ÿেত্রফল  ৪  পরিধি
১১/. ব্যাস = ব্যাসার্ধ্য  ২ ১২/. ব্যাস = পরিধি  ৭  ২২
১৩/. ব্যাসার্ধ্য = ÿেত্রফল  ২২  ৭ ১৪/. ব্যাসার্ধ্য = ব্যাস  ২
১৫/. ব্যাসার্ধ্য = পরিধি  ৭  ৪৪

উপবৃত্ত ও অর্ধউপবৃত্তের সূত্র ঃ
উপবৃত্তের সূত্র ঃ

অর্ধউপবৃত্তের সূত্র ঃ
১/. ÿেত্রফল = বড় অÿ  ২  ছোট অÿ  ২  ২২  ৭
২/. বড় অÿ = ÿেত্রফল  ২৮  ছোট অÿ  ২২
৩/. ছোট অÿ = ÿেত্রফল  ২৮  বড় অÿ  ২২

গন্ডা থেকে কানি ঃ
১ গন্ডা = ০.০৫ কানি ২গন্ডা = ০.১০ কানি
৩ গন্ডা = ০.১৫ গন্ডা ৪ গন্ডা = ০.২০ কানি
৫ গন্ডা = ০.২৫ কানি ৬ গন্ডা = ০.৩০ কানি
৭ গন্ডা = ০.৩৫ কানি ৮ গন্ডা = ০.৪০ কানি
৯ গন্ডা = ০.৪৫ কানি ১০ গন্ডা = ০.৫০ কানি
১১ গন্ডা = ০.৫৫ কানি ১২ গন্ডা = ০.৬০ কানি
১৩ গন্ডা = ০.৬৫ কানি ১৪ গন্ডা = ০.৭০ কানি
১৫ গন্ডা = ০.৭৫ কানি ১৬ গন্ডা = ০.৮০ কানি
১৭ গন্ডা = ০.৮৫ কানি ১৮ গন্ডা = ০.৯০ কানি
১৯ গন্ডা = ০.৯৫ কানি ২০ গন্ডা = ১ কানি ।

———————-০০০০০০—————————০০০০০০————————–
১ম অধ্যায়

১/. শিকল কাহাকে বলে?
উত্তর ঃ ধাতব বস্তু দ্ধারা সুবিধাজনক অবন্থায় নির্মিত যে যন্ত্রের সাহায্যে জমিনের মাপ বা জমিনের পরিমাপ নির্ণয় করা হয় তাকে শিকল বলে।
২/.শিকল কত প্রকার ও কী কী? প্রমান সহ বিশেøষন করুন।
উত্তর ঃ শিকল ৪ প্রকার ঃ
১/. গান্টার শিকল ,
২/. বিঘা কাঠা শিকল,
৩/. স্থপতি শিকল / ইঞ্জিনিয়ারিং শিকল।
৪/. মিটার শিকল।
১).গান্টার শিকলঃ ফরাসী বিজ্ঞানী ডঃ এডমন্ট গান্টার সাহেব এ শিকল আবিষ্কার করেন। তার নাম অনুসারে এ শিকলের নাম রাখা হয় গান্টার শিকল। এই শিকলের দৈর্ঘ্য ৭৯২ ইঞ্চি বা ৬৬ ফুট বা ৪৪ হাত বা ২২ গজ বা ২০.১২ মিটার। এই শিকল ১০০ ভাগে ভাগ করা, প্রতি ভাগকে লিংক বা কড়ি বলে। প্রতি লিংকের দৈর্ঘ্য ৭.৯২ ইঞ্চি বা ০.৬৬ ফুট বা ০.৪৪ হাত বা ০.২২ গজ বা ০.২০১২ মিটার। [নোট ঃ ০.৬৬ দ্ধারা গুণ করলে ফুট পাওয়া যায়।]

২). বিঘা কাঠা শিকল ঃ বিঘা কাঠা শিকল ভারতের বিজ্ঞানী বিঘুরাম দাস এ শিকল আবিষ্কার করেন। তার নাম অনুসারে এ শিকলের নাম রাখা হয়, বিঘা কাঠা শিকল। এ শিকলের দৈর্ঘ্য ৩৬০ ইঞ্চি বা ৩০ ফুট বা ২০ হাত বা ১০ গজ বা ৯.৪৮ মিটার। এ শিকল ৪০ ভাগে ভাগ করা। প্রতি ভাগকে লিংক বা কড়ি বলে। প্রতি লিংকের দৈর্ঘ্য ৯ ইঞ্চি।
৩). স্থপতি শিকল ঃ ফ্রান্সের বিঞ্জানী ল্যাভয়সিঁয়ে এ শিকল আবিষ্কার করেন । এ শিকলের দৈর্ঘ্য ১২০০ ইঞ্চি বা ১০০ ফুট বা ৬৬.৬৬ হাত বা ৩৩.৩৩ গজ বা ৩০.১৪৪ মিটার এ শিকল ১০০ ভাগে ভাগ করা, প্রতি লিংকের দৈর্ঘ্য ১২ ইঞ্চি বা ১ ফুট।
৪). মিটার শিকল ঃ বৃটিশ সরকার সর্বপ্রথম এ শিকল দিয়ে মাপের কাজ শুরু করেন।
মিটার শিকল আবার ২ প্রকার ঃ
১/. বড় মিটার শিকল — ৩০ মিটার
২/. ছোট মিটার শিকল — ২০ মিটার।
উভয় শিকল ১০০ ভাগে ভাগ করা প্রতি ভাগকে লিংক বা কড়ি বলে। বড় মিটার শিকলে ১ লিংকের দৈর্ঘ্য ৩০ সে.মি.। ছোট মিটার শিকলে ১ লিংকের দৈর্ঘ্যে ২০ সে.মি.।

