৩ জুন ২০২১ খ্রি. বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আ,হ,ম মোস্তফা কামাল ২০২১– ২০২২ অর্থ বছরের বাজেটে পেশ করেছেন। এবারের বাজেটেও বেসরকারি স্কুল ও কলেজর শিক্ষক কর্মচারীদের ন্যায়সংগত অধিকার সরকারি, আধা সরকারি, শায়ত্বশাসিত প্রতিষ্টানের কর্মকর্তা কর্মচারীর ন্যায় উৎসব ভাতা এবং বাড়ি ভাড়া প্রদানের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন বরাদ্দ রাখা হয়নি। তাই তারা মনে করে এ বাজেটে তারা তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হলো বা উপেক্ষিত থাকল। আসুন আমরা বাজেট পর্যালোচনা করে দেখি কী আছে এর ভিতরে?
২০২১– ২২ অর্থ বছরের বাজেট বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট সেই দিকে থেকে এ বাজেট আলাদা গুরুত্ব বহন করে । ২০২১– ২২ অর্থ বছরের বাজেটে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬,০৩,৬৮১ কোটি টাকা যা জিডিপির ১৭.৫%।
এখানে পরিচালন ব্যয়সহ অন্যান্য খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩,৭৮,৩৫৭ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২,০৫,৩২৪কোটি টাকা। রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩,৮৯০০০কোটি টাকা এবং ঘাটতি বাজেট ২,১৪,৬৮১কোটি টাকা। ব্যয় বাজেটের ৬৪.৪৪%আসবে রাজস্ব আয় থেকে এবং বাকি ঘাটতি বাজেট ৩৫.৫৬%।
পরিচালন ব্যয়সহ অন্যান্য খাতের ব্যয় মোট ব্যয়ের ৬২.৬৮% এবং বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয় ৩৭.৩২%।বাজেটে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭.২ এবং মুদ্রাস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫.৩।
২০২১– ২০২২ খাতওয়ারী হিসাবঃ
০১.শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ব্যয় ৯৪৮৭৫কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ১৫.৭% এবং জিডিপির ২.৭৫%।
০২.পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ব্যয় ৭০,৮৪৭কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ১১.৭%।
০৩. সুদ খাতে ব্যয় ৬৮,৬০৮ কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ১১.৪%।
০৪. জনপ্রশাসন খাতে ব্যয় ৪৬,১৬২ কোটি যা মোট ব্যয়ের ৭.৬%।
০৫.স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৪২,১৮৯ কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ৭.০০%।
০৬. ভর্তুকি ও প্রনোদনা খাতে ব্যয় ৩৫,১৩৬কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ৫.৮%।
০৭. প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় ৩৩,১১৮ কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ৫.৫%
০৮. স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় ৩২,৭২৫ কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ৫.৪%।
০৯.সামাজিক কল্যাণ ও নিরাপত্তা খাতে ব্যয় ৩০,৪১৭ কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ৫%।
১০.পেনশন ও গ্রচুইটি খাতে ব্যয় ২৮,২০৯ কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ৪.৭%।
১১.জন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা খাতে ব্যয় ২৮,১৮৮ কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ৪.৭%।
১২.জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় ২৭,৪৮৪ কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ৩.৬%।
১৩.কৃষি খাতে ব্যয় ২১৮১২ কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ৩.৬%।
১৪. বিবিধ খাতে ব্যয় ৪৪,০১০ কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ৪.৭%।
রাজস্ব খাতের বিবরণঃ
০১. মূল্যসংযোজন কর আয় ১,২৭,৭৪৫ কোটি টাকা যা মোট রাজস্ব আয়ের ৩২.৮৪%।
০২. আয় ও মুনাফা থেকে কর বাবদ আয় ১,০৪,৯৫২ কোটি টাকা যা মোট রাজস্ব আয়ের ২৬.৯৮%।
০৩. সম্পূরক শুল্ক বাবদ আয় ৫৪,৪৬৫ কোটি টাকা যা মোট আয়ের ১৪%।
০৪. কর ব্যতীত রাজস্ব আয় ৪৩,০০০ কোটি টাকা যা মোট আয়ের ১১.০৫%।
০৫.আমদানি শুল্ক ৩৭,৯০৭কোটি টাকা যা মোট আয়ের ৯.৭৪%।
০৬.এন.বি.আর এর বাইরের কর ১৬,০০০ কোটি টাকা যা মোট আয়ের ৪.১১%।
০৭.এন.বি আরের অন্যান্য আদায় ৪,৯৩১ কোটি টাকা যা মোট আয়ের ১.২৭%।
ঘাটতি সমুহঃ
০১. দেশের ব্যাংক থেকে ঋন ৭৬,৪৫২ কোটি টাকা যা মোট ঘাটতির ৩৫.৬১%।
০২. বিদেশি ঋন ৯৭,৭৩৮ কোটি টাকা যা মোট ঘাটতির ৪৫.৫২%।
০৩. দেশে ব্যাংকের বাইরে থেকে ঋন ৩৭,০০১কোটি টাকা যা মোট ঘাটতির ১৭.২৪%।
০৪. বিদেশি অনুদান ৩,৪৯০ কোটি টাকা যা মোট ঘাটতির. ১২%।
২০১৯– ২০ অর্থ বছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা ছিল ৩৮১৯৭৬কোটি টাকা অর্জন করেছি ২,৬৫,৯০৮ কোটি টাকা।
