ডাটা এন্ট্রির কাজ করে অনলাইনে আয় করুন ঘরে বসে [100%]

ডাটা এন্ট্রি, ঘরে বসে অর্থ উপার্জনের অন্যতম উপায়: একটি নির্দিষ্ট ধরনের ডাটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রতিলিপি তৈরি করাকে ডাটা এন্ট্রি বলে। এটি হতে পারে হাতে লেখা কোন তথ্যকে কম্পিউটারে টাইপ করা। কিংবা, হতে পারে কম্পিউটারের কোন একটি প্রোগ্রামের ডাটা একটি স্প্রেডশিট ফাইলে সংরক্ষণ করা। Data entry and earn money. ডাটা এন্ট্রি Data entry and earn money টপিক সূচি কেন করবেন ডাটা এন্ট্রি? কী কী যোগ্যতা লাগে? কী কাজ করবেন ও কীভাবে আয় করবেন?

১. ফ্রিল্যান্সিং করে

২. ক্যাপচা এন্ট্রি করে

৩. শুনে শুনে লিখে

৪. ইমেইল প্রসেসিং করে

৫. মাইক্রো জব

৬. ওয়েব সিস্টেমে ডাটা এন্ট্রি

৭. ক্যাপশনিং

৮. ডাটা ফরমেটিং

৯. কপি-পেস্ট

১০. ইমেজ থেকে টেক্সট ডাটা এন্ট্রির কাজ

১১.রি-ফরমেটিং ও কারেকশন-

১২. ফরমেটিং ও এডিটিং

১৩. অনলাইন ডাটা ক্যাপচারিং ডাটা এন্ট্রির কাজে কী ধরণের অসুবিধের সম্মুখীন হবেন?

আরও পড়ুন কেন করবেন ডাটা এন্ট্রি? তথ্য প্রযুক্তির আধুনিক যুগে, ডাটা সুবিন্যস্ত করা খুব জরুরী হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি, খুব সহজেই এই কাজের দক্ষতা অর্জন করা যায়। এবং, এই দক্ষতাকে ব্যবহার করে অর্থও উপার্জন করা যায়। এছাড়াও, ঘরে বসে এই কাজ করা যায়। পাশাপাশি, এই কাজ করে খুব সহজে বৈদশিক মুদ্রাও অর্জন করা যায়। তাই, ডাটা এন্ট্রির কাজ আজকের এই দিনে সবার কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছাত্র থেকে শুরু করে চাকুরীজীবি, সবাই ছুটছেন এই কাজের পেছনে। এখন, আপনিও যদি চান, অল্প পরিশ্রমে বেশি অর্থ উপার্জন করতে, তবে আজই শুরু করে দিন ডাটা এন্ট্রির কাজ। কী কী যোগ্যতা লাগে? ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য খুব বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে না। তারপরও, যেসব যোগ্যতা থাকা দরকার, তা নীচে বর্ণিত হলো।

নার্সিং ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২১ – ২২ প্রকাশিত হয়েছে

১. ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজে বের করা।

২. প্রজেক্ট বোঝার মতো ইংরেজিতে হালকা জ্ঞান।

৩. দ্রুত টাইপ করার ক্ষমতা।

৪. বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফোরাম সম্পর্কে ধারনা।

৫.মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও মাইক্রোসফট এক্সেল ব্যববহারে সুদক্ষতা। আরও পড়ুনঃ বাংলা লিখে ঘরে বসে আয় করুন।

কী কাজ করবেন ও কীভাবে আয় করবেন?

১. ফ্রিল্যান্সিং করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ডাটা এন্ট্রির কাজ দেয়। এর মধ্যে একটি হলো ফাইভার। ফাইভারে নিজের নামে একাউন্ট করে কাজ খুঁজে নেওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০-২০০ কোম্পানি ফাইভারে ডাটা এন্ট্রির কাজ দেয়। আপনি, আপনার দক্ষতা দেখিয়ে সেখান থেকে কাজ নিয়ে নিতে পারেন। এবং, এর মাধ্যমে মাস শেষে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন।

