সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটাচ্ছেন? দেখে নিন মুক্তির উপায়

আমাদের বর্তমান সমাজব্যবস্থা আর মানবচালিত নেই, যন্ত্রচালিত হয়ে যাচ্ছে। জীবনধারা এমন হয়ে গেছে যে বাড়ি থেকে না বেরোতে পেরে সেই রিলাক্স করার মুহূর্তটা আমরা খুঁজছি ইন্টারনেটে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের এমন বেঁধে ফেলেছি যে সকালের ব্রেকফাস্ট থেকে রাতের রূপচর্চার আপডেটটুকু না দেখলে মন ভরে না। তবে এতে করে মন ও শরীর দুটোর উপরই ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।

কী অফিস কী বাড়ি, এখন আমাদের দিনের সিংহভাগ কাটে সোশাল মিডিয়ায় নিজেকে খুঁজে। আর এই অভ্যাস যে শুধু এখনকার জেনারেশনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তা নয়। ছোট থেকে বড় সকলেরই হাতে হাতে এখন ঘুরছে একটি করে স্মার্ট ফোন। নতুন কিছু পোস্ট করলে বারবার ক’টা লাইক, কমেন্ট পড়ল দেখতে ইচ্ছে করে আপনার। অর্থাৎ আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার উপর খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। কিন্তু এটা আপনার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার পক্ষে পরিপন্থী। তাই এক মিনিট সময় নষ্ট না করে এখুনি সোশাল মিডিয়া ডিটক্স করুন নিজেকে। নীচের এই লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন আপনার ডিটক্স করা জরুরী।

১. প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ফেসবুক বা টুইটারে কী আপডেট আসলো তা না দেখলে আপনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এর জন্যে আপনার খাওয়া, ঘুমের রুটিন পাল্টে গেছে। এরকম হলে জোর করে হলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকার সময় বা বিশেষ কোনো কাজের সময় ফোন নিজের থেকে দূরে রাখুন। নিজের জন্য সোশাল মিডিয়া দেখার একটা নির্দিষ্ট সময় তৈরি করুন। পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটান বা বন্ধুদের বাড়িতে ডেকে সময় কাটান।

২. অনেকসময় আমরা নিজেরাও কারণ খুঁজে পাইনা যে কেন এমন কিছু পোস্ট করলাম যেটা না করলেও হতো। ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটা আপডেট শেয়ার করতে ইচ্ছে করে আপনার। কিন্তু মনে রাখবেন, সেখানেও কিন্তু আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই দরকার হলে কাউকে জিজ্ঞেস করে নিন যে যে পোস্টটি আপনার করতে ইচ্ছে করছে সেটা আদৌ পোস্ট করার উপযুক্ত কিনা। ব্যক্তিগত জীবনকে বাইরে আনবেন না।

তথ্যসূত্র:- কালের কন্ঠ

আরও পড়ুন: ২০১৮ সালের এম পিও নীতিমালা ও ২০২১ সালের এম পিও নীতিমালার কিছু দূর্বল দিকের আলোচনা পর্ব ০3

 

ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

Leave a Reply