আমার মনে প্রশ্ন ছিল কবি কালিদাসকে কেন কালিদাস পন্ডিত বলা হয়! সংস্কৃত ভাষায় তিনি যে পন্ডিত ছিলেন এতে মনে কোন সন্দেহ নাই। তারপর আরো যতদুর বুঝতে পারলাম, তার উপস্থিত বুদ্দির জন্যও তিনি পন্ডিত হতে পারেন। হতে পারেন তার ধাঁধাঁ লিখার জন্য! ধাঁধাঁ মানেই তো কালিদাস পণ্ডিত!
- কালিদাস পণ্ডিতের একটা উপস্থিত বুদ্দির নমুনা কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক জনাব মোস্তফা কামালের (মেইল করে জানিয়েছি) লেখা থেকে আপনাদের জন্য তুলে দিলাম।
- কালিদাস পণ্ডিত বিয়ে করেছিলেন রাজা বিক্রম আদিত্যের মেয়েকে। রাজার আরো কয়েকটি মেয়ে ছিল। তিনি মেয়েদের যাঁদের কাছে বিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা সবাই ছিলেন পণ্ডিত মানুষ। পণ্ডিতদের মধ্যে সবার সেরা ছিলেন কালিদাস পণ্ডিত। তাঁর সঙ্গে বিদ্যা-বুদ্ধিতে কেউ পারতেন না। কিন্তু তাঁরা সবাই মিলে কালিদাস পণ্ডিতকে বেশ বিপাকে ফেললেন। ঈর্ষাপরায়ণ হয়েই তাঁরা এটা করেছিলেন। তাঁরা সবাই বললেন, ‘ঠিক আছে, আমরা মানলাম কালিদাস খুব বড় পণ্ডিত। কিন্তু তাঁর বাবা কে? আমরা তাঁর বাবাকে দেখতে চাই।’
- সবাই যখন আবদার করলেন তখন তো দেখাতেই হয়। তিনি তাঁর বাবাকে নিয়ে রাজদরবারে হাজির হলেন। কালিদাস পণ্ডিতের বাবা ছিলেন মূর্খ মানুষ। তিনি বেফাঁস কিছু বলে ফেলেন কি না তাই কালিদাস পণ্ডিত তাঁর বাবাকে বলে রেখেছেন, তিনি যেন ভগবান ছাড়া আর কিছুই না বলেন।
- রাজদরবারে বড় বড় পণ্ডিত বসে আছেন। তাঁদের সামনে বাবাকে নিয়ে হাজির হলেন কালিদাস পণ্ডিত। সবাই তাঁকে নানা কথা জিজ্ঞাসা করেন। কালিদাস পণ্ডিতের বাবা ছেলের শেখানো বুলি এর মধ্যেই ভুলে গেছেন। কী আর করা! তিনি শুধু বললেন, ভক্কর-ভক্কর।
এ কথা শুনে সবাই হাসাহাসি শুরু করলেন। - কালিদাস পণ্ডিত লজ্জায় একেবারে লাল! বাবার কারণে নাক কাটা যাবে! তা তো কিছুতেই হতে পারে না। পরে কালিদাস পণ্ডিত বুদ্ধি খাটিয়ে বললেন, আপনারা হাসছেন কেন? আপনারা তো বুঝতেই পারেননি বাবা কী বলেছেন?
- সবাই তখন জানতে চাইলেন, কী বলেছেন?
- বাবা বলেছেন, ভক্কর। এর মানে হচ্ছে, ভ-তে ভগবান, ক-তে কৃষ্ণ আর র-তে রাধা।
সবাই তখন বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকালেন। আর এভাবেই লোকলজ্জা থেকে রক্ষা পেলেন কালিদাস পণ্ডিত। - একেই বলে উপস্থিত বুদ্দি! বাংলাদেশে এক মাত্র ভাল উপস্থিত বুদ্দি রাজনীতিবিদের মাঝেই দেখা যায়! যারা ক্ষমতায় থাকে তাদেরই বেশী বেশী থাকে! ভাল উপস্থিত বুদ্দি থাকা লোক কখনো বেকার থাকে না!
- কালিদাস পণ্ডিতের ধাঁধাঁ গুলো আসাধারন। তবে এসব ধাঁধাঁ তিনি সংস্কৃত ভাষাতেই লিখেছিলেন বলে প্রতীয়মান হয়, কারন সেই যুগে বাংলা ভাষার এমন রুপ ছিল বলে মনে হয় না! কিন্তু এগুলো বাংলা করলো কোন সব পন্ডিত! এসব পন্ডিতদের নাম ইতিহাস আর মনে রাখে নাই উপরি এখনো কেহ ধাঁধাঁ লিখলে সেটাও কালিদাস পন্ডিতের নামে হয়ে যায়!
- গত কয়দিনে কালিদাস পণ্ডিতের বেশ কিছু ধাঁধাঁ পড়েছি। আপনাদের জন্য তা থেকে ১০টা পেশ করছি। দেখি আপনারা কে কে জবাব দিতে পারেন। প্রতিটি পারার জন্য ১ নাম্বার পাবেন। চলুন ধাঁধাঁতে চলে যাই!
- ১।
কালিদাস পণ্ডিতে কয় বাল্যকালের কথা,
নয় হাজার তেঁতুল গাছে কয় হাজার পাতা।
২।
শুইতে গেলে দিতে হয়, না দিলে ক্ষতি হয়,
কালিদাস পন্ডিত কয় যাহা বুঝেছ তাহা নয়।
৩।
চক থেকে এল সাহেব কোর্ট প্যান্ট পরে,
কোর্ট প্যান্ট খোলার পরে চোখ জ্বালা করে।
৪।
পোলা কালে বস্ত্রধারী যৌবনে উলঙ্গ,
বৃদ্বকালে জটাধারী মাঝখানে সুড়ঙ্গ।
৫।
বাঘের মত লাফ দেয়, কুকুর হয়ে বসে,
পানির মধ্যে ছেড়ে দিলে সোলা হয়ে ভাসে।
৬।
হাসিতে হাসিতে যায় নারী পর পুরুষের কাছে,
যাইবার সময় কান্নাকাটি ভিতরে গেলে হাসে।
৭।
আমি তুমি একজন দেখিতে এক রুপ,
আমি কত কথা কই তুমি কেন থাক চুপ।
৮।
কালিদাস পন্ডিতের ফাঁকি,
আড়াইশ থেকে পাঁচ পঞ্চাশ গেলে
আর কত থাকে বাকী।
৯।
শোন ভাই কালিদাসের হেয়ালীর ছন্দ,
দরজা আছে হাজারটা তবু কেন বন্ধ।
১০।
শুভ্রবাসান দেহ তার,
করে মানুষের অপকার।
চিতায় তারে পুড়িয়া মারে,
তবু সে উহ আহ না করে। - ধাঁধাঁ ৯ ও ১০ নংটা নিয়ে আমার অভিমত – এগুলো কালিদাস পণ্ডিতের হতে পারে না! হা হা হা…। আরো অনেক আছে, আপনাদের উৎসাহ পেলে আরো পোষ্ট দেয়া যাবে!