২০২০– ২০২১ অর্থ বছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা ছিল ৩৭,৮০০০কোটি টাকা অর্জিন করেছি ৩,৫১,৫৩২ কোটি টাকা।
২০২০–২১ অর্থ বছরের বাজেটে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ছিল ৮.২মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.৪।
আমরা যদি ২০২১–২২ অর্থ বছরের বাজেটের সাথে চলতি অর্থ বছরের বাজেটের তুলনা করি তাহলে দেখা যায় বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫,৬৮০ কোটি টাকা এবং বৃদ্ধির হার৬.২৮%.এবারে জাতীয় প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে। তবে মুদ্রাস্ফীতি কমেছে।
এবারে শিক্ষা খাতের বাজেট নিয়ে বিশেষ বিশ্লেষণ করতে চাই। ববরাবরের ন্যায় ২০২১– ২২ অর্থ বছরের বাজেটেও শিক্ষা খাতের সাথে প্রযুক্তি খাত যুক্ত করে বরাদ্দ করা হয়েছে ৯৪,৮৭৭ কোটি টাকা যা গত অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটের ২১% বেশি।
আমরা একটু দেখে নেই প্রকৃত পক্ষে শিক্ষায় বাজেট কত ধরা হয়েছে।
২০২০–২২ অর্থ বছরের বাজেটে প্রাথমিক ও গন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ২৬,৭৬২ কোটি টাকা যা চলতি বাজেটে ২৪,৯৪০ কোটি টাকা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে বরাদ্দ ৩৬,৪৮৬ কোটি টাকা যা চলতি বছরের বাজেটে ছিল ৩৩,১১৭কোটি টাকা
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষায় বরাদ্দ ৯,১৫৪.৬কোটি যা চলতি বছরের বাজেটে ছিল ৮,৩৪৪ কোটি টাকা।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ২১,২০৪ কোটি টাকা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ১৭২০ কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৫.৭%। এখানেই শুভঙ্করের ফাঁকি, শিক্ষায় প্রকৃত বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের ১১.৯২% এবং জিডিপির ২.০৮%। চলতি বছরের বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল ১১.৬৮%এবং জিডিপির ২.০৯%।চলতি অর্থ বছরে শিক্ষা খাতে ৫,৫৫১ কোটি টাকা বাড়লেও জিডিপির হিসাবে কমেছে। আন্তর্জাতিক মান দন্ডে একটি দেশের মোট বাজেটের ২০%বা জিডিপির ৬% বরাদ্দ পেলে তা আর্দশ ধরা হয়।আমাদের দেশে সে লক্ষ্য অর্জন দূরে থাক আমরা কাছাকাছিও যেতে পারিনি। সে সকল দেশে আন্তর্জাতিক মানদন্ড মেনে বাজেট তৈরি করে তাদের ন্যায় আমাদের দেশে শিক্ষার উন্নয়ন কী করে সম্ভব? আনেক শিক্ষাবিদই শিক্ষা খাতে যে বরাদ্দ বেড়েছে তা মানতে নারাজ। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র৩,৩৬৮ কোটি টাকা। এ মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ব্যয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে প্রায় ১২৩২ কোটি টাকা।
আমরা যদি শিক্ষার বরাদ্দটা আর একটু বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখা যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ শিক্ষা খাতের মোট বরাদ্দের ৩৬.৫৭% মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বরাদ্দ শিক্ষা খাতের মোট বরাদ্দের ৫০.৭১% এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে বরাদ্দ শিক্ষা খাতের মোট বরাদ্দের ১২.৭২%।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর বরাদ্দকে আমরা বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা আরো সুনির্দিষ্ট করতে চাই।আমরা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রায় ৯৭% কার্য সম্পন্ন করে থাকি।অন্যদিকে সরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষক কর্মচারী বৃন্দ অবশিষ্ট ৩% কাজ তারা করেন।এখন আমরা আলাদা ভাবে একটু হিসাব চাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর ব্যয়ে কতভাগ সরকারিদের পিছনে ব্যয়।আমরা এই বৈষম্যর নিরসন চাই। শিক্ষাববিদ,অর্থনীতিবিদ,শিক্ষা কর্মী কেউ এই বিষয়টির দিকে দৃষ্টিপাত করেন না।বাজেট বিশ্লেষণের দেখা যায় প্রত্যেক বাজেট বিশ্লেষক বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয় থেকে পরিচালন ব্যয় বেশি একা বলেছেন।এ বিভাগের পরিচালনা ব্যয় কাদের পিছন বেশি হল সে বিষয়টি চিহ্নিত করতে হবে। সরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক কর্মচারী শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বাবদ কত ব্যয় হল সে হিসাব করতে হবে? পরিচালন ব্যয়ের কতভাগ তাদের পিছনে ব্যয় হয়।আর কতভাগ বেসরকারি স্কুল ও কলেজে শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন বাবদ ব্যয় হয়।