আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যা : আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানীর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপু হত্যার সঙ্গে জড়িত আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। আজ রবিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আজ দুপুর দেড়টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করবেন ডিবির প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার। ডিএমপির উপকমিশনার মিডিয়া ফারুক হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু খুন হন। এ সময় ঘটনাস্থলের পাশে রিকশায় থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি গুলিতে নিহত হন। আহত হন টিপুর গাড়িচালক মুন্না।

এই হত্যাকাণ্ডে যারাই কলকাঠি নাড়ুক, তাদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

গোপালগঞ্জে ভ্যানের ধাক্কায় ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, তাঁর স্বামী মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন। তিনি মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে দলীয় কোন্দল ছিল। তাঁকে চার-পাঁচ দিন আগে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারীরা মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেয়।

অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার দিন মাইক্রোবাসে করে এজিবি কলোনি থেকে বাসার উদ্দেশে আসার পথে শাহজাহানপুর মানামা ভবনের বাটার দোকানের সামনে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারীরা তার গাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি করে, গুলিতে গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। টিপুর গলা, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১১টি গুলি লেগেছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে প্রীতি নামের এক পথচারীও নিহত হন।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা, আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপুকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে। পুরনো দুটি হত্যাকাণ্ড, ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ে বিরোধ, তিনটি বাজারকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে বাধা, এলাকার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, এজিবি কলোনিতে দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশের তদন্তসংশ্লিষ্টরা।

Leave a Reply