- ধা-১৬১
Read More: খনার জনপ্রিয় ১৮৫টি বচন (khanar bachan) khanar janaprio bachanকালিদাস পণ্ডিতকে তার পত্নী বললেন বাজারে যেতে। বাজারে যাবার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। স্ত্রী চটি জোড়া এনে রাখলেন পায়ের কাছে। চটিতে পা গলাতে গলাতে কালিদাসের মুখে এলো এই ছড়াঃজন্ম তার জলে নয়,
জন্ম তার খালে
হস্ত নাই, পদ নাই
দুই চরণে চলে।ছড়া বলা শেষ করে হাসি মুখে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলেন সে জিনিষটা কি হতে পারে। কালিদাস পত্নী মুখ ঝামটা দিয়েআঁচলে বাঁধা চাবির তোড়া পিঠের দিকে ছুড়ে দিয়ে বললেন, “ মিনসের ঢং দেখে আর বাঁচি না”! আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন হস্ত-পদবিহীন বস্তুটা কী হতে পারে।
ধাঁধা-১৬২
রতনের দোকান থেকে একজন অপরিচিত লোক ১০০ টাকার নোট দিয়ে ৩৭.৫০ টাকার বিস্কুট আর কলা কিনেছে। লোকটা এমন ভাবে দামাদামী করছিল যে সকাল থেকে বেচাঁ কেনা নেই বলে কেনা দামেই রতনকে সব দিতে হল। রতনের কাছে ভাংতি ছিল না বলে পাশের দোকানের মজনুর কাছ থেকে টাকাটা ভাঙিয়ে এনে অপরিচিত লোকটাকে বিস্কুট,কলা আর বাকী ৬২.৫০ টাকা দিয়ে বিদায় করেছে। বসে বসে যখন হিসাব কষছে সকাল সকাল কত লাভ হল ঠিক তখনই মজনু এসে উপস্থিত। বলে কি ১০০ টাকার যে নোটটা সে একটু আগে ভাঙিয়ে এনেছে সেটা জাল। রতন টাকাটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখল ঘটনা সত্য। কি আর করা। মজনুকে আরেকটা ১০০টাকার নোট দিয়ে জাল নোটটা রাগে দুঃখে ছিড়তে বসল আর ভাবতে লাগল সব মিলিয়ে ঠিক কত টাকা লস হল তার। বিস্কুট গেল, কলা গেল, মজনুকেও ১০০ টাকা দিতে হল। আপনারা কি ওকে একটু সাহায্য করতে পারেন।
ধাঁধা-১৬৩
নিজের গালে নিজে চড় মারি কখন?
বি.দ্র. “নিজের প্রতি বিরক্ত হয়ে”-এই উত্তর দিলে, উত্তর ভুল হবে।
ধাঁধা-১৬৪
বাজারের থলি হাতে ঘর থেকে বের হবার মুখে স্ত্রীর ডাকে ফিরে তাকালেন কালিদাস পণ্ডিত। ক্ষণপূর্বে পণ্ডিতের সওয়ালের জবাবে দিয়েছিলেন মুখ ঝামটা। এক্ষণে পণ্ডিতের সাথে তার পত্নী করলেন কিছুটা রহস্যপূর্ণ আচরণ। বাজার থেকে অন্যান্য সদাইয়ের সাথে আরো যা আনতে হবে তা কালিদাসকে জানালেন। জানালেন বটে, তবে তা সরাসরি নয়, ছড়ায়-ছন্দে, কালিদাসীয় কায়দায়। তিনি বললেন,
কাঁসারীর সারী ছাড়া
পাঁঠা ছাড়া পা,
লবঙ্গের বঙ্গ ছাড়া
কিনে এনো তা’।পণ্ডিত মুচকি হেসে ঘাড় নেড়ে বাজারের দিকে রওনা হলেন। মনে মনে খুশিও হলেন স্ত্রীর পাণ্ডিত্যে।
ধাঁধা-১৬৫
কোন জিনিস কাটলে আলাদা হয় না।
ধাঁধা-১৬৬
পণ্ডিত যাচ্ছেন একমনে ঘাসের গালিচা বিছানো ছায়া ঢাকা ঢাকা পথ দিয়ে। ফসল ভরা মাঠের পাশেই চারণ ক্ষেত্রে গরু, মহিষ, ছাগলের পাল চরছে। আপন মনে পথ চলতে চলতে কালিদাস আউড়ালেনঃ
কালিদাস পণ্ডিতে কয়
পথে যেতে যেতে,
নেই তাই খাচ্ছো,
থাকলে কোথায় পেতে?কি দেখে ও কী ভেবে তার মনে এই ছড়ার উদয় হয়েছিল, তা কী কেউ বলতে পারেন?
[ধাঁধাগুলো সত্যই কালিদাসের কিনা তা আমি নিশ্চিত নই। এই পণ্ডিত সম্পর্কে কারো জানা থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করলে খুশি হবো।]
ধাঁধা-১৬৭
করিম সাহেব তার উকিল জলিল সাহেবের সাথে জেলখানায় কথা বলছেন। তারা জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু জজ সাহেব জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় তারা খুবই আপসেট হয়ে পড়েছেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে একজন সেন্ট্রি এসে করিম সাহেবকে যেতে বলায় তিনি জেল থেকে বের হয়ে বাসায় চলে গেলেন। সেন্ট্রিটি করিম সাহেবকে যেতে দিল কেন?
ধাঁধা-১৬৮
শিকড় ছাড়া গাছটি
ফল ধরে ১২ টি
পাকলে হয় একটি।বলুন তো জিনিস টা কি?
ধাঁধা-১৬৯
একটা মেয়ে একটা বাচ্চাকে গোসল করাচ্ছিল। তাকে প্রশ্ন করা হলো, “এই বাচ্চা ছেলেটি তোমার কে হয়?” মেয়েটার উত্তর, “এর বাপ যার শ্বশুর, তার বাপ আমার শ্বশুর।” বলতে হবে এদের দুজনের সম্পর্ক কি?
ধাঁধা-১৭০
আমি রড দিয়ে এমন একটি খাঁচা বানালাম যার কোনো দরজা নেই, জানালা নেই বা এমন কোনো ফাঁক নেই যা দিয়ে আপনি বের হয়ে আসতে পারবেন। আপনার সাথে এমন কোনো কিছু নেই যা দিয়ে রড কাটতে পারবেন। এখন বলেন, এই খাঁচা থেকে কিভাবে বের হবেন ?
১৬৩. মুখ ধুয়ার সময়
১৬৪. কাঠাল
১৬৬.নামটা ভুলে গেছি এটা অন্যের জমি গরু ছাগলে খেলে যারা ধরে নিয়ে যায় জরিমানা দিয়ে আনতে হয় সেটা।
১৬৯। মেয়ের ভাই
১৭০. ঐ খাচায় ঢুকবে কিভাবে?
- লেখকবলেছেন: উত্তর সঠিক।লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: ধাঁধা-১৬২রতনের দোকান থেকে একজন অপরিচিত লোক ১০০ টাকার নোট দিয়ে ৩৭.৫০ টাকার বিস্কুট আর কলা কিনেছে। লোকটা এমন ভাবে দামাদামী করছিল যে সকাল থেকে বেচাঁ কেনা নেই বলে কেনা দামেই রতনকে সব দিতে হল। রতনের কাছে ভাংতি ছিল না বলে পাশের দোকানের মজনুর কাছ থেকে টাকাটা ভাঙিয়ে এনে অপরিচিত লোকটাকে বিস্কুট,কলা আর বাকী ৬২.৫০ টাকা দিয়ে বিদায় করেছে। বসে বসে যখন হিসাব কষছে সকাল সকাল কত লাভ হল ঠিক তখনই মজনু এসে উপস্থিত। বলে কি ১০০ টাকার যে নোটটা সে একটু আগে ভাঙিয়ে এনেছে সেটা জাল। রতন টাকাটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখল ঘটনা সত্য। কি আর করা। মজনুকে আরেকটা ১০০টাকার নোট দিয়ে জাল নোটটা রাগে দুঃখে ছিড়তে বসল আর ভাবতে লাগল সব মিলিয়ে ঠিক কত টাকা লস হল তার। বিস্কুট গেল, কলা গেল, মজনুকেও ১০০ টাকা দিতে হল। আপনারা কি ওকে একটু সাহায্য করতে পারেন।
উওর ঃ ১০০ টাকা ।
——————————————————————
ধাঁধা-১৬৩
নিজের গালে নিজে চড় মারি কখন?
