কিডনি রোগে কী খাওয়া যাবে আর কী যাবে না | What should kidney patients not eat?

Kidney Disease Diet:

ডায়াবিটিস, প্রেশারের মতো অসুখের জন্য ক্রনিক কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই অসুখে খাবারের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এবার এই রোগীদের ডায়েটে কোন খাবার রাখা যায়? জানালেন পুষ্টিবিদ।

Renal Diet: কিডনি শরীরের বিশেষ এক অঙ্গ। এই অঙ্গটিকে যত্নে রাখা খুবই জরুরি। তবে বর্তমানে বেশকিছু অসুখ এই অঙ্গের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। একবার এই অঙ্গে ক্রনিক অসুখ হলে আর রক্ষে নেই। এই পরিস্থিতিতে কী খেতে পারেন কিডনি রোগীরা? আসুন জানা যাক। আপনি নিজের চারিদিকে একটু খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন যে ডায়াবিটিস সব ঘরেই প্রায় রয়েছে। পাশাপাশি হাই প্রেশারও থাকে।

এবার এই দুটি অসুখ কিন্তু কিডনির অসুখের কারণ হতে পারে। তাই আপনাকে সতর্ক হতে হবে। প্রথম থেকেই এই অসুখ নিয়ন্ত্রণ করুন। এবার ক্রনিক কিডনি ডিজিজ হলে সেই অসুখ থেকে আর ফেরা যায় না। তবে আপনি চাইলে রোগ নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই করতে পারেন। এই অবস্থায় আপনাকে সতর্ক হতে হবে। এবার কিডনি খারাপ হচ্ছে কিনা তার লক্ষণ দেখা যায়। আপনি সেই উপসর্গে সতর্ক হয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এই প্রসঙ্গে আসানসোল গার্লস কলেজের পুষ্টিবিজ্ঞানের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর পল্লবী মজুমদার বলেন, অনেকেই এখন ক্রনিক কিডনির রোগে ভোগেন। এবার এই অসুখ থাকলে খাবারের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। এই মানুষগুলির পক্ষে ভালো হতে পারে

এই কয়েকটি খাদ্য- ​১. ভুট্টা খেতে পারেন

আসলে এই মানুষগুলি অনায়াসে ভুট্ট খেতে পারেন। এই খাদ্যে থাকে ভালো কার্বোহাইড্রেট। তাই শরীরে শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটে। আর তেমন একটা প্রোটিনও নেই। সেই কারণে ভুট্টা খেলে কিডনিতে তেমন একটা সমস্যা হয় না বললেই চলে। তাই এই তথ্য মাথায় রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়া ভুট্টা খেলে পেট ভরাট থাকে। অনেকটা সময় তেমন একটা খিদে পায় না। এছাড়া এই খাবার খেতেও ভালো। তাই ছোট থেকে বড় সকলেই পছন্দ করেন এই খাবার। ফলে নিয়মিত ভুট্টা খাওয়া যায় অনায়াসে।

​২. ডিমের সাদা অংশ

পল্লবী মজুমদার বলেন, আসলে কিডনির রোগ থাকলে আপনাকে প্রোটিন কমাতে হবে খাবার থেকে। তবে মাথায় রাখবেন যে কিছুটা প্রোটিন তো সকলের শরীরেই দরকার। সেই পরিস্থিতিতে ডিমের সাদা হতে পারে আপনার হাতিয়ার। একটি ডিমের সাদায় প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এর বায়োলজিক্যাল ভ্যালু বেশি। অর্থাৎ শরীরে এই প্রোটিন সহজে গৃহীত হয়। তাই এই খাবার আপনি মুখে তুলে নিতেই পারেন। তবে বেশি পরিমাণে খেতে যাবে না। আর খাওয়ার আগে নিজের চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।

​৩. ন্যাশপাতি

পল্লবী মজুমদার বলেন, সাধারণত নানা ধরনের ফল খাওয়া এই রোগীদের বারণ থাকে। কারণ ফলে অনেকটা পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। তবে কিছু ফল তো খেতেই হবে। সেই তালিকায় রয়েছে ন্যাশপাতি। এই ফল খুব ভালো। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে সহ নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই শরীর সুস্থ রাখার কাজে এই ফল দারুণ কার্যকরী। এবার আপনি চাইলে অনায়াসে এই ফল খেয়ে নিতে পারেন। চিন্তার কোনও কারণ নেই বললেই চলে। এছাড়া এই ফলে পটাশিয়াম কম থাকে।

​৪. বাঁধাকপি

সবজির মধ্যে কিডনি রোগীরা বাঁধাকপি খেতেই পারেন। আসলে বাঁধাকপিতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ। এই খাবারে থাকে ভিটামিন সি, বি৬, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম। তাই শরীর সুস্থ রাখতে পারে এই খাবার। ফলে বাঁধাকপি নিয়মিত খান। প্রতিদিনই এই খাবার পাতে রাখা যায়। পাশাপাশি বাঁধাকপিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার কিন্তু শরীরের জন্য ভালো। তাই এই তথ্য অবশ্যই মাথায় রাখার চেষ্টা করুন।