২. ক্যাপচা এন্ট্রি করে বাড়তি উপার্জনের জন্য ক্যাপচা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন। এ কাজ করে আপনি মাসে ১৫০০০-২০০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, অবশ্যই আপনার টাইপিং স্পিড ভালো হতে হবে। কেননা, টাইপিং স্পিডের উপর নির্ভর করে আপনার আয় উঠা নামা করবে।

৩. শুনে শুনে লিখে অডিও শুনে শুনে ওয়ার্ড ফাইলে লিখে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। কিন্তু, এজন্য আপনার শোনার ক্ষমতা প্রখর হতে হবে। এমন যদি হয়, আপনি ঠিকঠাক মতো শুনলেন না, তবে ভুল তথ্য লিখে ফেলতে পারেন। আর, এই ভুল তথ্যটি ডাটা এন্ট্রির জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এক্ষেত্রে, আপনার ইংরেজি বোঝার ক্ষমতা ভালো হতে হবে। কেননা, প্রতিটি শব্দ বুঝে শুনে সঠিকভাবে আপনার লিখতে হবে।

৪. ইমেইল প্রসেসিং করে ডাটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে ই-মেইল প্রক্রিয়াজাত করে অনেক অর্থ উপার্জন করা যায়। এক্ষেত্রে, আপনাকে বেশ কয়েকটি কাজ করতে হবে। প্রথমে এক্সেল স্প্রেডশিট বানাতে হবে ইমেইল চেক করতে। তারপর, একটি তালিকা করে দৈনিক শত শত মেইল প্রসেসিং করতে হবে। কাজটা একটু জটিল। তবে, করতে পারলে বিপুল পরিমান অর্থ আয় করতে পারবেন।

৫. মাইক্রো জব মাইক্রো জব একটি বিকল্প আয়ের মাধ্যম। বিশেষ করে, যারা টাইপিং সম্পর্কিত চাকরী খুঁজছেন। মাইক্রো জবের সাইটে আপনি কর্মী হয়ে কাজ করতে পারেন। এটি অন্যান্য কাজের চেয়ে তুলনামূলক সহজ। তাই, এই কাজের জন্য কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই।

৬. ওয়েব সিস্টেমে ডাটা এন্ট্রি বিভিন্ন ক্যাটালগ থেকে ওয়েব সিস্টেমে তথ্য লেখাই এই ডাটা এন্ট্রির কাজ। এক্ষেত্রে, আপনাকে আইন বিভাগগুলো ও বীমা দাবীগুলো পড়তে হবে। তারপর, সেখান থেকে তথ্য ওয়ার্ড ফাইল বা এক্সেল স্প্রেডশিটে লিখতে হবে। এ কাজে আপনাকে অনেক তথ্যই লিখতে বলা হতে পারে। উদাহারণস্বরূপ: অটোমোবাইলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর, মালিকের নাম ইত্যাদি।

৭. ক্যাপশনিং ক্যাপশনিংয়ের কাজটি এডভান্স লেভেলের। কেননা, এখানে আপনাকে হেডলাইন লিখতে হবে। এছাড়াও, আপনাকে খবরের হেডলাইন বা ছবির ক্যাপশন লিখতে হবে। কিন্তু, এই কাজটি তেমন একটা পাওয়া যায় না। পাশাপাশি, এই কাজ করে খুব বেশি টাকা আয় করা যায় না। তাই, ভালো মানের ডাটা এন্ট্রি কর্মীরা এই কাজটি খুব একটা করেন না।

৮. ডাটা ফরমেটিং ডাটা ফরমেটিংয়ের কাজে আপনাকে টাইপ করতে হয় কম। এবং, ফর্মেটিং করতে হয় বেশি। তবে, এই কাজে আয়ের পরিমাণটাও মোটামুটি ভালোই বলা চলে।

৯. কপি-পেস্ট এই কাজটি খুবই সহজ। একটি ফাইল থেকে ডাটা কপি করে অন্য একটিতে পেস্ট করা। সাধারণত, কাজটি ওয়ার্ড ডকুমেন্ট বা এক্সেল স্প্রেডশিটে করা হয়ে থাকে। কপি-পেস্টের কাজে খুব বেশি টাইপ করতে হয় না। তবে, এই কাজ করার জন্য ইংরেজিতে দক্ষ হওয়া খুব জরুরি।