উওর ঃ গালে মুশায় কামড় দিলে
————————————————–
ধাঁধা-১৬৫
কোন জিনিস কাটলে আলাদা হয় না।
উওর ঃ পানি
————————————————
- দেশের_কথাবলেছেন: লিঙ্কনহুসাইনভাই ১৬২.এ ২০০ টাকাই হবে।কারন তার ৩২.৫ টাকার পুজি গেলো সাথে ক্যাশ ৬২.৫ টাকাও । আবার জাল নোটের ১০০ টাকাও গেলো। সে কিছুই পেলোনা।
- ১৯ শে জুন, ২০১২ সকাল ৯:০২০
- লেখকবলেছেন: ভুল উত্তর।
- বলেছেন: জাল নোটের ১০০ টাকা লস, কিন্তু ভাংতি টাকা যেটা পেয়েছিল, তা থেকে ক্রেতা কে ৬২.৫ টাকা দেয়া হয়েছে আর পণ্যের মুল্য হিসাবে ৩৭.৫ টাকা নিজে রেখেছে , তাই ১০০ টাকা সর্বমোট লস ,কারণ ভাংতি টাকা তো দোকানির নিজের থেকে যায়নি
- ১.
এক মুড়ি তিন মাথা
নিত্য খায় লতাপাতা।
লতা পাতা খেয়ে বুড়ি
চোখে মুখে ধোঁয়ার তুড়ি।
উত্তর : চুলা - ২.
এক শালুকের দুই মাথা
শালুক গেল কলকাতা
শালুক যদি মনে করে
ভরা নদী পার করে
উত্তর : নৌকা - ৩.
এক শালিকের দুই মাথা
শালিক গেল নিতে গোলপাতা
গেল শালিক পানিতে ভেসে
মাঝি ভাই উঠলো হেসে।
উত্তর : নৌকা - ৪.
এক গাছে হয় তিন তরকারি
আজব কথা বলি হাড়ি।
উত্তর : কলাগাছ - ৫.
এক শালিকের তিন মাথা
দেহ মুখে আঠা।
বাক্সের ভিতর ফেলি তবু,
যায় দেশ বিদেশ।
উত্তর : চিঠি। - ৬.
এক খাটে তিনটা চুড়ো,
তার ওপর বুড়ো জমিদার।
বুড়ো বসে টলমল করে।
মুখ দিয়ে ফেনা পড়ে তার।
উত্তর : ভাতের হাঁড়ি। - ৭.
এক মুড়ি বারো ভাই, একসাথে রয়
সকল ভাইয়ের সবাই একই নাম কয়।
উত্তর : দাঁত। - ৮.
এক মাঘে যায় নাকো,
সারা বছর বয়নাকো।
উত্তর : শীত। - ৯.
এক মাথা আট কান
ঢল ঢলে জামা গায়
ঠোলা দিলে ফুলে উঠে,
তোমরা কি বলো তায়?
উত্তর : ছাতা। - ১০.
এক বুড়ির এক মুখ
আর তিন মাথা।
সকাল সাঁঝে রোজই
খায় লতাপাতা।
উত্তর : চুলা। - ছন্দে ছন্দে ধাঁ ধাঁ
- সুত্র: সংগৃহীত
- ১.
দেখা যায় না গাছটি,
ফল ধরে বারটি
পাকলে হয় একটি
বল তো এটা কি - উত্তর : বার মাস ও এক বছর।
- ২.
ধেয়ানে গোসল ধেয়ানে ভোজন
এক সাথে তিন কাজ করে কোনজন? - উত্তর : মাছরাঙা।
- ৩.
দেহে আছে প্রাণ নেই, সে এক রাজা
সৈন্য সব আছে, নেই তার প্রজা। - উত্তর : দাবার গুটি।
- ৪.
দেড় কুড়ি শেয়ালের
তিনটি লেজ।
বহুত দেখি হিসাবটা,
প্রতিটিতে কত দূর? - উত্তর : একটা লেজ।
- ৫.
ধরতে গেলে পালিয়ে যায়,
রূপের মত রং তবু রুপা নয়। - উত্তর : পারদ।
- ৬.
দেখিতে সুন্দর অতি, জীব কিন্তু নয়,
পেটের মধ্যে হাত তার, সদা ব্যস্ত রয়।
আপনি বুঝিতে নারে, বুঝায় সে পরে।
সময় জানিবে তার গমন অনুসারে। - উত্তর : ঘড়ি।
- ৭.
দিনে করি শতেক বিয়ে,
কাবিন নাহি হয়।
ছেলে মেয়ের মালিক
আমি কোন কালেই নয়। - উত্তর : মোরগ।
- জানা ধাঁধাঁ অজানা ধাঁধাঁ
- সুত্র: সংগৃহীত
- ১.
ভারতের মধ্যে আছে
কোন সে প্রদেশ?
পেট তার কেটে দিলে,
খেতে লাগে বেশ - উত্তর : আসাম, আম।
- ২.
- ভিতরে আমার সুষম খাদ্য,
বাইরে আবর্জনা
আমায় নিয়ে কাড়াকাড়ি করে
কতো রসিকজনা
উত্তর : নারিকেল - ৩.
মরা দেহে হেঁটে যায়,
দু’পা গিলে খায়।
উত্তর : জুতা - ৪.
- ভজন নয়, গজল নয়,
হবেও সেটা খেয়াল।
পুচ্চহীনে ওজন করি,
মধ্যহীনে অল্প ধরি।
কও তো কি হয়?
উত্তর : টনক। - ৫.
- ভরা হলে সমৃদ্ধি,
ছোরা হল ভয় বৃদ্ধি
উত্তর : গোলা। - ৬.
- মেঘের ডাকে পানি ছেড়ে ডাঙ্গায় উঠে পড়ে
মানুষ তারে মাঠে পেলে নিয়ে যায় ঘরে।
উত্তর : কৈ মাছ। - ৭.
- মধু ভাই, যদু ভাই,
শ্যাম ভাই রাজা।
পিছন থেকে নাতি বলে,
দুই হাতে বাজা।
উত্তর : করতালি। - ৮.
ভাষা আছে কথা আছে
সাড়া শব্দ নাই।
প্রাণীর কাছেতে আছে,
তবু নিজের প্রাণ নেই।
উত্তর : বই। - এক-দুই-তিন
- সুত্র: সংগৃহীত
- ১.
তিন অক্ষরে নাম মোরা নাচতে পারি ভাল,
শেষের অক্ষর বাদ দিলে মারতেও পারি ভাল। - উত্তর : লাটিম।
- ২.
তিন বর্ণে নাম তার কে বলিতে পারে, গৃহ ছাড়া থাকে না সে সবে চিনে তারে।
আদি বর্ণ ছেড়ে দিলে পানি তে গড়ায়, মধ্যম ছাড়িলে তাতে পানি রাখা যায়।
শেষ বর্ণ ছাড় যদি জ্ঞানের মশাল, ইহা বিনা ধরাতলে সকলি বেতাল। - উত্তর : জানালা।
- ৩.
