বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির প্রধান শিক্ষকগন এক প্রশিক্ষণ উপলক্ষে ঢাকায় আসেন।

বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির প্রধান শিক্ষকগন এক প্রশিক্ষণ উপলক্ষে ঢাকায় আসেন।

প্রশিক্ষণ শেষে মহাখালীস্থ টি এন্ড টি বালিকা বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়।সভায় সভাতিত্ব করেন টি এন্ড টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব নূরে আলম সিদ্দিক স্যার।

সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ মজিবুর রহমান বাবুল, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল চন্দ্র চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জনাব কাজী শফিকুল ইসলাম। সভায় চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি সাধারন সম্পাদক, সহসভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সভায় সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল চন্দ্র চৌধুরী বলেন আমরা বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ ১৩ টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে গঠন করা হয়েছিল। প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য ছিল প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা। আমরা সেটা করতে সক্ষম হয়েছি। সারা দেশের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সুসম্পর্ক গড়ে তোলা। আজকের এই মত বিনিময় সভা প্রমাণ করে আমরা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মধ্যে সেই সম্পর্ক তৈরি করতে সমর্থ হয়েছি।আমাদের লক্ষ্য ছিল শিক্ষা বান্ধব সরকারের শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নে সার্বিকভাবে সহায়তা করা। সেই লক্ষ্য আমরা বাস্তবায়ন করেছি।

করোনা কালে সারা বিশ্বের উন্নত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যখন বিপর্যস্ত তখন আমরা আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমকে কোন প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্বপ্রশিক্ষনের মাধ্যমে অনলাইনে চালু রেখেছি। তেরটি উদ্দেশ্যর মধ্যে একটি উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষাক্ষেত্রের বিদ্যমান বৈষম্য নিরসনের ব্যবস্থা করা। আমরা এখন বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্য পৌঁছাতে পারিনি। তবে বৈষম্যগুলো আমাদের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনতে সমর্থ হয়েছি। আমরা আমাদের কর্তৃপক্ষের কাছে যখন সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন গ্রেড বৈষম্যর কথা বলেছি। তারা বলেছেন এটা তাদের জানা ছিল না।অর্থাৎ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৬ষ্ঠ বেতন গ্রেডে বেতন পান পক্ষান্তরে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেতন পান ৭ম বেতন গ্রেডে। এই বৈষম্য আমরা আমাদের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনতে সমর্থ হয়েছি। তারা আমাদের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে জানাতে বলেছেন। আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় বরাবর স্মারক লিপি দিয়ে অবহিত করেছি।

বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের পক্ষ থেকে ৬৪ টি জেলার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে মানবতার মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রের এই বৈষম্য নিরসনের আকুল আবেদন জানিয়েছি। আমরা যাতে করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীদের ন্যায় চাকরি জীবনে দুটি উচ্চতর বেতন গ্রেড পেতে পারি তার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জনবল কাঠামো ও এম.পি.ও নীতিমালা ২০২১ খ্রি. এর ১১.১০ ধারার স্পষ্টিকরন করার জন্য আবেদন করেছি।

সভায় উপস্থিত সম্মানিত সকল প্রতিষ্ঠান প্রধান বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের অগ্রযাত্রাত ভূয়সী প্রশংসা করেন। চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ বলেন আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে সকল বৈষম্য রয়েরছে তা বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের মাধ্যমে নিরসন হবে। বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির দৃঢ়তার কথা তুলে ধরেন। তারা আরো বলেন সারা বাংলাদেশে এই সংগঠন বিলুপ্ত হলেও বীর চট্রলায় সচল থাকবে।

Leave a Reply