২য় অধ্যায়

১/. আমিন কাহাকে বলে? ইহার বিশেøষণ করুন।
উত্তর ঃ আমিন আরবি শব্দ এর অর্থ বিশ্বাস। যে ব্যাক্তি বিস্বস্থতার সাথে যেকোন জিনিসের সঠিক পরিমাপ বা পরিমান নির্ণয় করে থাকে তাকে আমিন বলে।
বিশেøষণ ঃ আরবের লোকেরা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে আল আমিন হিসাবে ডাকতেন কারন আরবের লোকেরা হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর নিকট মূল্যবান অর্থ সম্পদ জমা রাখতেন। এ সকল অর্থ সম্পদ যেভাবে জমা রাখতেন সেই ভাবে ফেরত পাইতেন বলেই তাকে আল আমিন হিসেবে ঘোষিত করে।
২/. জরিপ বিদ্যা কাহাকে বলে? কোথায় কিভাবে জরিপের উৎপত্তি ঘটেছে আলোচনা করুন।
উত্তর ঃ যে পু¯Íক পাঠ করে যে কোন জিনিসের সঠিক পরিমাট বা পরিমান সম্পর্কে অবগত হওয়া যায় তাকে জরিপ বিদ্যা বলে।
উৎপত্তি ঃখ্রিঃ পূঃ ৩০০ সাল নাগাদ প্রাচীন সভ্য দেশ মিশরে উৎপত্তি ঘটে। মিশরের নিল নদের অববাহিকা প্রতি বছর বর্ষাকালে বন্যা হত। এ বন্যার পলি মাটির চাপে জমিনের সীমানা বিলীন হয়ে যেত ফলে ঝগড়াÑবিবাদ, মামলাÑমোকদ্দমা লেগে থাকত, এ সকল মামলা মোকদ্দমা মিমাংশা করার জন্য মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ইউক্লিড রিম্যান, পীথাগোরাস, প্লেটো, এরিস্টটল এরাই জরিপের উৎপত্তি ঘটান।

৩য় অধ্যায়

১/.খাসজমি কাহাকে বলে? খাসজমির বৈশিষ্ট্য আলোচনা করুন।
উত্তর ঃ যে সকল ভূমি ১ নং খতিয়ান এবং ভূমি অফিসে ৮নং বইয়ে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে খাসজমি বলে।
খাসজমির বৈশিষ্ট্য ঃ
ও) যে সকল ভূমি বন্দোব¯Í দেওয়ার উপযুক্ত ঐ সকল ভূমি ১ নং খতিয়ানের ক এ লিপিবদ্ধ করা হয়।
যেমন ঃ নালজমি, বসতবাড়ি, ভিটা ইত্যাদি ।
ওও) ে য সকল ভূমি রেলওয়ে অন্তর্ভুক্ত ঐ সকল ভূমি ১নং খতিয়ানের গÑএ লিপিবদ্ধ করা হয়। যেমন ঃ রেলওয়ে যায়গা।
ওওও) যে সকল ভূমি মেয়াদী বন্দোব¯Í দেওয়া হয় ঐ সকল ভূমি ১নং খতিয়ানের গÑএ লিপিবদ্ধ করা হয়। যেমন ঃ হাট বাজার, জলাসয়, খেয়াঘাট ইত্যাদি।
ওঠ) যে সকল ভূমি বন্দোব¯Í দেওয়ার উপযুক্ত হয় ঐ সকল ভ‚মি ১নং খতিয়ানের খ Ñ এ লিপিবদ্ধ করা হয়। যেমন ঃ মসজিদ, মন্দির, শশ্মান, গোরস্থান ইত্যাদি।

৪র্থ অধ্যায়

১/. প্রতিবন্ধক কাহাকে বলে? বিভিন্ন রকমের প্রতিবন্ধক অতিক্রম করার উপায় আলোচনা করুন।
উত্তর ঃ জরিপ করিবার সময় সিকল লাইনের উপরে যে সকল বাধা বিগ্ন সৃষ্টি হয় তাকে প্রতিবন্ধক বলে।
জরিপ করিবার সময় সিকল লাইনের উপরে সাধারনত তিন ধরনের প্রতিবন্ধক দেখা যায় ঃ
ক). যে সকল প্রতিবন্ধকের উপর দিয়া বিপরীত বাহু দেখা যায় সরাসরি মাপা যায় না কিন্তু ঘুড়িয়া মাপা যায় এদের মধ্যে
পুকুর, জলাশয় ইত্যাদি।
খ). যে সকল প্রতিবন্ধকের উপর দিয়া বিপরীত বাহু দেখা যায় না সরাসরি মাপাও যায় না কিন্তু ঘুড়িয়া মাপা যায় এদের
মধ্যে বিল্ডিং, পাহার, টিলা ইত্যাদি।
গ). যে সকল প্রতিবন্ধকের উপর দিয়া বিপরীতধিক দেখা যায় কিন্তু সরাসরি বা ঘুড়িয়া মাপা যায় না, এদের মধ্যে নদী, খাল
ইত্যাদি।