তিন অক্ষরে নামটি তার আছে সবার ঘরে, প্রথম অক্ষর কেটে দিলে খেতে ইচ্ছা করে।
মাঝের অক্ষর উড়ে গেলে বাজে সুরে সুরে। - উত্তর : বিছানা।
- ৪.
তিন অক্ষরে নাম ভাই আছে দুনিয়ায়,
শেষের অক্ষর বাদ দিলে, বাংলায় অর্থতৈরি হয়। - উত্তর : রেডিও।
- ৫.
রজনীতে জন্ম তার দিবসে মরণ, বিনাশ্রমে শূন্যপথে করে সে ভ্রমণ,
হঠাৎ পড়িলে সবে বলে অলক্ষণ। - উত্তর : তারা।
- ৬.
রাতের নিঝুম পথে কে চলেছে ছুটে, রয়েছে কাছে অনেক টাকা পাছে বা কেউ লুটে। - উত্তর : রানার।
- গ্রাম বাংলার ধাঁ ধাঁ
- সুত্র: সংগৃহীত
- ১.
হউরি মউরি চৌরি ঘর
আট কন্যার একটা বর। - উত্তর- ছাতা।
- ২.
কালো কালো ভোমরা
কালো ঘাস খায় ;
রাত হলে সব
ঘরে চলে যায়। - উত্তর- কাঁচি।
- আবার ধাঁ ধাঁ
- সুত্র: সংগ্রহ : আফছার উদ্দিন
- ১.
সুখাদ্য জিনিস বটে সর্বলোকে খায়।
অনিচ্ছায় বাধ্য হয়ে পড়ে যে ধরায়।
বুড়াতে খাইলে করে হায় হায়।
যুবক খাইলে লজ্জায় মরে যায়। - উত্তর : আছাড় খাওয়া
- ২.
নাই তাই খাচ্ছ তুমি থাকলে কোথায় পেতে।
কহে কবি কালিদাস পথে যেতে যেতে। - উত্তর : লেজ কাটা গরু
- ৩.
কাঁচায় তুলতুল পাকায় সিঁদুর।
যে না বলতে পারে তার বাবার বাবা ধেয়ে ইঁদুর। - উত্তর : মাটির হাড়ি
- ৪.
জলে জন্ম স্থলে কর্ম মালাকারে গড়ে।
ঠাকুর নয় ঠুকুর নয় মাথার উপর চড়ে। - উত্তর : টোপর
- আবার ধাঁ ধাঁ
- সুত্র: সংগ্রহ : আফছার উদ্দিন
- ১.
সুখাদ্য জিনিস বটে সর্বলোকে খায়।
অনিচ্ছায় বাধ্য হয়ে পড়ে যে ধরায়।
বুড়াতে খাইলে করে হায় হায়।
যুবক খাইলে লজ্জায় মরে যায়। - উত্তর : আছাড় খাওয়া
- ২.
নাই তাই খাচ্ছ তুমি থাকলে কোথায় পেতে।
কহে কবি কালিদাস পথে যেতে যেতে। - উত্তর : লেজ কাটা গরু
- ৩.
কাঁচায় তুলতুল পাকায় সিঁদুর।
যে না বলতে পারে তার বাবার বাবা ধেয়ে ইঁদুর। - উত্তর : মাটির হাড়ি
- ৪.
জলে জন্ম স্থলে কর্ম মালাকারে গড়ে।
ঠাকুর নয় ঠুকুর নয় মাথার উপর চড়ে। - উত্তর : টোপর
- রংধনু
- সুত্র: সায়ান আহমেদ
- ১.
আল্লাহর তৈরি পথ, সাত রঙে সৃষ্টি
কভু কভু দেখা যায়, হয় যদি বৃষ্টি - উত্তর : রংধনু
- ২.
আকাশ ধুমধুম পাতালে কড়া
ভাঙল হাঁড়ি লাগলো জোড়া - উত্তর : মেঘের ডাক ও বিজলী
- ৩.
আল্লাহর তৈরি রাস্তা,
তৈরি মানুষের সাধ্য নেই।
হরেক রকম নাম তার
বলোতো কি জিনিষ তা? - উত্তর : রংধনু
- ৪.
আল্লাহর কি কুদরত
লাঠির মধ্যে শরবত - উত্তর : ইক্ষু
- ৫.
আট পা, ষোল হাটু, বসে থাকে বীর বাটু,
শূন্যে পেতে জাল, শিকার ধরে সর্বকাল - উত্তর : মাকড়শা
- ৬.
রাঙ্গা বিবি জামা গায়,
কাটিলে বিবি দুই খান হয় - উত্তর : মসুরির ডাল
- তিন নিয়ে ধাঁ ধাঁ
- সুত্র: সায়ান আহমেদ
- ১.
তিন মাথা দশ পাও,
এই কথার দিস পাও- - উত্তর : হাল
- ২.
তিন বর্ণে নাম যার দেশের নাম হয়,
শেষ অক্ষর বাদ দিলে সবাই হারায়- - উত্তর : মিশর
- ৩.
তিন বর্ণে নাম তার ফুলে ফলে ভরা,
মাথা কাটলে গান শুনি প্রাণ আকুল করা,
পেট কাটলে বন্যা হয় দেশ ভাসায়ে দেয়,
বলো দেখি ভাইবোনেরা কিবা তাকে কয়? - উত্তর : বাগান
- ৪.
তিন বর্ণে নামটি কারভদ্রঘরে রয়,
পেট তার কাটা গেলে কোন সংখ্যা হয়।
শিরচ্ছেদ সদা ভাই বেচা কেনাই শুনি
শুধু মাথা খায় চুমি গুণি ও অগুণি - উত্তর : চাদর
- ৫.
তিন বর্ণে নামটি তার ছাত্র-ছাত্রী পড়ে
পেট তার কেটে দিলে বানান ভুল করে,
মাথা বাদে শেষঅংশে গোলাকার হয়,
বেলো দেখি নাম তার, গেলাপ কিন্তু নয় - উত্তর : ভূগোল
- ৬.
তিন বর্ণের নাম তার কানন বুঝায়,
পেট তার কেটে দিলে পেয় বস্তু হয়।
লেজতার কেটে দিলে মনে লাগে ভয়,
বল দেখি ভাইবোনেরা কিবা তারে কয় - উত্তর : জঙ্গল
- ৭.
তিন বর্ণের নাম তার সবার আদর পায়,
শেষের অক্ষর বাদ দিলে গায়ে পড়ি তারে
মস্তক বিহনে তার স্তন করি পান,
তাহার কারণে দেখি সারা জাহান - উত্তর : জামাতা
- ধাঁ ধাঁ
- সুত্র: ইমরান আহমেদ
- ১. তিন অক্ষরে নাম তার, জলে বাস করে/ মাঝের অক্ষর বাদ দিলে, আকাশে উড়তে পারে।
উত্তর : চিতল ও চিল - ২. উপরে কাটা, ভিতরে আঠা।
উত্তর : কাঁঠাল - ৩. একলোক হাটে যায়/ রাস্তায় রাস্তায় চিমটি খায়
উত্তর : লাউ - ৪. আরেক লোক হাটে যায় দু’একটা করে থাপ্পর খায়
উত্তর : মাটির পাতিল - এক কিশোরী কিছুদিন হলো গাড়ি চালাতে শিখেছে। তো হলো কি, একদিন সে একটি একমুখো (ওয়ান ওয়ে) রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু উল্টোদিক দিয়ে। ওই রাস্তায় কিন্তু দারুণ কড়াকড়ি, রাস্তার উল্টোদিকে গেলেই যখন তখন পুলিশ এসে ধরবে। কিন্তু মেয়েটাকে কোনো পুলিশই কিন্তু কিচ্ছু বলল না! কেন বলতে পার? ভেবে দেখ তো!
