Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
২০১৮ সালের এম পিও নীতিমালা ও ২০২১ সালের এম পিও নীতিমালার কিছু

২০১৮ সালের এম পিও নীতিমালা ও ২০২১ সালের এম পিও নীতিমালার কিছু দূর্বল দিকের আলোচনা পর্ব ০4

শামীমা আফরোজ

নিউজ টাইমস

ধন্যবাদ স্যার , অত্যন্ত সুন্দর ভাবে ২০২১ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এম. পি. ও নীতিমালায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহঃ প্রধান ও প্রধানদের উচ্চতর গ্রেড প্রদানের বিষয় যে অস্পষ্টতা ছিল তা আপনার বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে। এবার আপনার কাছে জানতে চাইব জানতে চাইব মাধ্যমিক বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে এম. পি. ও. ভুক্ত হলে কর্মরত প্রধান শিক্ষকের কাঙখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের থেকে এক ধাপ নীচের স্কেলে বেতন প্রদানের বিষয় আপনার মতামত কী?

দুলাল চন্দ্র চৌধুরী, আপনাকে ধন্যবাদ, দেখুন ২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এম.পি ও নীতিমালায় ১০.১৫ ধারায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিক হিসেবে এম.পি.ও ভূক্ত হলে কর্মরত প্রধান শিক্ষক স্বপদে স্ববেতনে নিয়োজিত থাকার বিধান ছিল। শিক্ষক সংগঠনগুলোর পক্ষে আমরা এই ধারার পরিবর্তন চেয়েছিলাম।

Read More: ২০১৮ সালের এম পিও নীতিমালা ও ২০২১ সালের এম পিও নীতিমালার কিছু দূর্বল দিকের তুলনামূলক আলোচনা পর্ব ০১

কিন্তু ২০২১ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এম পি ও নীতিমালায় এসে উক্ত ধারা পরিমার্জন করে ১১.২৩ ধারায় যুক্ত করা হয়েছে যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিক হিসেবে এম পি ও ভুক্ত হলে কর্মরত প্রধান শিক্ষকের উচ্চ মাধ্যমিকের অধ্যক্ষের জন্য কাঙ্খিত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে ৭ম গ্রেডে ৫ বছর চকুরি পূর্ণ হলে অধ্যক্ষ হিসেবে মর্যাদা পাবে কিন্তু বেতন পাবে অধ্যক্ষদের বেতন স্কেল থেকে এক ধাপ নীচের গ্রেডে।আমরা এধরণের পরিমার্জন চাই নি।আমরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিক হিসেবে এম পি ও ভুক্ত হলে কর্মরত প্রধান শিক্ষকের উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের জন্য কাঙ্খিত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে অধ্যক্ষের পদ মর্যাদা সম বেতন স্কেল চাই।শুধু প্রধান শিক্ষক নয় সহকারী শিক্ষকদেরও যদি প্রভাষকের জন্য কাঙ্খিত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে তবে তাদেরও প্রভাষক পদে পদোন্নতি দিতে হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যাদের পরিশ্রমের কারণে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত হল তাদের ভাগ্য কোন পরিবর্তন হবে না এটা মনে নেওয়া যায় না। মানুষ কিছু পাওয়ার আশায় কাজ করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক কর্মচারীদের সার্বিক সহযোগিতা মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত হলো। সেখানে প্রতিষ্ঠান প্রধান সহ সকল শিক্ষকদের অবদান আছে।যারা উন্নয়নে অবদান রাখল তাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আপনাদের এত আপত্তি কেন? মানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পাস পরবর্তীতে বি,এড প্রশিক্ষণ নিতে হয়। কিন্তু এখন অধিকাংশ শিক্ষক স্নাতকোত্তর। তারা প্রভাষক হিসেবে কলেজে চাকরি করার যোগ্য।

পদ সংকুলান না হওয়ায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় হেরে গিয়ে জীবন বাঁচতে সহকারী শিক্ষক হিসেবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় আত্মনিয়োগ করেন।আর একানে কারণে তাকে সারা জীবন অযোগ্য মনে করবেন এটা মেনে নেওয়া যায় না। ভালো কাজের পুরস্কার এবং মন্দকাজের জন্য তিরস্কারের ব্যবস্থা থাকা উচিত সর্বত্র। শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তা দেশ বিদেশ ভ্রমণ করে উন্নত দেশের শিক্ষা পদ্ধতি ধার করে নিয়ে আসেন।

আরও পড়ুন:বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

আমরা তা বাস্তবায়ন করি।উন্নত দেশ থেকে সে দেশের শিক্ষকদের পদোন্নতির যে ধারা আছে সেটা নিয়ে এসে আমাদের দেশে বাস্তবায়ন করুন। দেখুন কাজে লাগবে।শিক্ষকদের কর্মে উদ্দীপনা আসবে। গতানুগতিক গালভরা সস্তা মুখরোচক কথায় আর সম্মানও বারেনা,পেটও ভরে না।শুধু কথায় আর কলকাল চিরে ভিজানোর চেষ্টা করবেন? সময় এসেছে শিক্ষকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধি করার।

তাই আমরা ২০২১ সালের জনবল কাঠামো এবং এম. পি. ও. নীতিমালার ১১.২৩ ধারা পরিমার্জন করে সেখানে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের মর্যাদাসহ ৫ম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষক যারা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তাদের প্রভাষক পদে উন্নীত করনের দাবি করছি।

দুলাল চন্দ্র চৌধুরী
সাংগঠনিক সম্পাদক
বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।

ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

Leave a Reply