১নং প্রতিবন্ধক অতিক্রম করার উপায় ঃ-
মনেকরি, জরিপ দল “অই” শিকল রেখার ই বিন্দুতে একটি পুুকুর দ্ধারা বাধা প্রাপ্ত হইল,
এখন পুকুর অতিক্রম করতে হলে, অই শিকল রেখার ই বিন্দুতে ইঈ একটি রেখা টানি। ইঈ সরলরেখার ঈ বিন্দুতে
ঈউ আরেকটি লম্ব টানি, আবার ঈউ সরলরেখার উ বিন্দুতে প্রদত্ত ইঈ বাহুর সমান করে একটি উঊ রেখা টানি, এবার ইঊ যোগ করি (কাল্পনিক যোগ) ইঈউঊ আয়তÿেত্রে বিপরীত কোণদ্বয় সমান এবং প্রতিটি কোন সমকোন এবং ইঈ = উঊ, ঈউ = ইঊ যেহেতু ইঊ = ঈউ সেহেতু ঈউ এর মাপ নিলেই আমরা ইঊ বা পুকুরের মাপ পেয়ে যাব।
২নং প্রতিবন্ধক অতিক্রম করার উপায় ঃ-
২নং প্রতিবন্ধক অতিক্রম করার উপায়ের ক্ষেত্রে, ১নং বিশেøষণ প্রযোজ্য।
৩নং প্রতিবন্ধক অতিক্রম করার উপায় ঃ-
মনেকরি, জরিপ দল অই শিকল রেখার ই বিন্দুতে একটি নদী দ্ধারা বাধা প্রাপ্ত হইল, এখন নদী অতিক্রম করতে হলে
অই শিকল রেখার সুজাসুজি নদীর বিপরীত দিকে একটি ঈ বিন্দুতে একটি নিশান দিতে হবে। এবার অই শিকল রেখার সুজাসুজি নদীর বিপরীত দিকে একটি ঈ বিন্দুতে একটি নিশান দিতে হবে। এবার অই শিকল রেখার ই বিন্দুতে ইউ একটি লম্ব টানি, ইহাকে ঊ বিন্দুতে সমদ্ধিখন্ডিত করে আরেকটি নিসান পুঁতে রাখি। এবার নদীকে সামনে রাখিয়া ঈ এবং
ঊনিসানের দিকে লÿ্য রেখে উ বিন্দু থেকে লম্বীক দূরত্বে পিছনের দিকে হাঁটতে থাকি, যখনই দেখা যাবে যে, ঈ এবং ঊ নিসান একই রেখাই মিলিত হয়েছে তখনই ঔ স্থানকে ঋ বিন্দুতে চিহ্নিত করি, ইঈ যোগ করি (কাল্পনিক যোগ)।
২/. বহুভুজ কাহাকে বলে?
উত্তর ঃ- একাধিক বাহু দ্ধারা সিমাবদ্ধ স্থানকে বহুভুজ বলে। বহুভূজের বাহু সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকেনা বিধায় ইহার ÿেত্রফল বাহির করার নির্দিষ্ট কোন সূত্রও পাওয়া যায় না। ইহার ক্ষেত্রফল বাহির করতে হলে চতুভূজ, ত্রিভুজ, বৃত্ত ও উপবৃত্তের

৫ম অধ্যায়

সংজ্ঞা লিখ ঃ স্টেশন, অপসেট, অপসেট স্কেল, সিকমি লাইন, থৌকা লাইন. ডিমার কেশন, মৌরাব্বা, কাঠান, খানাপুরী, দলিল, খতিয়ান, মটবুঝারত, নকশা, পর্চা, সিট, ছুটদাগ, ভাটাদাগ, ফিল্ডবুক, দূরবিÿন, ডিগ্রি, চান্দিনা, ÿুদ্রজরিপ, জমা খারিজ, পরিচালক এবং অনুসারক, রেভে নিউ সার্ভে, মৌজা সিকস্থি , পায়স্থি , ওয়াকফ, মোতোয়ালিø।

১/.

২/. অপসেট ঃ অপসেট অর্থ দূরত্ব। দূরত্ব বা অপসেট বলিতে যে কোন দুটি স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্বকে বোঝানো হয়।
অপসেট দুই প্রকার ঃ
ক). তীর্যক দূরত্ব খ). লাম্বিক দূরত্ব।
৩/. অপসেট স্কেল ঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে জমিনের মাট নকসা থেকে পাওয়া যায় তাকে অপসেট স্কেল বলে। ইহাকে গুণিয়া বা
রাইট এঙ্গেল রুলারও বলে।
৪/. সিকমি লাইন ঃ জারপ ারিবার সময় স্টেশনের চতুর্দিকের যে কোন দিকে এক সিকল বা এক ফিতা পরপর যে দাগ কাটা
হয় তাকে সিকমি লাইন বলে।
৫/. থৌকা লাইন ঃ মৌজার সিমানা নিশ্চিত ভাবে বুঝার জন্য নকশার বাউন্ডারি রেখার বাইরে প্রথমে এক চেইন পরে
পাঁচ চেইন অন্তর যে লাইন টানা হয় তাকে থৌকা লাইন বলে।
৬/. ডিমার কেশন ঃ দুইটি স্থান বা দুইটি রাজ্যের মধ্যবর্তী সিমানা ব্যাপক চিহ্নকে ডিমার কেশন বলে।
৭/. মৌরাব্বা ঃ আরবি আরবা থেকে মৌরাব্বা শব্দের উৎপত্তি। জরিপ করিবার সময় জরিপের সুবিধার্থে মৌজাকে কয়েকটি
চতুর্ভূজে ভাগ করা হয়। এর এক একটি ভাগকে এক একটি মৌরাব্বা বলে।
৮/. কাঠান ঃ জরিপ করিবার সময় শিকল বা ফিতা যে স্থান দিয়ে জমিনের আইল ছেদ করিয়া বা কাটিয়া যায় তাকে
কাঠান বলে।
৯/. খানাপুরী ঃ খঅনাপুরী অর্থ খালিস্থান পূরন, দলিল, খতিয়ান, নকশা বা যে কোন জিনিসের খালিস্থান পূরণ করাকে
খানাপুরী বলে।
১০/. দলিল ঃ স্ট্যামভুক্ত যে কাগজ ক্রেতা বিক্রেতার নাম, টিমা, ঠিকানা, ক্রয় বিক্রয় জিনিসের মূল্য বিবরন উপস্থিতি,
ব্যাক্তিদের সাÿর এবং লেখকের পূর্নাঙ্গ নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে দলিল বলে।
১১/. খতিয়ান ঃ যে কাগজে এক বা একাধিক ব্যক্তির জন্য এক বা একাধিক ভ’মি এক সাথে যে রেকর্ড সৃষ্টি করা হয় তাকে
খতিয়ান বলে।
১২/. পর্চা ঃ দলিল, খতিয়ান বা যে কোন জিনিসের হুবহু নকলকে পর্চা বলে।

