বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, চুরি হওয়া গাড়িটির মূল্য ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা।
মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ময়লার ভাগাড়ে দায়িত্বরত দক্ষিণ সিটির সহকারী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে গাড়ির চালক গাড়িতে বর্জ্য নিয়ে মাতুয়াইলে এসেছেন। তিনি গাড়ি থেকে বর্জ্য নামিয়ে বাসায় চলে যান। রাত আটটার দিকে গাড়ির চালক এসে দেখেন, গাড়িটি নেই। পরে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, রাত পৌনে আটটার দিকে গাড়িটি মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। ক্যামেরায় চালকের মুখ বোঝা যায়নি।
মানিক বন্দোপাধ্যায়ের জীবনী – Manik Bandopadhyay Biography in Bengali
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডের বর্জ্য মাতুয়াইলে রাখা হয়। সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক আনসার সদস্য মোতায়েন থাকেন। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরা দিয়েও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এরপরও কীভাবে সেখান থেকে গাড়িটি চুরি হয়েছে, এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন খোদ করপোরেশনেরই কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, সিটি করপোরেশনের গাড়ি যেখানে-সেখানে পড়ে থাকলেও কেউ ওই গাড়ির ক্ষতি করে না। অথচ সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জায়গা থেকে গাড়ি চুরি হওয়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। আনসার সদস্যদের সামনে দিয়ে অপরিচিত এক লোক গাড়িটি কীভাবে নিয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখা উচিত।
ঘুরতে নিয়ে ধর্ষণ করল প্রেমিক ও তার বন্ধু, সাহায্য চেয়ে ফের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার
এদিকে চালকসংকটের কারণে করপোরেশনের অন্য বিভাগের কর্মী এবং বহিরাগতদের দিয়ে ভারী এসব যান চালানোর অভিযোগ রয়েছে। গতকাল যে গাড়িটি চুরি হয়েছে, সেটি করপোরেশনের একজন ভারী চালকের নামে বরাদ্দ ছিল বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে ওই চালকের নাম বলতে কর্মকর্তারা রাজি হননি।