এই তো গেল এক নম্বর ধাঁধা। এ রকম আরো মজাদার ৯টা ধাঁধা মেলাবার চেষ্টা কর দেখি। মেলাতে পারলে তো তোমার বুদ্ধির তারিফ করতেই হবে। সবশেষে উত্তরগুলো দেওয়া থাকছে। মিলিয়ে নিও। আর হ্যাঁ, এই ধাঁধাগুলো ছোটদের জন্য এক মজার ওয়েবসাইট ব্রেইনডেন থেকে নেওয়া।
বাকি ৯ ধাঁধা
২. আমেরিকায় বসবাসকারী কোনো মানুষকে কেন কানাডায় কবর দেওয়া যায় না?
৩. কোনো পুরুষের জন্য কি তার বিধবা স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করাটা ঠিক হবে?
৪. এক লোক আয়তকার আঙ্গিকে বাড়ি বানাল। এর সব কটি দিকই দক্ষিণমুখের সুবিধা আছে। এখানেই হেঁটে এল এক তাগড়া ভালুক। ভালুকের গায়ের রং কী?
৫. তিনটে আপেল থেকে দুটি আপেল তুমি নিয়ে নিলে। তোমার কাছে আর কয়টা আপেল থাকল?
৬. একটি কুকুর একটি জঙ্গলে কতদূর পর্যন্ত দৌড়াতে পারবে?
৭. এক ফুটবলের পাগল বলল, সে খেলা শুরু হওয়ার আগেই খেলার স্কোর বলতে পারবে। কীভাবে পারবে?
৮. তোমাকে বলা হলো আগুন জ্বালাতে। তোমাকে এ জন্য দেওয়া হয়েছে কেরোসিন, কাগজ, মোমবাতি, ম্যাচবাক্স আর উলসুতা। কোনটা আগে জ্বালাবে?
৯. চীনের ছেলেরা জাপানি ছেলেদের চেয়ে বেশি ভাত খায় কেন?
১০. যে নারীর এক হাতের সব আঙুল নেই, তাকে কোন শব্দ দিয়ে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাবে? - উত্তর
২. জীবিত মানুষকে তো আর কবর দেওয়া যাবে না!
৩. লোকটা যদি মৃতই হয় তাহলে সে বিয়ে করবে কী করে?
৪. ভালুকের রং হবে সাদা, কারণ সবদিক দক্ষিণমুখো বাড়ি কেবল দক্ষিণ মেরুতেই সম্ভব।
৫. দুটো আপেল নিলে তোমার কাছে তো দুটো আপেলই থাকবে!
৬. পুরো জঙ্গল পর্যন্ত। তারপর জঙ্গল পেরিয়ে দৌঁড়ুবে।
৭. এটা বলা তো খুবই সহজ। ফুটবল খেলা শুরু হওয়ার আগে সবসময়ই স্কোর ০-০!
৮. অবশ্যই ম্যাচের কাঠি!
৯. কারণ চীনে ছেলের সংখ্যা জাপানে ছেলের সংখ্যার অনেক বেশি!
১০. স্বাভাবিক। কারণ কারো এক হাতে যদি সব আঙুল, মানে ১০টি আঙুলই থাকে; সে তো অস্বাভাবিক! - আর হ্যাঁ, প্রথম ধাঁধার জবাবটা তো ভুলেই গিয়েছিলাম দিতে। উল্টোপথে এগোলেও মেয়েটাকে পুলিশ কেন ধরেনি জানো? কারণ মেয়েটা তখন হাঁটছিলো! গাড়ি চালনা করছিলো না। উল্টোদিকে গাড়ি চালালে আইন ভাঙার প্রশ্ন আসতো, তাই না?
- JOKES & জোক্স
মজা না পেলে লাইক ফেরত।
জীবনবীমা করিয়ে পড়ুন।
_______________ _____
বল্টু এবং তার মেয়ের এর
মধ্যে কথা হচ্ছে–
বল্টুঃ তুই পালিয়ে বিয়ে করে আমার বংশ
দাঁগ লাগিয়েদিলি !
মেয়েঃ দাঁগ থেকে যদি দারুন কিছু হয়,
তবে তো দাঁগই ভালো।
_______________ ________
স্যারঃ পড়া যখন
পারনি মার তোমাকে খেতেই হবে।
বল্টুঃ তাহলে একটু
ওয়াসরুমে যেতে হবে।
স্যারঃ কেনো?
বল্টুঃ মা বলেছে কোন কিছু খাবার
আগে সাবান
দিয়ে ভাল ভাবে হাত
ধুয়ে নিতে।
_______________ __________
মেয়েঃ তোমাকে আমি খুব খুব খুব
ভালবাসি।
বল্টুঃ তোমার এত
ভালবাসা আমি কোথায় রাখব?
মেয়েঃ রাখার
জায়গা না পেলে ফেরত দিয়ে দাও
অন্য কাওকে দিয়ে দিব।
_______________ __________
মেয়েঃ তুমি আমায় কতটা ভালবাস?
বল্টুঃ সীমাহীণ।
মেয়েঃ তাহলে তাজমহল বানাচ্ছ
না কেন?
বল্টুঃ জমি কেনা হয়ে গেছে,
তোমার মরার অপেক্ষায় আছি।
মেয়েঃ কি?
_______________ _________
চালকঃ শালা পাগল, সরবি না তোর
গায়ের উপর দিয়া চালামু ?
বল্টুঃ আরে যা যা একটু আগে মাথার
উপর দিয়া বিমান গেল কিছুই হইল
না তোর তো হালার গাড়ি…. - তখনি খুব খারাপ লাগে,যখন এত কষ্ট করে
জোকস লিখেও আপনাদের কমেন্ট পাইনা।।
পুরোপুরি কমেন্ট করতে না চাইলে সংক্ষেপে
করুন আর আপনার পছন্দের বন্ধুটিকে মেনশন
করে পড়ার সুযোগ করে দিন।। - গোপালভারের ধাঁধা উত্তর সহ
- একশো মজার প্রশ্ন মজার উত্তর শিখুন।
- বন্ধুদের সঙ্গে বিকালের আড্ডায় কিংবা বিয়ের বাড়িতে মজা করতে শিখে নিন ১০০ মজার ধাঁধা ও ধাধার উত্তর।
- ধাঁধাঁ ১.
- তিন অক্ষরে নামটি তার আছে সবার ঘরে,
- প্রথম অক্ষর কেটে দিলে খেতে ইচ্ছে করে।
- মাঝের অক্ষর উড়ে গেলে বাজে সুরে সুরে।
- উঃ–বিছানা।
- ধাঁধাঁ ২.
- তিন বর্ণে নাম তার পুস্প কুরে বাস,
- দুয়ে তিনে হের মোরে ফরেতে প্রকাশ
- এ তিনে যাহা পাও তারে খেরে সবে,
- বরো দেখি কোন নামে চলি ভবে
- উঃ—বকুল ফুল।
- ধাঁধাঁ ৩.
- তিন অক্ষরে নাম মোর নাচতে পারি ভাল,
- শেষের অক্ষর বাদ দিলে মারতেও পারি ভাল
- উঃ—লাটিম।
- ধাঁধাঁ ৪.
- তিন বর্ণে নাম তার কে বলিতে পারে,
- গৃহ ছাড়া থাকে না সে সবে চিনে তারে।
- আদি বর্ণ ছেড়ে দিলে পানি যে গড়ায়,
- মধ্যম ছাড়িতে তাতে পানি রাখা যায়।
- শেষ বর্ণ ছাড় যদি জ্ঞানের মশাল,
- ইহা বিনা ধরাতলে সকলি বেতাল।
- উঃ–জানালা
- ধাঁধাঁ ৫.
