নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয় করন এর করতে হবে!!

নতুন কারিকুলামের প্রশংসা করতে হবে এটা প্রথম শর্ত।নেতিবাচক কোন কথা বলা যাবে না।এ রকম শর্ত দিয়ে কোন কিছু সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলল্লে সে বিষয় কি স্বাধীন বা নিজের পছন্দ মত মতামত দেওয়া যায়? নতুন কারিকুলাম খুবই ভালো। আমরা দুই দিন ছুটি পেয়েছি! আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে? আগে ছয় দিন ক্লাস এখন পাঁচ দিন।এবারে আপনারা খুশি তো! কে বলে বেসরকারি শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাবৃন্দ চিন্তা করে না? শিক্ষাবিদবৃন্দ তো বৈষম্য নিরসন করে দিয়েছেন। সরকারি ওয়ালাদের দুই দিন ছুটি, সম্মানিত শিক্ষকদেরও দুই সদস্য ছূটি। আপনারা খুশি না হয়ে যাবেন কই? ভিতরে কি আছে একবার পড়ে দেখলাম না। সাপ্তাহিক বন্ধ একদিন বৃদ্ধি করে ঐ দিনের ক্লাসগুলো সবই পাঁচ দিনে একটি করে ক্লাস বেশি দিয়ে সমন্নয় করে দিলেন। তাতে পূর্বের তুলনায় সপ্তাহে একটি ক্লাস বাড়ল।তাহলে কর্ম ঘন্টা কমল কই?রুটিন শুধু ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেনির কেন? পুরোটা করে দিন। আপনাদের বিভিন্ন দপ্তর অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্নয় নেই বলে আমাদের মনে হয়। প্রশিক্ষণ বিহীন কোন শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নেওয়া যাবে না। আপনারা নিশ্চয়ই অবহিত আছেন যে মাধ্যমিক পর্যায়ে নূন্যতম তিন বিষয়ে ক্লাস নিতে হবে। এখন ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির রুটিন ঠিক রেখে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক দ্বারা ক্লাস বসিয়ে অন্যান্য শ্রেণির রুটিন করা আসলেই কঠিন। এক কথা বলার সাথে সাথে আপনারা হয়তো বলবেন, তা এমন আর কি কঠিন কাজ? যদি এতই সহজ কাজ হয় তবে দুটি শ্রেণির রুটিন কেন বাকিটা করে দিয়ে দিন আমরা শুধু বাস্তবায়ন করে দিব।৬ষ্ঠ পিরিয়ড এর পরে যে সকল শিক্ষকদের ক্লাস থাকবেনা তাদের স্কুলে ধরে রাখা কঠিন কাজ তা শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধানগনেই জানেন এবং বুঝেন। বেতন তো সকল শিক্ষক সমান পাবে।তবে কমবেশি সময় স্কুলে অবস্থান করবে কেন? আমরা সত্য কথা বলতে ভয় পাই কেন? এক শিফট স্কুলে যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সময় স্কুলে শিক্ষার্থী থাকতে পারবে কি না? তার চেয়ে বড় কথা প্রতিদিন এভাবে স্কুল চালিয়ে একজন শিক্ষক যে পরিমাণ বেতন পাবে তা দিয়ে তার সংসার চলে কী?তাকে সংসার চালাতে অন্য কাজ করতে হয়।আর সেই অন্য কাজ হল প্রাইভেট টিউশনি। প্রাইভেট পড়ানো যাবে না বলে দিলেই প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ হয়ে যাবেনা। শিক্ষকরা না পড়ালে অন্য কেউ পড়াবে? তবে শিক্ষার্থী যে পড়বে তার সময় কোথায়? এখন কর্তৃপক্ষ বলবেন এ কারিকুলামে প্রাইভেট টিউশনি প্রয়োজন হবে না।যারা এ কথা বলেন তাদের ছেলে মেয়েকেই বেশি বেশি কোচিং সেন্টারে পাঠানো হয়বা প্রাইভেট টিউটর দেওয়া হয়। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এম পি. ও ভুক্ত শিক্ষকবৃন্দ যে বেতন পান তা দিয়ে সংসার চলবে না।তাদের অন্য কাজ করতেই হবে। প্রাইভেট টিউশনি না করতে দিলে তাদের অন্য কাজ করতে হবে। আর যদি পুরোটা তাদের কাছ থেকে আদায় করতে চান তবে তাদের মাসিক বেতন বাড়াতেই হবে। বেতন বৃদ্ধি না হলে তাদের বিকল্প কাজ থেকে বিরত রাখতে পারবেন না। গাইড বই নোট বই বন্ধ করতে পেরেছেন। বর্তমান কারিকুলামে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সকল বিষয় বই বের হয়েছ।যাদের এগুলো বন্ধ করার কথা তারা কোথায়? আসলে এ সব বন্ধ করার দায়িত্ব কার? আমাদের সমস্যা কোথায়? আমরা এর জন্য আইন করি। তবে এই আইন দ্বারা এ কাজগুলো বন্ধ করাত জন্য নয়।আমার মনে হয় আইন প্রয়োগকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের বারতি উপার্জনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। সব শেষ বলতে চাই বর্তমান কারিকুলাম ভালো যদি ব্যর্থ হয় তবে তা হবে প্রয়োগ ব্যর্থতার জন্যই হবে। নতুন কারিকুলামে সফলতা কামনা করছি। বেসরকারি শিক্ষকবৃন্দের সমস্যা সমাধানের চিন্তা করুন তারা এই কারিকুলামের বাস্তবায়ন করে দিবে।তাদের কথা না শুনে এ কারিকুলাম বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

Leave a Reply