১৩/. মঠবুঝারত ঃ অর্থ স্থানিয় মুকাবিলা, কানুনগো, অফিসার স্বরেজমিনে গিয়া প্রজা, তহসিলদার আমিনের
মোকাবেলায় খতিয়ানে যে ভুল সংযোজন করে থাকে তাকে মঠবুঝারত বলে।
১৪/. নকশা ঃ অর্থ প্রতিচ্ছবি, যে কোন মৌজা নির্দিষ্ট স্কেল মোতাবেক সংকোচিত করিয়া একই কাগজে অংকন করাকে
নকশা বলে।
১৫/. সিট ঃ যে কোন মৌজা একটি কাগজে অংকন করা সম্ভব হয় না বিদায় ইহাকে একাধিক কাগজে অংকন করা হয়, এর
এক একটি কাগজকে এক একটি সিট বলে।
১৬/. ছোট দাগ ঃ নকশা অংকনের সময় ভুলক্রমে কোন নাম্বার বাদ পরে গেলে ঐ বাদকৃত নাম্বার লিপিবদ্ধ করা থাকে।
তবে ছোটদাগে কোন জমি পাওয়া যাবে না।
১৭/. ভাটাদাগ ঃ নকশা অংকনের সময় ভুল ক্রমে কোন জমিনের নাম্বার বাদ পড়ে গেলে ঐ বাদকৃত জমিনে সর্বশেষ যে
নাম্বার টিকে বসে তাকে ভাটাদাগ বলে। ভাটাদাগ নকশার একপাশে লিপিবদ্ধ করা থাকে। ভাটাদাগে জমিন
পাওয়া যাবে।
১৮/. ফিল্ডবুক ঃ জরিপ করিবরি সময় ভ‚মির সমস্যাবলি যে বইয়ে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে ফিল্ডবুক বলে।
১৯/. দূরবিÿন ঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে দূর বস্তু কাছে দেখা যায় তাকে দূরবিÿন বলে।
২০/. ডিগ্রি ঃ গোলাকার পৃথিবীকে ৩৬০০ ভাগে ভাগ করা হয়েছে এর এক একটি ভাগকে এক একটি ডিগ্রি বলে।
২১/. চান্দিনা ঃ হাট বা বাজারে দোকান বা মার্কেট করার জন্য নির্ধারীত স্থানকে চান্দিনা বলে।
২২/. ÿুদ্র জরিপ ঃ যে জরিপ সংÿিপ্ত আকারে করা হয় তাকে ÿুদ্রজরিপ বলে,ইহাকে দিয়ারা বা মাইনর জরিপও বলা হয়।
২৩/. জমা খারিজ ঃ ১৬ আনা জোতের ভ‚মি হইতে কোন ব্যাক্তি পৃথক ভাবে খাজনা দেওয়ার জন্য সরকার বা জমিদার
থেকে যে অনুমতি পেয়ে থাকে তাকে জমা খারিজ বলে, ইহাকে নাম জারিও বলা হয় বা ইমিটেশনও বলা হয়।
২৪/. পরিচালক এবং অনুসারক ঃ জরিপ করিবার সময় শিকল বা ফিতা নিয়া যে ব্যক্তি আগে যান তাকে পরিচালক বলে
আর যিনি পিছনে পিছনে যান তাকে অনুসারক বলে।
২৫/. রেভে নিউ সার্ভে ঃ ১৭৬৫ সালে মতান্তরে (১৭৯৩) যে সকল স্থান বা মহল স্থায়ীভাবে নিসপত্তী হয়েছিল তাকে রেভে
নিউ সার্ভে বলে, এর জরিপ করেছিলেন মেজর জন বেনেল, এজন্য তাকে বলা হত জরিপের কৃতির্ত পুরুষ।
২৬/.মৌজা ঃ রেভে নিউ সার্ভে দ্ধারা সীমাবদ্ধ স্থানকে মৌজা বলে।
২৭/. সিকস্থি ঃ নদী বা সাগরের গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়া জায়গাকে সিকস্থি বলে।
২৮/. পায়স্থি ঃ নদী বা সাগরের গর্ভে জেগে ওঠা চরকে পায়স্থি বলে।
২৯/. ওয়াকফ ঃ ধর্মীয় কাজ বা সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে উৎসর্গকৃত ভূমিকে ওয়াকফ ভূমি বলে, যিনি দান করে থাকেন
তাকে ওয়াকিফ বলে।
৩০/. মোতোয়ালিø ঃ ওয়ারিসকৃত সম্পদ যে ব্যাক্তির নামে রাখা হয় তাকে মোতোয়ালিø বলে। মোতোয়ালিø বংসানুক্রমেও
হতে পারে অথবা ওয়াকিয়া নিজেও মোতোয়ালিø হতে পারে।

৬ষ্ট অধ্যায়
জরিপ ঃ
আমাদের প্রথম জরিপ হয়েছিল –
১৭৬৫ Ñ রেভে নিউ সার্ভে (সিট, খতিয়ান ব্যতিত)
১৮৩২ Ñ মগী জরিপ (সিট, খতিয়ান ব্যতিত)
১৮৮৮ Ñ পরীÿামূলক জরিপ = উ.ই
১৮৯০ Ñ ঈ.ঝ = পধফধংঃৎধষ ংঁৎাবু
উ.ঝ = ফরংঃৎরপঃ ংঁৎাবু
১৯২২ Ñ১৯৪০ Ñ জ.ঝ = ৎরারঃরড়হধষ ংঁৎাবু
১৯৫০ Ñ চ.ঝ = চধশরংঃধহ ংঁৎাবু (ঈযরঃঃধমড়হম)
Ñ ঝ.অ = ংঃধঃব ধপয়ঁরংরঃরড়হ (উযধশধ)
১৯৬৫ Ñ ১৯৬২ Ñগ.জ.জ = সড়ফরভু ৎবহঃ ৎড়ষষং
১৯৭৫ Ñই.ঝ = ইধহমষধফবংয ংঁৎাবু