- তিন অক্ষরে নাম ভাই আছে দুনিয়ায়,
- শেষের অক্ষর বাদ দিলে ভাই,
- বাংলায় অর্থ তৈরি হতে হয়।
- উঃ—রেডিও
- ধাঁধাঁ ৬.
- তিন বর্ণে নাম যার অনেকেই খায়,
- পেট কেটে দিলে তার তাক হয়ে যায়।
- শেষ বর্ণ বিহনে সেজে পিতলেতে রয়,
- বলো নবীন ভাই-বোনেরা কোন সে বস্তু হয়।
- উঃ—তামাক।
- ধাঁধাঁ ৭.
- রজনীতে জম্ম তার দিবসে মরণ,
- বিনাশ্রমে শূন্যপথে করে সে ভ্রমণ,
- ক্ষণে দর্শন হয়ে ক্ষণে অদর্শন,
- হঠাৎ পড়িলে সবে বলে অলক্ষণ।
- উঃ–তারা
- ধাঁধাঁ ৮.
- তোমার বৌ তুমি গেলে দেয় না,
- কিন্তু আমি গেলে দেয়।
- উঃ–ঘোমটা।
- ধাঁধাঁ ৯.
- রাতের নিঝুম পথে কে চলেছে ছুটে,
- রয়েছে কাছে অনেক টাকা পাছে বা কেউ লুটে
- উঃ—রানার।
- ধাঁধাঁ ১০.
- তোর দেশেতে সূর্য ওঠে
- সকাল বেলা ভোর বেলাতে
- বলতো দেহি কোন দেশেতে
- সূর্য ওঠে মাঝ রাতেতে।
- উঃ–নরওয়ে।
- ধাঁধাঁ ১১.
- রাঙ্গা বিবি জামা গায়,
- কাটিলে বিবি দুই খান হয়।
- উঃ—মসুরির ডাল।
- ধাঁধাঁ ১২.
- অন্ধ নদী পিছল পথ
- হয়না দিন, সদা রাত,
- নদীর জন্য সোবেশাম,
- পায়ে পড়ে মাথার ঘাম।
- উঃ—পেট।
- ধাঁধাঁ ১৩.
- রাত্রিকালে আঁধারেতে যার যার ঘরে,
- তার বাড়িতে সকল লোকে কান্নাকাটি করে।
- উঃ—চোর।
- ধাঁধাঁ ১৪.
- আকাশ ধুমধুম পাতালে কড়া,
- ভাঙ্গল হাঁড়ি লাগল জোড়া।
- উঃ—মেঘের ডাক ও বিজলী।
- ধাঁধাঁ ১৫.
- কোন প্রাণী বল দেহি ছয় ছয় পায়ে হাঁটে,
- ঘুরতে তাকে তোমরা দেখো
- যেথায় খুশি পথে গাটে।
- উঃ—পিঁপড়া।
- ধাঁধাঁ ১৬.
- আল্লাহর তৈরী পথ, সাত রঙ্গে সৃষ্টি,
- কভু কভু দেখা যায়, হয় যদি বৃষ্টি।
- উঃ—রংধনু।
- ধাঁধাঁ ১৭.
- আল্লাহর তৈরী রাস্তা,
- তৈরি মানুষের সাধ্য নেই।
- হরেক রকম নাম তার
- বলোতো কি জিনিষ তা?
- উঃ—রংধনু।
- ধাঁধাঁ ১৮.
- আল্লাহর কি কুদরত,
- লাঠির মধ্যে শরবত।
- উঃ—ইক্ষু।
- ধাঁধাঁ ১৯.
- আকাশে ঝিকিমিকি,
- চৌতালায় তার বাস।
- তাকে আবার,
- মানুষের খাইতে বড় আশা।
- উঃ—হুক্কা।
- ধাঁধাঁ ২০.
- আকাশে থাকে, অতশে নেই,
- নাম কী তার বল তো ভাই?
- উঃ—ক।
- ধাঁধাঁ ২১.
- আট পা, ষোল হাটু, বসে থাকে বীর বাঁটু,
- শূন্যে পেতে জাল, শিকার ধরে সর্বকাল।
- উঃ—মাকড়সা।
- ধাঁধাঁ ২২.
- আকাশে আছি, বাতাসে আছি,
- নাই পৃথিবীতে।
- চাঁদ আর তারায় আছি,
- নাই কিন্তু সূর্যতে।
- উঃ—আঁধার।
- ধাঁধাঁ ২৩.
- আকাশ থেকে পড়ল ফল,
- ফলের মধ্যে শুধুই পানি।
- উঃ—শিলা।
- ধাঁধাঁ ২৪.
- আকাশে উড়ি আমি,
- পাখির আকারে।
- মাছ ধরে যাই আমি
- দৈত্যের রূপ ধরে।
- উঃ—বক।
- ধাঁধাঁ ২৫.
- আকাশে নাতাসে আছি,
- পৃথিবীতে নেই।
- চাঁদ আর তারায় আছি
- সূর্যতে নেই।
- উঃ—আকার।
- ধাঁধাঁ ২৬.
- আকাশে মস্তক যার পাতালে আঙ্গুল,
- মাথার উপর আছে এক ছাতা।
- প্রশারিয়া সুত যদি ভূমি হয় স্থিতি
- আনন্দেতে নরগণ ধায় দ্রুত গতি।
- উঃ—তাল গাছ।
- ধাঁধাঁ ২৭.
- আগা গোড়া কাটা,
- চুলের জন্য সৃষ্টি।
- উঃ—চিরুনী।
- ধাঁধাঁ ২৮.
- আকাশেতে জম্ম তার,
- দিবা রাতি থাকে।
- লোকে কিন্তু রাত্রিতে
- কেবল দেখে।
- উঃ—তারা।
- ধাঁধাঁ ২৯.
- আগ কেটে বাগ কেটে রূপিলাম চারা,
- ফল নেই, ফুল নেই, শুধু লতায় ভরা।
- উঃ—পান।
- ধাঁধাঁ ৩০.
- আকাশের বড়ো উঠান,
- ঝাড়ু দেওয়ার নেই।
- এই যে ফুল ফুটে আছে,
- ধরবার কেউ নেই।
- উঃ—তারা।
- ধাঁধাঁ ৩১.
- আকাশ হতে পড়ল কল,
- তার মধ্যে রক্ত।
- বলতে হবে,
- কি নাম তার?
- উঃ—কালোজাম।
- ধাঁধাঁ ৩২.
- আসবে তারা যাদের স্বভাব,
- ভাত ছড়ালে হবে না অভাব।
- উঃ—কাক।
- ধাঁধাঁ ৩৩.
- আসলে নকল দেখি,
- মাথা কেটে সিক্ত নাকি।
- শেষ জোড়া দু নম্বরটা,
- তাই নিয়ে যায় শিকারী।
- উঃ—ভেজাল।
- ধাঁধাঁ ৩৪.
- আঘাত নয়,
- দেশের নাম,
- বলতে পারলে সম্মান।
- উঃ—ঘানা।
- ধাঁধাঁ ৩৫.
- আচার্য মহাশয় বলেন,
- কিন আশ্চর্য কথা!
- কোল কালে কে শুনেছে,
- ফলের আগায় পাতা।
- উঃ—আনারস।
- ধাঁধাঁ ৩৬.
