নীলফামারীর জলঢাকায় সদ্য ভূমিষ্ঠ এক নবজাতককে মাটিচাপা দেওয়ার ১১ ঘণ্টা পরে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ওই এলাকার তিন সন্তানের জননী এক বিধবার সঙ্গে একই গ্রামের চার সন্তানের জনক ফজলে রহমান (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে ওই বিধবা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অনাগত পেটের শিশুটিকে বার বার ঔষধের মাধ্যমে নষ্ট করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ফজলে রহমান। পরে নবজাতকটি ভূমিষ্ঠ হলে তাঁকে জীবন্ত মাটিচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেও তা সফল হতে পারেননি তিনি। এ ঘটনার ১১ ঘণ্টা গিয়ে মাটিচাপা দেওয়া ওই জীবন্ত নবজাতককে উদ্ধার করা হয়।
ওই বিধবা বলেন, ফজলে রহমান প্রায় রাতেই আমার ঘরে ঢুকে জোর করে খারাপ কিছু করতেন। বুধবার দিনগত গভীর রাতে বাচ্চা হওয়ার পর তিনি আমাকে মরা বাচ্চা হওয়ার কথা বলে বাড়ির পাশে মাটিচাপা দেন।
প্রতিবেশী নুর আমিন জানান, কানাঘুষা শুনে সকালে আমরা ওই বাড়িতে এলাকার কয়েকজন নারীসহ একত্রিত হই। সেখানে জানতে পারি গভীর রাতে বিধবার গর্ভে থাকা একটি অবৈধ ছেলে সন্তানের জন্ম হয়েছে। কিন্তু লোক লজ্জার ভয়ে বাড়ির পাশে নবজাতকটিকে গর্ত করে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে ওই নবজাতককে গর্ত থেকে তুলে দেখি সে বেঁচে আছে। তখন দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করাই।
জলঢাকা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বজল কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফজলে নামে একজনকে গ্রেফতার করেছি। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।