৭ম অধ্যায়
ফারায়েজ বা মুসলিম পারিবারিক আইন
১/. ফরায়েজ কাহাকে বলে? মৃত ব্যক্তির হক কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর ঃযে পু¯Íক পাঠ করে মৃত ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পদ ওয়ারিসগণের মধ্যে কুরআন, হাদিস , ইজমা মোতাবেক বন্টন করা
সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়, তাবে ফরায়েজ বলে।
মৃত ব্যাক্তিহক ৪ প্রকার ঃÑ
ক. অপব্যায় এবং কৃপনতা পরিহার করিয়া মৃত ব্যাক্তির কাপন দাপনের ব্যবস্থা করা।
খ. মৃত ব্যাক্তির ঋণ পরিসোধ করা।
গ. অবশিষ্ট সম্পদের ৩ ভাগের এক অংশ হইতে মৃত ব্যাক্তির ওছিয়ত পূরণ করা।
ঘ. বাদ বাকি অংশ ফরায়েজ মোতাবেক মৃত ব্যক্তির ওয়ারিসগণের মধ্যে বন্টন করা।
২/. মৃত ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পদের অংসিদার গণের নাম লিখ।
উত্তর ঃ মৃত ব্যাক্তির ত্যাজ্য সম্পদের অংসিদার ১২ জন ঃÑ
ক. পুরুষ ৪ জন ঃÑ ১. পিতা ২. দাদা ৩.স্বামি ৪.বইপিতৃয় ভাই।
খ. মহিলা ৮ জন ঃÑ ১. স্ত্রি, ২.কন্যা, ৩.পুত্রের কন্যা ৪. মা, ৫. দাদি এবং নানি, ৬.সহোদর বোন, ৭. বইমাতৃয় বোন, ৮. বইপিতৃয় বোন।
উপরে উলেøখিত ১২ জনকে যাবিল ফুরুজ বলে। এদের অংশ ৬টি ঃÑ০.৫, ১৩, ২৩, ১৪, ১৬, ১৮।
৩/. ওয়ারিস কাহাকে বলে? ওয়ারিস কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর ঃ যারা মৃত ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পদের মালিক তাদেরকে ওয়ারিস বলে।
ওয়ারিস ৩ প্রকার ঃÑ ১. যাবিল ফুরুজ (অংসীদার) ২. আছাবা ফুরুজ (অবশিষ্ট ভোগী) ৩.যাবিল আরহাম (দূরবর্তী ওয়ারিস)
১. যাবিল ফুরুজ ঃ যাদের অংশ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে নিদির্ষ্ট করে দেওয়া আছে তাদেরকে যাবিল ফুরুজ বলে।
যেমন ঃÑ ঐ বার জন।
২. আছাবা ফুরুজ ঃ যাদের অংশ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে নির্দিষ্ট দেওয়া নাই কিন্তু কোন অবস্থাতে তাদেরকে মৃত ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না তাদেরকে আছাবা ফুরুজ বলে।
৩. যাবিল আরহাম ঃ মহিলা দ্ধারা সম্পর্ককৃত আত্মিয়কে যাবিল আরহাম বলে। যেমন ঃ ফুফু, পুত্রের কন্যা, কন্যার কন্যা, নানি ইত্যাদি।
৪/. আছাবা কাহাকে বলে? আছাবাতে ¯Íর কয়টি ও কি কি?
উত্তর ঃ যাদের অংশ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া নাই কিন্তু কোন অবস্থাতে তাদেরকে মৃত ব্যাক্তির ত্যাজ্য
সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না, তাদেরকে আছাবা ফুরুজ বলে।
আছাবাদের ¯Íর চারটি ঃ
১. নিম্মগামী পুরুষ ওয়ারিশ (সমপর্যায়ে মহিলাও)
যেমন ঃ পুত্র, কন্যা ইত্যাদি।
২. উর্ধগামী পুরুষ ওয়ারিশ।
যেমন ঃ পিতা, দাদা ইত্যাদি।
৩. পিতার শাখার পুরুষ ওয়ারিশ (সমপর্যায়ের মহিলাও)।
যেমন ঃ ভাই, বোন ইত্যাদি।
৪. দাদার শাখার পুরুষ ওয়ারিশ ।
যেমন ঃ চাচা, জেঠা ইত্যাদি।
[নোট ঃ (ক) সর্বপ্রথম ১নং আছাবা গন সম্পদের মালিক হবেন। ২,৩,৪ নং আছাবা বঞ্চিত হবেন। (খ) ১নং আছাবা না থাকা অবস্থায় ২নং আছাবা সম্পদের মালিক হবেন। ৩নং এবং ৪নং আছাবা সম্পদ থেকে বঞ্চিত হবেন। (গ) ১নং এবং ২নং আছাবা না থাকা অবস্থায় ৩নং আছাবা সম্পদের মালিক হবেন। ৪নং আছাবা সম্পদ থেকে বঞ্চিত হবেন। (ঘ) ১নং, ২নং, ৩নং আছাবা না থাকা অবস্থায় ৪নং আছাবা সম্পদের মালিক হবেন।]