- ইংরেজিতে বাদ্য, বাংলায় খাদ্য
- কিবা সেই ফল, চট করে বল।
- উঃ—বেল।
- ধাঁধাঁ ৩৭.
- আট পায়ে চলি আমি,
- চার পায়ে বসি।
- কুমির নই, বাঘ তো নই
- আস্ত মানুষ কিন্তু গিলি।
- উঃ—পালকি।
- ধাঁধাঁ ৩৮.
- উপরে তা দিলে অন্ডতে হয় বাচ্চা
- লেজ বাদ দিলে মাথা বাঁচায় আস্থা।
- উঃ—ছাতা।
- ধাঁধাঁ ৩৯.
- আট চালা ঘর তার,
- একটিই খুঁটি
- ঘর বন্ধ করতে হলে
- তার টিপতে হয় টুটি।
- উঃ—ছাতা।
- ধাঁধাঁ ৪০.
- আদি স্থানে একুশ দিয়ে
- পাঁচ অংকের সংখ্যা ভাই।
- চার দিয়ে করলে গুণ
- উল্টে যায় সংখ্যাটাই।
- উঃ—২১৯৭৮।
- ধাঁধাঁ ৪১.
- আমি যখন এলাম, কেন তুমি এলে না
- তুমি যখন এলে, কতো কি খেলে,
- একবার গেলে, ফের তুমি এলে,
- কিন্তু হায়! বৃদ্ধাকালে মোরে ছেড়ে গেলে।
- উঃ—দাঁত।
- ধাঁধাঁ ৪২.
- আমি যারে আনতে গেলাম,
- তারে দেখে ফিরে এলাম
- সে যখন চলে গেলো
- তখন তারে নিয়ে এলাম।
- উঃ—বৃষ্টিও পানি।
- ধাঁধাঁ ৪৩.
- উপরে চাপ নীচে চাপ,
- মধ্যেখানে চেরোয় সাপ।
- উঃ—জিহ্বা।
- ধাঁধাঁ ৪৪.
- আমি যাকে মামা বলি,
- বাবাও বলে তাই,
- ছেলেও মামা বলে,
- মাও বলে তাই।
- উঃ—চাঁদ
- ধাঁধাঁ ৪৫.
- উপর থেকে পড়ল বুড়ি রঙ্গিন জামা গায়,
- যে পায় সে ঘরে নিয়ে রস তার খায়।
- উঃ—তাল।
- ধাঁধাঁ ৪৬.
- আমি তুমি একজন
- দেখবে একই রূপ।
- আমি কতো কথা কই,
- তুমি কেন চুপ।
- উঃ—ছবি।
- ধাঁধাঁ ৪৭.
- এপারে ঢেউ, ওপারে ঢেউ
- মধ্যিখানে বসে আছে,
- বুড়া বেটার বউ।
- উঃ—শাপলা।
- ধাঁধাঁ ৪৮.
- আত্মীয়রা বসাতে পারে না ভাগ,
- চোরে করতে পারে না চুরি।
- দান করলে হয় না ক্ষয়।
- বলতো দেখি কোন জিনিষ হয়।
- উঃ—জ্ঞান।
- ধাঁধাঁ ৪৯.
- ইড়িং বিড়িং তিড়িং ভাই,
- চোখ দুটি তার মাথা নাই।
- আছে দুটি বাঁকা হাত,
- পানিতে বসে খায় ভাত ।
- উঃ—কাঁকড়া।
- ধাঁধাঁ ৫০.
- এক গোছা দড়ি,
- গোছাতে না পারি।
- উঃ—রাস্তা।
- ধাঁধাঁর ৫১.
- উপর থেকে এলে পাখি
- সাদা কাপড় পরে।
- ভোজনে বসলে পাখি
- মাছ ধরে মারে।
- উঃ—বক।
- ধাঁধাঁর ৫২.
- উপর থেকে এলো পাখি,
- শন শন করে।
- মরা পাখী কিন্তু,
- ধান খায় কড়মড় করে।
- উঃ—ঢেকি।
- ধাঁধাঁর ৫৩.
- উপর হতে পড়লো বুড়ি,
- কাথা কম্বল লয়ে।
- ভাসতে ভাসতে যায় বুড়ি
- কানাই নগর দিয়ে।
- উঃ—তাল।
- ধাঁধাঁর ৫৪.
- উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম
- দালান বাড়ি কোঠা।
- ভাত শালিকে বলে গেলো,
- ফলের আগায় পাতা।
- উঃ—আনারস।
- ধাঁধাঁর ৫৫.
- উলটা দেশের আজব কথা,
- সত্য কিন্তু বটে,
- পেট দিয়ে সে আহার করে,
- মাথা দিয়ে চাঁটে।
- উঃ—গর্ভস্থ সন্তান।
- ধাঁধাঁর ৫৬.
- এমন একটা গাই আছে,
- যা দেই তাই খায়,
- পানি দিলে মরে যায়।
- উঃ—আগুন।
- ধাঁধাঁর ৫৭.
- উলটালে ধাতু হয়,
- সোজাতে জননী
- কী শব্দ হয় তাহা,
- বল দেখি শুনি।
- উঃ—মাতা।
- ধাঁধাঁর ৫৮.
- উড়তে পেখম বীর,
- ময়ূর সে নয়।
- মানুষ খায় গরু খায়,
- বাঘ সে নয়।
- উঃ—মশা।
- ধাঁধাঁর ৫৯.
- এমন আশ্চর্যের কথা শুনেছো কি ভবে,
- কাউকে দিলে পরে, রাখতে তোমায় হবে?
- উঃ—কথা।
- ধাঁধাঁর ৬০.
- উঠান টন টন,
- ঘন্টায় বাড়ি।
- কোন ছাগলের মুখে দাঁড়ি।
- উঃ—রসুন।
- ধাঁধাঁর ৬১.
- এ কোন ব্যাটা শয়তান,
- থাকে বসে ধরে কান।
- উঃ—চশমা।
- ধাঁধাঁর ৬২.
- এপার ঝাটি,
- ওপার ঝাটি।
- ঝাটিতে করে,
- পিটা পিটি।
- উঃ—চোখের পাতা।
- ধাঁধাঁর ৬৩.
- এমন কি বস্তু ভাই তিন অক্ষরে হয়,
- যা দ্বারা পৃথিবী সদা পূর্ণ রয়।
- প্রথম অক্ষর বাদ দিলে খেলার বস্তু হয়,
- শেষ অক্ষরে আকার দিলে সবাই মিষ্টি কয়।
- উঃ—বাতাস।
- ধাঁধাঁর ৬৪.
- এমন কোন স্থান আছে, দেখতে যেখা পাই,
- মাকেদাদী, বৌকে মা, বাপকে বলে ভাই।
- উত্তরটা সোজা, একটু খুঁজলেই পাবে,
- মাথায় হাত দিয়ে ভাই, কে এতো ভাবে!
- উঃ—অভিনয় মঞ্চ।
- ধাঁধাঁর ৬৫.
- এমন কোন বস্তু আছে যে ধরায়,
- না চাইতেই তা সর্বলোকে পায়।
- উঃ—মৃত্যু।
- ধাঁধাঁর ৬৬.
- এমন রক প্রাণি বের করো তো খুঁজে,
- সর্বদাই সে হেটে বেড়ায় চোখ না ছুঁজে।
- উঃ—মাছি।
- ধাঁধাঁর ৬৭.
- এমন এক প্রাণী আছে,
- ধান চাল খায়।
- মাইল মাইল দৌড়ে,
- যুদ্ধ করতে যায়।
- উঃ—ইঁদুর।
- ধাঁধাঁর ৬৮.
