Assignment এর মাধ্যমে মূল্যায়নে সমস্যা ও সম্ভাবনা।দুলাল চন্দ্র চৌধুরী সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।

আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে প্রায় ১৫ মাস যাবৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। তবে বন্ধ আছে বিষয়টির সাথে একমত নই। আমি বলব সরাসরি পাঠদান বা প্রত্যক্ষ পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ আছে।মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পক্ষ থেকে zoom cloud apps বা কোন apps দ্বারা ঘরে বসে ক্লাস নেওয়া যায় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৭ মার্চ ২০২০ খ্রি. থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

আমরা প্রথম দিকে মাত্র এক মাস শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা থেকে বিরত ছিলাম। আমরা উক্তরূপ নির্দেশনা পেয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন apps ব্যবহার করে ক্লাস নিয়ে আসছি। তবে তখনও যে সকল স্কুল অনলাইন ক্লাস নেওয়া শুরু করেনি তারাও কিন্তু ১৬ জুলাই ২০২০ খ্রি. চিঠির কারণে অনলাইন ক্লাস নেওয়ায় তৎপর হন।কারণ প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাইয়ের ১৩ তারিখ পর্যন্ত অনলাইন ক্লাসের তথ্য প্রেরণ করতে বলা হয় এবং সাথে অনলাইন ক্লাস নেওয়া লিংক দিতে বলা হয়।

তাই যারা অনলাইন ক্লাস শুরু করেন নাই তারও জুলাই মাস থেকে অনলাইন ক্লাস নেওয়া শুরু করে। ২৭ আগষ্ট পরিচালক মাধ্যমিক স্যার এর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আসে তাতে সংসদ টেলিভিশনে প্রচারিত “আমার ঘরে আমার স্কুল ” পাঠদানের সাথে স্কুলের অনলাইনে ক্লাস সমন্নয় করতে বলেন।আমরা সে নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি এবং প্রতিমাসের ছয় তারিখে মধ্যে অনলাইন ক্লাসের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেছি। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রি. পরিচালক মাধ্যমিক স্যার পরিপত্র জারি করেন যে শিক্ষকগনকে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য টেলিফোনে যোগাযোগ করতে বলেন। শ্রেনি শিক্ষকগন মুঠো ফোনে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ রাখছে কি না তা মনিটরিং করবে প্রধান শিক্ষক। এ পর্যন্ত assignment প্রসঙ্গ আসে নাই। আমরা অনলাইন পাঠদান নিয়েছি কিন্তু কোন মূল্যায়নের নির্দেশনা পাই। তবে কোন কোন স্কুল স্ব প্রনেদিত হয়ে অনলাইন পরীক্ষা নিয়েছে। কিছু সংখ্যক লোক এ নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা অপ্রচার চালিয়েছে। যার ফলে মূল্যায়ন পদ্ধতি assignment এর প্রচলন শুরু হল। তবে assignment এর জন্য কোন ফি নেওয়া যাবেনা।

Assignment খাতা অভিভাবক তৈরি করে নিবে।শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নমুনা দিয়ে দিল।আমরা মানতে বাধ্য হলাম। শুরু হল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে assignment প্রদান ও গ্রহণ। বিরম্বনা শুরু হল এখান থেকে। যেহেতু কোন ফি নেওয়া যাবে না তাই কোন কোন স্কুল assignment সরাসরি ডাউন লোড করে ফটোকপি করে শিক্ষার্থী হাতে দিয়েছে। এ জন্যও তো একটা খরচ আছে। এ টাকা কোথায় পাবে।তাই কিছু স্কুল লিংক দিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা ফটোকপির দোকান থেকে assignment সংগ্রহ করেছে।

যা মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। যা খুবই প্রাসঙ্গিক। বিদ্যালয় কোথা থেকে টাকা পাবে।তাদের আয়ের একমাত্র উৎস ছাত্র বেতন। উপর থেকে তৈরি করা একই assignment সব স্কুলের জন্য হওয়ায় একশ্রেণির অসাধু কোচিং ব্যবসায়ী এ সুযোগ নিয়ে অনলাইনে সমাধান বের করে দিল। ফলে assignment বিতর্কিত হল।আমার মনেহয় এ assignment তৈরি এবং খাতা তৈরির জন্য একটা মিনিমাম ফি নির্ধারণ করে দিলে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার মতকরে নমুনা assignment দেখে প্রশ্ন তৈরি করে দিলে অনলাইনে উত্তর পাওয়া যেত না। assignment ব্যবস্থা এত বিতর্কিত হতো না।তার পরেও বলব সরকারের, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই, তারা বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেছ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা সঙ্গে যুক্ত করার। যতগুলো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল শিক্ষার্থীদের assignment এর মাধ্যমে ব্যাস্ত রাখা। তবে পাবলিক পরীক্ষার বিকল্প assignment এর মাধ্যম মূল্যায়ন হতে পারে না।শিখনকালীন মূল্যায়নের একটি অংশ হলো assignment ।

তাই একটি অংশ কখনো পুনাঙ্গের সমতুল্য হতে পারে না।আর এটাই assignment মূল্যায়নের সমস্যা। তবে এর সম্ভাবনাও আছে বলে আমি মনে করি।যেমন নকল বা প্রশ্ন ফাঁসের মহাৎসবের সময় ওপেন বুক এক্সামের কথা বলা হয়েছিল। সেই রকম ভাবে যদি assignment এর প্রশ্ন করা যায় তবে assignment এর মাধ্যমে মূল্যায়নের সম্ভাবনা আছে। তবে আমার ব্যক্তিগত ও সংগঠনগত মতামত ০১. সংক্রমণ কমে গেল সংক্ষিপ্ত নম্বরের প্রশ্ন করে বিষয় সংখ্যা কমিয়ে, পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়িয়ে হলেও পরীক্ষার নিয়ে ফলাফল প্রকাশের। ০২. ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত অপেক্ষা করে কোন উপায় না থাকলে অটোমেশন না দিয়ে assignment . এর মূল্যায়নের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই যাতে অনলাইনে প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া যায় তার সম্ভাব্য বকল্প খোঁজা। এগুলো আমার এবং আমাদের সংগঠনের নিজস্ব মতামত। সর্বপরি শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেটা করবে তা আমরা মেনে নিব।

 

ধন্যবাদান্ত দুলাল চন্দ্র চৌধুরী সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।

আরও পড়ুন: Doctor List of all Popular Diagnostic Center/Hospital Dr.list Dhaka Dhanmondi | পপুলার হাসপাতাল ডাক্তার তালিকা,লিস্ট

 

ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

Leave a Reply