ÿÎ cwigv‡ci GKK¸‡jv wb¤œiƒcÑ

৫/. যাবিল ফুরুজগন কিভাবে মৃত ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পদেরমালিক হবেন?
উত্তর ঃ যাবিল ফুরুজগন যেভাবে মৃত ব্যাক্তির ত্যাজ্য সম্পদের মালিক হবেন ঃÑ
১. পিতা ঃ পিতা ৩ অবস্থায় মৃত ব্যাক্তির ত্যাজ্য সম্পদের মালিক হবেন।
ক). মৃত ব্যাক্তির পুত্র সন্তান থাকলে অথবা পুত্র, কন্যা উভয়ই জীবিত থাকলে পিতা ১৬ অংশ পাবেন।
খ). মৃত ব্যাক্তির শুধু কন্যা সন্তান থাকলে পিতা ১৬ + আছাবা।
গ). মৃত ব্যাক্তির কোন সমÍান না থাকলে পিতা সম্পূর্নরুপে আছাবা, এÿেত্রে অন্যান্য ওয়ারিসদের অংশ নেওয়ার পর বাকি অংশ পিতা আছাবা হিসাবে পেয়ে যাবেন।
[নোট ঃ মৃত ব্যাক্তির যে কোন ধরনের ওয়ারিস না থাকলে পিতা সম্পূর্ন সম্পদ আছাবা হিসেবে পেয়ে যাবে।]
২. দাদা ঃ পিতার মত দাদা মৃত ব্যাক্তির ত্যাজ্য সম্পদের মালিক হবেন। পিতা জীবিত থাকলে দাদা বঞ্চিত হবেন।
৩. স্বামী ঃ স্বামী দুই অবস্থায় মৃত ব্যাক্তির ত্যাজ্য সম্পদের মালিক হবেন। ক).মৃত ব্যাক্তির সন্তান থাকলে স্বামী ১৪ অংশ পাবেন। খ). মৃত ব্যাক্তির সন্তান থাকলে স্বামি ০.৫ অংশ পাবেন।
৪. ও ৫. বৈপি¦ত্রিয় ভাই ও বোন ৩ অবস্থায় মৃত ব্যাক্তির ত্যাজ্য সম্পদেরমালিক হবেন।
ক). বৈপি¦ত্রিয়ভাই/বোন একজন হলে ১৬ অংশ পাবেন।
খ). বৈপি¦ত্রিয় ভাই/বোন একাধিক হলে ১৩ অংশ পাবেন।
গ). মৃত ব্যক্তির নিম্মগামী আছাবা/উর্ধগামী আছাবা/সন্তান জীবীত থাকলে বৈপি¦ত্রিয় ভাই/বোন উভয়ই বাদ।
৬. স্ত্রী ঃ স্ত্রীগন ২ অবস্থায় মৃত ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পদের মালিক হবেন ।
ক). মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকলে স্ত্রীগন ১৮ অংশ পাবেন।
খ). মৃত ব্যক্তির সন্তান না থাকলে স্ত্রীগন ১৪ অংশ পাবেন।
৭. কন্যা ঃ কন্যাগন ৩ অবস্থায় মৃত ব্যাক্তির ত্যাজ্য সম্পদের মালিক হবেন ।
ক). মৃত ব্যাক্তির কন্যা ১ জন হলে ০.৫ অংশ পাবেন।
খ). মৃত ব্যাক্তির কন্যা একাধিক হলে ১৩ অংশ পাবেন।
গ). মৃত ব্যাক্তির পুত্র সন্তান থাকলে পুত্রের কারনে কন্যাগন আছাবা হবেন। এই ÿেত্রে ১ পুত্র=২কন্যা।
৮. পুত্রের কন্যা ঃ পুত্রের কন্যাগন ৬ অবস্থায় মৃত ব্যাক্তির ত্যাজ্য সম্পদেও মালিক হবেন।
ক).মৃত ব্যাক্তির পুত্রের কন্যা ১জন হলে ০.৫ অংশ পাবেন।
খ). মৃত ব্যাক্তির পুত্রের কন্যাগন একাধিক হলে ২৩ অংশ পাবেন।
গ). মৃত ব্যাক্তির নিজ কন্যা ১জন হলে পুত্রের কন্যাগন ১৬ অংশ পাবেন।
ঘ). মৃত ব্যাক্তির নিজ কন্যা একাধিক হলে পুত্রের কন্যাগন বাদ।
ঙ). মৃত ব্যাক্তির নিজ কন্যা একাধিক থাকা অবস্থায় পুত্রের কন্যাদের সাথে পুত্রের পুত্র থাকলে উভয় মিলে আছাবা
হবেন।
চ). মৃত ব্যক্তির নিম্মগামী আছাবা থাকলে পুত্রের কন্যাগন বঞ্চিত।

৯. মা ঃ মা ৩ অবস্থায় মৃত ব্যাক্তির ত্যাজ্য সম্পদের মালিক হবেন।
ক). মৃত ব্যাক্তির সন্তান না থাকলে/একাধিক ভাই, বোন থাকলে মা ১৬ অংশ পাবের।
খ). মৃত ব্যাক্তির সন্তান না থাকলে/একাধিক ভাই,বোন না থাকলে মা ১৩ অংশ পাবেন (সম্পূর্ন সম্পদে)।
গ). উপরের কেউ না থাকা অবস্থায় স্বামী বা স্ত্রীর অংশ নেওয়ার পর বাকি সম্পদের ১৩ অংশ পাবেন।
১০. দাদী/নানী ঃ দাদী ও নানী উভয়ই মায়ের মত সম্পদেও মালিক হবেন। মা জীবিত থাকলে দাদী/নানী উভয়ই
বঞ্চিত।
[মৃত ব্যাক্তির পিতা জীবিত থাকলে পিতার কারনে দাদী বঞ্চিত হবেন, নানীর অংশ নানীই প্রাপ্ত হবেন।]
১১. সহোদর বোন ঃ সহোদর বোন ৫ অবস্থায় মৃত ব্যাক্তির ত্যাজ্য সম্পদের মালিক হবেন।
ক). মৃত ব্যাক্তির সহোদর বোন ১ জন হলে ০.৫ অংশ পাবেন।
খ). মৃত ব্যাক্তির সহোদর বোন একাধিক হলে ২৩ অংশ পাবেন।
গ). মৃত ব্যাক্তির নিজকন্যা ১ জন হলে সহোদর বোন ১৬ অংশ পাবেন।
ঘ). মৃত ব্যাক্তির নিজ কন্যা একাধিক হলে সহোদর বোন আছাবা।
ঙ). মৃত ব্যাক্তির নিম্মগামী আছাবা/উর্ধগামী আছাবা থাকলে সহোদর বোন বঞ্চিত।
১২. বৈমাতিৃয় বোন ঃ বৈমাতৃয় বোন ৭ অবস্থায় মৃত ব্যাক্তির ত্যাজ্য সম্পদের মালিক হবেন।
ক). বৈমাতিৃয় বোন ১ জন হলে ০.৫ অংশ পাবেন।
খ). বৈমাতিৃয় বোন একাধিক হলে ২৩ অংশ পাবেন।
গ). মৃত ব্যাক্তির সহোদর বোন ১ জন হলে বৈমাতৃয় বোন ১৬ অংশ পাবেন।
ঘ). মৃত ব্যাক্তির সহোদর বোন একাধিক হলে বৈমাতিৃয় বোন বঞ্চিত।
ঙ). মৃত ব্যাক্তির সহোদর বোন একাধিক থাকা অবস্থায় বৈমাতিৃয় বোনদের সাথে বৈমাতিৃয় ভাই থাকলে উভয় মিলে
আছাবা।
চ). মৃত ব্যাক্তির কন্যাদের সাথে বৈমাতিৃয় বোন আছাবা।
ছ). মৃত ব্যাক্তির উর্ধগামী/নিম্মগামী আছাবা থাকলে বৈমাতিৃয় বোন বঞ্চিত।