- এমন কি কথা আছে,
- শুনলে রাগ হয়।
- কোথাও কেউ খুঁজে পায়নি কেহ
- কোনদিন, তবু শোনা যায়।
- উঃ—ঘোড়ার ডিম।
- ধাঁধাঁর ৬৯.
- এমন একটি দেশের নাম বলো,
- যার প্রথম দুটি অক্ষরে মানুষ হলে,
- শেষের দুটিতে রাস্তা বোঝায়।
- উঃ—নরওয়ে।
- ধাঁধাঁর ৭০.
- এমন একটি শহরের নাম বলো,
- যা খোলা নয়।
- কিন্তু সত্যি তা নয়,
- না বলতে পারলে সবে বোকা কয়।
- উঃ—ঢাকা।
- ধাঁধাঁর ৭১.
- এমন একটি কাপের নাম বলো দেখি ভাই,
- যে কাপেতে চা চিনি, দুধ পানি একটুও নেই।
- উঃ—হিরো কাপ।
- ধাঁধাঁর ৭২.
- এরা বাপবেটা ওরা বাপবেটা তালতলা দিয়ে যায়।
- তিনটি তাল পড়লে তারা, সমান ভাগে পায়।
- উঃ—বাপ, ছেলে, নাতি।
- ধাঁধাঁর ৭৩.
- এক বৃক্ষে ফুটেছে, এক জোড়া ফুল।
- হীরা মানিক কভু নয়, তার সমতুল।
- উঃ—চোখ।
- ধাঁধাঁর ৭৪.
- এক বাড়ির দুই দরোজা দিয়া জল গড়িয়ে পড়ে,
- হাওয়া ছাড়া আর হাওয়া নেয়ার পরে।
- উঃ—সর্দি।
- ধাঁধাঁর ৭৫.
- এক বুড়ির আছে বারোটি ছেলে।
- তার বারো ঘরে থাকে এখন ৩৬৫ টি ছেলে।
- উঃ—বৎসর।
- ধাঁধাঁর ৭৬.
- এক গাছে তিন তরকারী,
- আজব কথা বলি হাড়ি।
- উঃ—কলাগাছ।
- ধাঁধাঁর ৭৭.
- এক গাছে বহু ফল, গায়ে কাটা কাঁটা।
- পাকলে ছাড়াও যদি, হাতে লাগে আঠা।
- উঃ—কাঠাঁল।
- ধাঁধাঁর ৭৮.
- এক সাথে সাতটা রঙ,
- কোথায় থাকে বলো।
- না পারলে বুঝবো,
- তুমি বিজ্ঞানে নও ভাল।
- উঃ—রংধনু।
- ধাঁধাঁর ৭৯.
- এক শালিকের তিন মাথা, দেহ মুখে আঠা।
- বাক্সের ভিতর ফেলি তবু, যায় দেশ বিদেশ।
- উঃ—চিঠি।
- ধাঁধাঁর ৮০.
- Read More: বাংলা ধাঁধা উত্তর সহ 300 | গোপাল ভাড়ের জীবনের পরিচয় | Gopal Bhar মজার ধাঁধা
- এক ঘরে এক থাম। বল কি তার নাম।
- উঃ—ছাতা।
- ধাঁধাঁর ৮১.
- এক ঘরে জম্ম হয়, দুই সহোদর ভাই।
- মানুষের শরীর মাঝে, এর দেখা পাই।
- উঃ—চোখ।
- ধাঁধাঁর ৮২.
- এক হাত গাছটা, ফল ধরে পাঁচটা।
- উঃ—হাতের পাঁচ আঙ্গুল।
- ধাঁধাঁর ৮৩.
- লোহার চেয়ে শক্ত তুলোর চেয়ে নরম।
- উঃ—মন।
- ধাঁধাঁর ৮৪.
- একই দামের শাড়ি, পরে দুইটি মেয়ে যায়।
- শাড়ি দুইটির দাম কতো?
- সম্পর্কটা জানা চাই।
- উঃ—দুই সতীন।
- ধাঁধাঁর ৮৫.
- একলা তারে যায় না দেখা, সঙ্গী গেলে বাঁচে।
- আধার দেখে ভয়ে পালায়, আলোয় ফিরে আসে।
- উঃ—ছায়া।
- ধাঁধাঁর ৮৬.
- একটুখানি পুস্কনি, পানি টলমল করে।
- রাজার ছেলের সাধ্য নেই, জাল ফেলতে পারে।
- উঃ—চোখ।
- ধাঁধাঁর ৮৭.
- একটি গাছের বাঁট নাই,
- তবু দুগ্ধ হয় প্রচুর।
- দোহনকালে থাকে নাকো,
- তার নিকটে বাছুর।
- উঃ—তালগাছ।
- ধাঁধাঁর ৮৮.
- একটি হলে কাজ হবে না, দুটি কিন্তু চাই।
- দুটি পেলে, হবে চাষী ভাই।
- উঃ—বলদ।
- ধাঁধাঁর ৮৯.
- একটি অক্ষর শিক্ষকে আছে, পন্ডিতে নেই।
- কাননে আছে, বাগানে নেই।
- উঃ—ক।
- ধাঁধাঁর ৯০.
- এতো ভালো বিছানা, কেউ যেন বসে না।
- উঃ—পানি।
- ধাঁধাঁর ৯১.
- এখান থেকে ফেললাম ছুরি,
- বাঁশ কাটলাম আড়াই কুড়ি।
- বাঁশের মধ্যে গোটা গোটা,
- আমার বাড়ী চল্লিশ কোটা।
- কোঠার উপর কোট জমি,
- তার মধ্যে আছে এক রাণী।
- উঃ—মৌমাছি।
- ধাঁধাঁর ৯২.
- ওপারেতে বুড়ি মারল, এপারেতে গন্ধ এলো।
- উঃ—কাঠাল।
- ওল্টে যদি দাও মোরে হয়ে যাবো লতা।
- কে আমি ভেবে চিনতে বলে ফেলো তা।
- উঃ—তাল।
- ধাঁধাঁর ৯৩.
- কোন ফলের বীজ হয় না, বলো দেখি দাদা,
- না পারলে লোকে তোমায় বলবে আস্ত গাধা।
- উঃ—সবরি কলা।
- ধাঁধাঁর ৯৪.
- কোন সে রসিক চাঁন, নাকে বসে ধরে কান??
- উঃ—চশমা।
- ধাঁধাঁর ৯৫.
- কোন শহর খুলতে মানা, তা কি তোমার আছে জানা।
- উঃ—খুলনা।
- ধাঁধাঁর ৯৬.
- কোন ফলের উপরটা খাই, ভিতরে তার ফুল,
- ভাবতে গেলে তার কথা, পণ্ডিতের হয় ভুল?
- উঃ—চালতা।
- ধাঁধাঁর ৯৭.
- কোন ফলের বীজ নেই, বল দেখি দাদা।
- বলতে না পারলে,
- হবে তুমি গাধা।
- উঃ—নারিকেল।
- ধাঁধাঁর ৯৮.
- কোন ব্যাংকে টাকা থাকে না। ধার কখনো পাওয়া যায় না।
- উঃ—ব্লাডব্যাংক।
- ধাঁধাঁর ৯৯.
- কোন গাছেতে হয় না ফুল, আছে শুধু গন্ধ।
- গাছ তলাতে গেলে পরে,
- সবাই পাবে গন্ধ।
- উঃ—চন্দন।
- ধাঁধাঁর ১০০.
- কোমর ধরে শুইয়ে দাও,
- কাজ যা করার করে নাও।
- উঃ—শিল নোড়া।
- ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।