Sarder Nazmul Huda অকাল মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোকাহত এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি – আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

মৃত্যু অবধারিত মৃত্যুকে এড়ানো যায়না কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যু আমাদেরকে কাঁদিয়ে যায় । নাজমুল ভাইয়ের সাথে গতকাল (শুক্রবার 21.01.2022) ডিউটি করলাম তিনটা পর্যন্ত।
Sarder Nazmul Huda
কিভাবে সম্ভব এভাবে হঠাৎ চলে যাবেন মানতে পারছি না । আল্লাহ পাক যেন নাজমুল ভাইকে বেহেশত নসিব করেন, আমিন।
সকালে ডিউটিতে তার সাথে আমার অনেক কথা হয়েছে,ডায়াবেটিসের মাত্রা অনেক বেশি ছিল , বলল আগে দুটো করে ওষুধ খেতাম এখন একটা করে খাই তাই ডায়াবেটিস 10 থেকে 17 মধ্যে আপডাউন করতেছে।
sardar nazmul huda
আসলে সারাক্ষণ হাটার তালে থাকতো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।

 
আর আজকে তুমি নাই এটা ভাবতে পারছিনা আমরা কিসের এত অহংকার কিসের এত বড়াই করি কাছের মানুষটা আজকে অনেক দূরে, যার সাথে কথা বলতে পারতেছি না। জানি পরিবারের লোকদের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু তারপরও নিয়তি মেনে নিতে হবে।
sardar nazmul huda
শোক সন্তপ্ত পরিবার পরিজন পুত্র কন্যা আত্মীয় স্বজনের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তা তাদের শোক সহিবার শক্তি দান করুন।
sardar nazmul huda
(ইন্না-লিল্লাহি ওয়া,,,,,, আল্লাহ পাক যেন উনাকে বেহেশত নসিব করেন, আমিন।
sardar nazmul huda Sarder Nazmul Huda
প্রথম জীবনে ব্রাইটনের চাকরি করেন তারপরে ব্রাইটন বন্ধ হওয়ার পরে উনি মিরপুরে আলোক ডায়াগনস্ট চাকরি চাকরি করেন এরপর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে ফ্রন্টেক্স এক্সিকিউটিভ হিসেবে দীর্ঘ চার বছর ধরে চাকরি করতে ছিল।  sardar nazmul huda Sarder Nazmul Huda Sarder Nazmul Huda Sarder Nazmul Huda
কিন্তু এই সময় উনার চাকরিতে মন বসে না বেশিরভাগ সময় ওনার মনটা অন্যমনস্ক হয়ে কাজে বসতে না আর তাই প্রায়ই কমবেশি প্রতিদিনই ভুল হতো। প্রতিদিন পরিবেশে উনি এখানে চাকরি করার মানসিকতা ছিল না বেশিরভাগ সময় অফিসে আসলে হাঁটাহাঁটি করতেন কাজে মন বসে না।
  Sarder Nazmul Huda Sarder Nazmul Huda
শুক্রবার সকাল 7 টা থেকে 3 টা পর্যন্ত ডিউটি করছে এবং সুস্থ স্বাভাবিক সাধারণত তার ডায়াবেটিস একটু বেশি অনেক কথা হয়েছে তার সাথে । বউকে বাপের বাড়ি পাঠায় না, বউ কখনও তাকে ছেড়ে যায় না  ইন্টারমিডিয়েট থাকা অবস্থায় সে বিয়ে করেছেন লাভ মেরেজ করে বিয়ে করেছে অনেক কথাই বলছিল সেদিন। চা খাওয়াবে কিন্তু কাউকে বিড়ি সিগারেট খাবে না কিন্তু জোর করে সালাউদ্দিন সেদিন তার কাছ থেকে বিড়ি খেয়েছে।লোকটা একরোখা ছিল কোন কিছুই তেমন গায়ের রাধা তো না চাকরি জীবনে ব্রাইটনের যে দাপট এবং সম্মানের সহিত চাকরি করছে আনোয়ার খান মর্ডান সে তার  প্রতিপত্তি কিছুই দেখাতে পারেনি বরং তা সবার কাছ থেকে পেয়েছে নিষ্পেষিত নিগৃহীত নির্যাতন, তার কথা কোন মূল্যায়ন করা হতো না তাই তার শেষ চাকরিটা তার জন্য শুভকামনা ছিলনা। আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজে Front desk অবস্থা এতটাই নাজুক যে এখানে যারা চাকরি করে তারা সবসময় নির্যাতিত-নিপীড়িত এবং তাদের কথার কোন মূল্য নেই কারণ কথা বললে চাকরি থাকবে না এমন একটা পরিস্থিতিতে এখানে চাকরির অবস্থা কারণ তাদের কথা শোনার কেউ নেই । যার যার গা বাঁচিয়ে চাকরি করে।
sardar nazmul huda
ডিউটি শেষে বাসায় যাওয়ার পরে হালকা বমি এবং পাতলা পায়খানা শুরু হয় তার স্ত্রীর মেয়ে অনুরোধ করা সত্ত্বেও সে হাসপাতালে যাবে না সে ভাবছে যে আগামীকাল সকালে তার ডিউটি তাই হাসপাতালে গিয়ে আর ডাক্তার দেখাবো এজন্য সে জাপ্টে ধরে দাতে কামড় দিয়েছিল কিন্তু সকাল বেলা পরিস্থিতি তাড়াতাড়ি বল যে মুহূর্তে তার মৃত্যু নেমে আসলো বমি ও পাতলা পায়খানা এবং ডায়াবেটিস যার কারণে বেশি ছিল। কার কখন মৃত্যু হবে তা বলা যায় না।
sardar nazmul huda
সর্বোপরি লোকটা সহজ-সরল ছিলেন ধর্মের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ছিল  ।
মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে এক মেয়ে এবং স্ত্রী এবং অসংখ্য অনুগ্রহে আত্মীয়-স্বজন রয়েছে রেখেছেন। Sarder Nazmul Huda Sarder Nazmul Huda
 

Leave a Reply