৮ম অধ্যায়
হিন্দু পারিবারিক আইন/সনাতন পারিবারিক আইন
১. হিন্দু আইন কাহাকে বলে? ওয়ারিস কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর ঃ যে পু¯Íক পাঠ করে মৃত ব্যাক্তির ত্যাজ্য সম্পদ সনাতন ধর্ম অনুসারে বন্টন করা সম্পর্কে অবগত হওয়া যায় তাকে
হিন্দু আইন বলে।
হিন্দু আইনে ওয়ারিস তিন প্রাকার ঃ
ক. স্বপিন্ড  পিন্ডদান
খ. সাকুল্য  পিন্ডলেক
গ. সমানোদক  পিন্ডজন
ক. স্বপিন্ড ঃ যারা মৃত ব্যাক্তির আত্মার কল্যানে পিন্ড দান করে তাদেরকে স্বপিন্ড বলে। যেমন ঃ মৃত ব্যাক্তির নিম্মগামী ১
থেকে ৩নং পুরুষ ওয়ারিস এবং উর্ধগামী ১ থেকে ৩ নং পুরুষ ওয়ারিস।

খ. সাকুল্য ঃ যারা মৃত ব্যাক্তির আত্মার কল্যানে পিন্ডলেক প্রদান করে তাদেরকে সাকুল্য বলে। যেমন ঃ মৃত ব্যাক্তির
নিম্মগামী ৪ থেকে ৬নং পুরুষ ওয়ারিস এবং উর্ধগামী ৪ থেকে ৬ নং পুরুষ ওয়ারিস।
গ. সমানোদক ঃ যারা মৃত ব্যাক্তির আত্মার কল্যানে পিন্ডজল প্রদান করে তাদেরকে সমানোদক বলে। যেমন ঃ নিম্মগামী
এবং উর্ধগামী ৭Ñ১৩ জন পুরুষ ওয়ারিস।
হিন্দু পারিবারিক আইনে মৃত ব্যাক্তির পুরুষ ওয়ারিসগন ত্যাজ্য সম্পদের মালিক হবেন। কন্যা অবিবাহিত হলে ভরন পোষন ও বিবাহের খরচ পাবেন, আর বিবাহিত হলে কিছুই পাবেন না।
১৯৩৭ সালে, হিন্দু পারিবারিক আইনে বিধবা ¯ী¿ একপুত্রের সমান অংশের মালিক হবেন ভোগাধিকার শর্তে বিধবা স্ত্রীর মৃত্যুর পর এই সম্পদ স্বামীর পুরুষ ওয়ারিসদের ওপর বন্টন করা হবে।
উদাহরন ঃ জগদিশ মৃতকালে তিন পুত্র এক বিধাব স্ত্রি ও পিতা রেখে যান তার সম্পদের পরিমান ১৬ গন্ডা।

৯ম অধ্যায়
স্কেল
গুণিয়া এবং ফুট স্কেল
খন্ডÑ১(গুনিয়া)
১/. স্কেল কাহাকে বলে? নকশার উপর স্কেল অংকন করা হয় কেন? নকশার বিভিন্ন স্কেল অনুসারে গুনিয়া এবং
ফুট স্কেলের পরিচয় লিখ।
উত্তর ঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে জমিনের মাপ সিট বা নকশা থেকে পাওয়া যায় তাকে স্কেল বলে। মৌজার মাপ সঠিক ভাবে
বুঝিবার জন্যই নকশা বা সিটের উপর স্কেল অংকন করা হয়।
যেমন ঃ স্কেল ১৬ ইঞ্চি = ১ মাইল
স্কেল ৩২ ইঞ্চি = ১ মাইল
স্কেল ৬৪ ইঞ্চি = ১ মাইল
স্কেল ৮০ ইঞ্চি = ১ মাইল