১০. ইমেজ থেকে টেক্সট ডাটা এন্ট্রির কাজ এখানে, আপনাকে একটি ছবি দেয়া হবে। ছবিটি হতে পারে কোনো স্ক্রিনশটও। আপনাকে সেই ছবি থেকে পড়ে ওয়ার্ড ডকুমেন্টে লিখতে হবে। তবে, আপনাকে মনে রাখতে হবে, এগুলো কোনো সাধারণ শব্দ না। এগুলো, এমন কোনো শব্দ যা হতে পারে আপনি এর আগে কখনো শুনেননি।

এমএস ওয়ার্ড Ctrl এর সকল শর্টকাট কী |all ms word ctrl shortcut key

১১.রি-ফরমেটিং ও কারেকশন- সাধারণত ওয়ার্ড ডকুমেন্ট ফর্মেটিং, ফর্মেটিং জবস এর মধ্যে থাকে। এখানে, এলিগনিং প্যারাগ্রাফ, ইনডেনটেশন, ফন্টস ইত্যাদি কাজগুলো করা লাগে। এছাড়াও, আপনাকে অনেক সময় বড় কোনো ফরম ফরমেট করতে হতে পারে। সেখানে, বিভিন্ন রকমের ফিল্ড থাকবে; যেমন- নাম, ইমেইল আইডি, এড্রেস, ফোন নাম্বার ইত্যাদি।

১২. ফরমেটিং ও এডিটিং এই কাজ করার জন্য আপনার ইংরেজির উপর বিশেষ দক্ষতা থাকতে হবে। কেননা, এখানে আপনি শুধু স্পেলিং মিস্টেকগুলোই ঠিক করবেন না। পাশাপাশি, আপনাকে গ্রামারও ঠিক করতে হবে।

১৩. অনলাইন ডাটা ক্যাপচারিং এই কাজ করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ই-ম্যাগাজিন এবং ই-বুক হতে ডাটা সংগ্রহ করতে হবে। এই কাজটির জন্য ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকা খুব বেশি প্রয়োজন। ডাটা এন্ট্রির কাজে কী ধরণের অসুবিধের সম্মুখীন হবেন? অন্যান্য কাজের তুলনায় ডাটা এন্ট্রির কাজ অনেক সহজ। কিন্তু, এরও কিছু সমস্যা আছে। তবে, আগে থেকে সতর্ক থাকলে, খুব সহজে এদের এড়ানো যায়। ডাটা এন্ট্রির কাজে অসুবিধেসমূহ-

১. এ ধরণের কাজে অনেক প্রতিযোগিতা থাকে। তাই, প্রথমে কাজ পাওয়া অনেক কঠিন।

২. এ কাজে মেধা বা দক্ষতা প্রমানের তেমন সুযোগ নেই। তাই, একটা সময় পর একঘেয়েমি চলে আসে।

৩. এ কাজ অল্প সময়ে সম্পন্ন করতে হয়। করে, ফাইল আপলোড করতে হয়। কিন্তু, ইন্টারনেটের স্পিড কম থাকলে, তা আর সম্ভব হয় না।

৪. অনেক ডাটা এন্ট্রির কাজ একা শেষ করা সম্ভব হয় না। এজন্য, প্রয়োজন পড়ে অনেক মানুষের। ৫. সবসময় মনোযোগ ধরে রাখতে হয়। মনোযোগ একবার ছুটে গেলে কাজে ভুল হতে পারে। ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আপনি ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু, এই কাজটি সহজ হলেও, অনেকদিন করবার পর বিরক্তি চলে আসে। তাই, অনেকেই এই কাজটি কিছুদিন করার পর আর করতে আগ্রহবোধ করে না।

সেক্ষেত্রে, আপনি যদি অন্য কোনো কাজের মাধ্যমে আয় করতে চান, তবে ঘুরে আসুন আমাদের সাইটে। আমরা প্রতিনিয়ত আয় করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরি আমাদের সাইটে। আশা করি, এই পোস্টের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত ধারণা হয়ে গেছে। এখন, চাইলেই আপনারা আমাদের দেওয়া পরামর্শগুলো মেনে চলতে পারেন। বিনিময়ে, কাজটি করে আপনারা দেশ, বিদেশ থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এর ফলস্বরূপ গড়ে উঠবে আপনাদের স্বাবলম্বী এক সুন্দর জীবন।

Leave a Reply