সরকারি স্কুল ও কলেজে কতভাগ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। আর বেসরকারি স্কুল ও কলেজে কতভাগ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এবার আপনারা আনুপাতিক হারে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজের এবং ব্যয়ের হিসাব করুন। মোটা দাগে আপনারা বলে দিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পরিচালনা ব্যয় বেশি। আপনাদের কথার রেফারেন্স টেনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ উৎসব ও বাড়ি ভাড়ার দাবি উপেক্ষা করবে।তারা আমাদের ন্যায় সংগত দাবি শতভাগ উৎসব ভাতা ও সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় বেসিকের নির্ধারিত পার্সেন্ট বাড়ি ভাড়া না দেওয়ার একটা সুযোগ খুঁজবে।তাই আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ আপনারা আপনাদের আলোচনায় অত্যন্ত ন্যায় সংগত ভাবে আমাদের বিষয়টা বিবেচনা করুন। আমরা সমযোগ্যতা সমমর্যাদা ও সমকাজ করে সমবেতন কেন পাবনা? ২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা হয় তখন আমরা আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে আমরা সরকারি কর্মচারীদের সাথে সাথেই জাতীয় বেতন স্কেলে বেতন পাইনি। জাতীয় বেতন স্কেল বেত্ন পেতে আমাদের আন্দোলন করতে হয়েছে। যদিও মহানুভব, সদাসয়,মাবতার জননী গনতন্ত্রের মানস কন্যা বঙ্গবন্ধুর দৌহিতা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আমরা জাতীয় স্কেলে বেতন পেয়েছি। আমরা বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক কর্মচারী জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানিয়েছি। যত দিন আমরা আছি তত দিন কৃতজ্ঞ থাকব।আমরা আরো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারদের ন্যায় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রদান করায়।বার্ষিক প্রবৃদ্ধিও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তিন বছর পরে পেয়েছি। বৈশাখী ভাতা প্রদান নিয়েও একটা জটিলতা তৈরি করে ছিলেন। যেখানে প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মচারী কর্মকর্তা দাবি ছাড়া জাতীয় বেতন স্কেল প্রনয়ণ কমিটিকে প্রধান মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনায় বেসিকের ২০% বৈশাখী ভাতা প্রদানের ধারা সংযুক্ত হয়।সেই বৈশাখী ভাতা বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের প্রদানের ক্ষেত্রেও তারা গরিমসি করেন। বৈশাখী ভাতা প্রাপ্তির জন্যও আমাদের প্রধান মন্ত্রীর স্মরনাপন্ন হতে হয়।প্রধান মন্ত্রী নির্দেশনায় আমরা আমাদের কাঙ্খিত বৈশাখী ভাতা পেয়েছি। আমরা ২০০৪ সালে বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক কর্মচারী বেসিকের ২৫% এবং কর্মচারীরা ৫০%বাড়ি ভাড়া পেয়ে আসছি ।কিন্ত তার পরে ১৭ বছর চলে গেল এ বোনাস আর বৃদ্ধি পেল না।এ ১৭ বছরে দেশে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে কিন্ত বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারদের উৎসব ভাতর কোন পরিবর্তন হল না।বিগত ঈদ– উল– ফিতরের উৎসব ভাতার সময় আমাদের সকালের আশা ছিল শতভাগ উৎসব ভাতা পাবেন। আমাদেরকে নিরাশ করে দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য উৎস ভাতার প্রদানের যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে তাতে শিক্ষক কর্মচারীদের আশার প্রতিফলন ঘটেনি।তারা পূর্বের ন্যায় শিক্ষকদের জন্য ২৫% এবং কর্মচারীদের জন্য ৫০% বিসাবে টাকা বরাদ্দ চাইলেন। তারা যুক্তি হিসাবে দাঁড় করালেন যে বাজেটে বরাদ্দ নেই। আমরা সুস্পষ্টভাবে জানতে চাই ২০২১– ২২ অর্থ বছরের বাজেটে আমাদের শতভাগ উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া আছে কী না?পরিচালন ব্যয়্য বেশি বলে আমাদের যেন এ বছরও শতভাগ উৎসব ভাতা ও বাড়ি থেকে বঞ্চিত করা না হয়।আমাদের যদি এটা থেকে এবারে বঞ্চিত করা হয় তবে আমরা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।তবে তার পূর্বে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করব।যদি কর্তৃপক্ষ আমাদের দিবি প্রধান মন্ত্রকে না জানায় তবে প্রধান মন্ত্রীকে জানানোর প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা করতে করা হবে।তার আগে আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন আপনারা শতভাগ উৎসব ভাতা নিচ্ছেন এবং বাড়ি ভাড়া নিচ্ছেন কিন্তু আমাদের শতভাগ উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া প্রস্তাব পাঠাতে গড়িমসি কেন করছেন? চক্ষু লজ্জার একটা বিষয় থাকে। আপনাদের মিনিমাম চক্ষু লজ্জাটুকুও নেই। চলবে…………
দুলাল চৌধুরী সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।