নকশার বিভিন্ন স্কেল অনুসারে গুনিয়ার পরিচয় ঃÑ
ক). স্কেল ১৬ ইঞ্চি = ১ মাইলে সম্পূর্ন গুণিয়ার মান ১০০০ লিংক উভয়দিকে ১ বড় দাগ থেকে অপর বড় দাগ পর্যন্ত
প্রতি ÿুদ্র ঘরের মান ১০০ লিংক একদিকে প্রতি ÿুদ্র ঘরের মান ২০ লিংক অপরদিকে প্রতি ÿুদ্র ঘরের মান ১০ লিংক।
খ). স্কেল ৩২ ইঞ্চি =১ মাইল-এ মস্পূর্ন গুণিয়ার মান ৫০০ লিংক। উভয়দিকে এক বড় দাগ থেকে অপর বড় দাগ পর্যন্ত
প্রতি ঘরের মান ৫০ লিংক একদিকে প্রতি ÿুদ্র ঘরের মান ১০ লিংক অপরদিকে প্রতি ÿুদ্র ঘরের মান ৫ লিংক।
গ). স্কেল ৬৪ ইঞ্চি = ১ মাইলে সম্পূর্ন গুনিয়ার মান ২৫০ লিংক উভয়দিকে এক বড় দাগ থেকে অপর বড় দাগ পর্যন্ত
প্রতি ঘরের মান ২৫ লিংক। একদিকে প্রতি ÿুদ্র ঘরের মান ৫ লিংক। অপরদিকে প্রতি ÿুদ্র ঘরের মান ২.৫ লিংক।
ঘ). স্কেল ৮০ ইঞ্চি = ১ মাইলে সম্পূর্ন গূনিয়ার মান ২০০ লিংক। উভয়দিকে ১ বড় দাগ থেকে অপর বড় দাগ পর্যন্ত প্রতি
ঘরের মান ২০ লিংক। একদিকে প্রতি ÿুদ্র ঘরের মান ৪ লিংক অপরদিকে প্রতি ÿুদ্র ঘরের মান ২ লিংক।
খন্ড Ñ ২(ফুট স্কেল)
নকশার বিভিন্ন স্কেলের উপর ফুট স্কেলের পরিচয় ঃÑ
ক).স্কেল ১৬ ইঞ্চি = ১ মাইলে সম্পূর্ন ফুট স্কেলের মান ২০০০ ফুট। উভয়দিকে এক বড় দাগ থেকে অপর বড় দাগ পর্যন্ত
প্রতি ঘরের মান ১০০ ফুট এবং পতি ÿুদ্র ঘরের মান ১০ ফুট।
খ). স্কেল ৩২ ইঞ্চি = ১ মাইলে সম্পূর্ন ফুট স্কেলের মান ১০০০ ফুট। উভয়দিকে এক বড় দাগ থেকে অপর বড় দাগ পর্যন্ত
প্রতি ঘরের মান ৫০ ফুট এবং প্রতি ÿুদ্র ঘরের মান ৫ ফুট।
গ). স্কেল ৬৪ ইঞ্চি = ১ মাইলে সম্পূর্ন ফুট স্কেলের মান ৫০০ ফুট। উভয়দিকে এক বড় দাগ থেকে অপর বড় দাগ পর্যন্ত
প্রতি ঘরের মান ২৫ ফুট এবং প্রতি ÿুদ্র ঘরের মান ২.৫ ফুট।
ঘ). স্কেল ৮০ ইঞ্চি = ১ মাইলে সম্পূর্ন ফুট স্কেলের মান ৪০০ ফুট। উভয়দিকে এক বড় দাগ থেকে অপর বড় দাগ পর্যন্ত
প্রতি ঘরের মান ২০ ফুট এবং প্রতি ÿুদ্র ঘরের মান ২ ফুট।
[নোট ঃ সীট বা নকসার উপর স্কেলের মান ১৬ এর যত গুন বাড়বে গূণিয়া বা ফুট স্কেলের মান ১৬ এর ৩৩ গুন কমবে।]
(ÿুদ্র ৩ ঘর = ১ ইঞ্চি)
১০তম অধ্যায়
কাঠের সূত্র
গোল কাঠের আয়তন = (পরিধি৪)২ দৈর্ঘ্য
অথবা = পরিধি  পরিধি  দৈর্ঘ্য ১৬
ÿেত্রফল = দৈর্ঘ্য  প্রস্থ  গভীরতা
সাইজ কাঠের হিসার = দৈর্ঘ্য  প্রস্থ  পুরুত্ব
১১তম অধ্যায়
খতিয়ান
খতিয়ান চেনার উপায় ঃ
১. জ.ঝখতিয়ান ঃ উপরে নিচে লম্ব এবং উভয়পৃষ্টে লিখা থাকে, এই খতিয়ানের দ্বিতীয় পৃষ্টার দ্বিতীয় কলামে উক্ত সীমানা দখল দারদের নাম লেখা থাকে। এবং প্রথম পৃষ্টার নিচের বাম দিকে মকরদমা নং ১০৪, ১০৫,১০৬ ইত্যাদি লিখা থাকে।
২. চ.ঝ খতিয়ান ঃ উপরে নিচে লম্ব এবং উভয়পৃষ্টে লিখা থাকে, এই খতিয়ানের প্রথম পৃষ্টার নিচের বাম দিকে ৫০,৫১,৫২ নং ইত্যাদি লিখা থাকে।
৩. ই.ঝ খতিয়ান ঃ পাশাপাশি লম্ব এবং পাশে লিখা থাকে, এই খতিয়ানের প্রথম পৃষ্টার নিচে বাম দিকে মকরদমা নং ৩০,৩১,৩২ ইত্যাদি লিখা থাকে।
১২তম অধ্যায়
ইঞ্চিকে ফুটে প্রকাশ

উদাহরন ঃ

১৩তম অধ্যায়
আনুসাঙ্গিক
খতিয়ানের নিয়ম অনুসারে শতকের বেলায় দশমিকের পড়ে প্রথম সংখ্যা যদি ৫ এর অধিক হয় তখন ইহা দশমিকের আগে পূর্নাঙ্গ ১ হইয়া যোগ হবে। যদি দশমিকের পওে প্রথম সংখ্যা ৫ এর নিচে হয় তখন ইহা বাদ যাবে। খতিয়ান ব্যতিত অন্য যেকোন হিসাবের বেলায় দশমিকের আগে পড়ে যাই পাওয়া যাবে তাই লিপিবদ্ধ করা হইবে।
উদাহরন ঃ
মনেকরি, করিমের দুই ছেলে যথাক্রমে রহিম ও রহমান তার মোট সম্পত্তি ১৫ শতক তার সম্পত্তি খতিয়ানী বন্টন হিসাবে নিম্মে লেখা হল ঃ
রহিম =৮=৭=৮
রহমান =৮=৭=৭
মাপ ও প্রকার
মাপ ৩ প্রকার ঃ
১. রৈখিক মাপ Ñ জ.ঋ.ঞ = ধ
২. বর্গ মাপ Ñ ঝ.ঋ.ঞ = ধ২
৩. ঘন মাপ Ñ ঈ.ঋ.ঞ = ধ৩
সম্পতি পাওয়ার উপায় সমূহ
১/. ওয়ারিশ হতে হবে;
২/. দলিল থাকতে হবে;
৩/. সীট ভুক্ত হতে হবে;
৪/. খতিয়ান ভুক্ত হতে হবে;

আমিনের কাজ
আমিনের কাজ ৩টা
১/. পরিমান নির্ণয়;
২/. ভাগ বন্টন;
৩/. সিমানা নির্ধারন;

১৪তম অধ্যায়
স্কেল পরিচিতি বা চিত্র
গুণিয়া ঃ

Leave a Reply