Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
যে গ্রামের সব তরুণীই সুন্দরী, তবুও বিয়ের জন্য পাত্রই জোটে না!

যে গ্রামের সব তরুণীই সুন্দরী, তবুও বিয়ের জন্য পাত্রই জোটে না!

‘নোইভা ডো কোরডোইরো’, ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার একটি পাহাড়ি গ্রামের নাম। এই গ্রামে নারীদের আধিক্য বেশি। ২০১৪ সালের তথ্যানুযায়ী, ছয় শতাধিক নারী রয়েছেন এই গ্রামে, যাদের সবাই সুন্দরী। কিন্তু বিয়ে করেছেন মাত্র হাতেগোনা ক’জন। কারণ বিয়ের জন্যই পাত্রই খুঁজে পান না তারা।

অবিশ্বাস্য হলেও, ঘটনাটি সত্য। অদ্ভূত একটি কারণে ব্রাজিলের এই গ্রামে সুন্দর সুন্দর সব তরুণীদেরও অবিবাহিতই থেকে যেতে হচ্ছে।

জানা গেছে, গ্রামটির যে ক’জন নারী বিয়ে করেছেন তারা ওই গ্রাম ছেড়ে কখনও কোথাও যাননি। ফলে স্বামীকে ছাড়াই থাকতে হয় তাদের। সপ্তাহ শেষে দু’দিনের জন্য গ্রামে আসেন স্বামীরা। তাছাড়া এই গ্রামের ছেলেদের ১৮ বছর বয়স হলেই বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ক্রমেই পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি।

সেন্টমার্টিনকে মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া ঘোষণায় অভিনন্দন ডিক্যাপ্রিওর

এই গ্রামের সকল নারী এবং তরুণী খুবই সুন্দরী। কিন্তু তা সত্ত্বেও জীবনসঙ্গীর অভাব কেন? জানা গেল সেই অদ্ভূত কারণ। এই গ্রামের একটি রীতি রয়েছে, বিয়ের পর কোনও মেয়ে গ্রাম ছেড়ে কোথাও যাবেন না। স্বামীকেই ওই গ্রামে তার স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। ফলে এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই গ্রামের তরুণীদের জন্য।

সুন্দরী এবং বিবাহযোগ্যা হলেও মেয়েরা সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছেন না। গ্রামেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে বলে আশেপাশের এলাকার কোনও পুরুষই ওই গ্রামে বিয়ে করতে চান না। ফলে বিবাহযোগ্য ও সুন্দরী হওয়া সত্ত্বেও মেয়েদের অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে শুধু এই কারণেই।

ধর্ষণের শিকার সেই শিশুর ভর্তি বাতিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

এর পিছনেও একটি গল্প রয়েছে। জানা যায়, ১৮৯০ সালে মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামে একটি মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে ‘নোইভা ডো কোরডোইরো’ এলাকায় চলে আসেন। ১৮৯১ সালে তিনি এখানে একটি গ্রাম গড়ে তোলেন। আর তখন থেকেই স্থির হয় এই গ্রামের কোনও মেয়ে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি যাবে না। স্বামীকেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। গ্রামের এই অদ্ভুত রীতির কারণেই অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে সেখানকার নারীদের।

সূত্র: ডেইলি মেইল

Leave a Reply