​৫. বেরি জাতীয় ফল

সবজির মধ্যে কিডনি রোগীরা বাঁধাকপি খেতেই পারেন। আসলে বাঁধাকপিতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ। এই খাবারে থাকে ভিটামিন সি, বি৬, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম। তাই শরীর সুস্থ রাখতে পারে এই খাবার। ফলে বাঁধাকপি নিয়মিত খান। প্রতিদিনই এই খাবার পাতে রাখা যায়। পাশাপাশি বাঁধাকপিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার কিন্তু শরীরের জন্য ভালো। তাই এই তথ্য অবশ্যই মাথায় রাখার চেষ্টা করুন।পল্লবী মজুমদার বলেন, এই ফলে রয়েছে ভালো পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে খারাপ পদার্থ বের করে দিতে পারে। এছাড়া এতে থাকে ভিটামিন সি। এই কারণে বেরি জাতীয় ফল রোজই খাওয়া যায়। এই তালিকায় ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি রয়েছে। এবার এই ফল নিয়মিত খান। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কার্বোহাইড্রেট : কিডনি রোগী মোট ক্যালোরি চাহিদার বেশির ভাগই কার্বোহাইড্রেটের মাধ্যমে পূরণ হয়। খাবারে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ করতে হয় বলে কাবোর্হাইড্রেটকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে শর্করার মাত্রা বিবেচনা করে কার্বোহাইড্রেট হিসাব করা হয়। ভাত, ময়দা, রুটি, চিরা, সুজি , চালের গুঁড়া, চালের রুটি, সাগু, সেমাই ইত্যাদি কিডনি রোগীর জন্য উত্তম কার্বোহাইড্রেট।

ক্যালরি : কিডনি রোগীদের সাধারণত ক্যালরির চাহিদা অন্যান্য রোগীদের তুলনায় বাড়ানো হয়। সাধারত প্রতি কেজি ওজনের জন্য রোগী ভেদে ৩০ থেকে ৩৫ কিলোক্যালরি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

প্রোটিন : প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। দীর্ঘ মেয়াদি কিডনি রোগে প্রতি কেজি ওজনের জন্য পয়েন্ট পাঁচ থেকে পয়েন্ট আট গ্রাম প্রোটিন বরাদ্দ করা যেতে পারে। সাধারণত ডাল, বাদাম, কাঁঠালের বিচি, সিমের বিচি ইত্যাদি রোগীকে বর্জন করতে হয়।

প্রতিদিনের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা ডিমের সাদা অংশ, মাছ, মুরগির মাংস ও দুধ বা দই ইত্যাদি থেকে হিসাব করে বরাদ্দ করা হয়। গরু, খাসির মাংস, কলিজা, মগজ ইত্যাদি অবশ্যই এড়িয়ে যেতে বলা হয়।

সবজি : রক্তে পটাশিয়াম, ইউরিক এসিডের মাত্রা, ফসফরাস ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে সবজি হিসাব করা হয়। অতিরিক্ত পিউরিন ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজি, পিচ্ছিল ও গাঢ় লাল রঙের শাক সবজি এড়িয়ে যেতে হবে। কিডনি রোগীদের জন্য চালকুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিংগা ইত্যাদি পানীয় সবজি উপকারী। উপকারী হলেও এগুলোর পরিমাণ মেনে চলাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা সবজির সালাদ, সবজি স্যুপ ইত্যাদি কিডনি রোগীদের এড়িয়ে চলতে হয়।

ফল : কিডনি রোগীদের ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হয়। অক্সালিক এসিড, ইউরিক এসিডস, পটাশিয়াম, রক্তচাপ ছাড়াও আরো অনেক কিছু বিবেচনা করে ফল নির্ধারণ করা হয়। তিন চারটি ফল রোগী ভেদে সীমিত আকারে দেওয়া হয়। যেমন : আপেল, পাকা পেপে, পেয়ারা ইত্যাদি।

তরল/পানি : কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে তরল নিয়ন্ত্রণ জরুরি। দৈনিক চা, দুধ, পানি সব মিলিয়ে তরলের হিসাব করা হয়। শরীরের ইডিমা, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, সোডিয়ামের মাত্রা, ইজিএসআর- এসবের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে এক থেকে দেড় লিটার, কখনো কখনো দুই লিটার পর্যন্ত তরল বরাদ্দ হয়। অনেকেই অসুস্থ কিডনিকে সুস্থ করার জন্য অতিরিক্ত পানি খান, এটি ভুল।

প্রোটিন
কিডনি সমস্যা ধরা পড়ার পর অনেকেই প্রোটিন বা আমিষ–জাতীয় খাবার খাওয়া একদম কমিয়ে দেন। গবেষণায় দেখা গেছে, আমিষ–জাতীয় খাবার অত্যধিক কমিয়ে দিলে পুষ্টিহীনতা হয়। এতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায় এবং মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়।
কিডনির কার্যক্ষমতা বুঝে প্রোটিন গ্রহণের মাত্রা ঠিক করা উচিত। কিডনির কার্যক্ষমতা কতটুকু আছে, রক্তের পরীক্ষা দিয়ে নির্ণয় করা যায়। কিডনির সমস্যা মৃদু হলে স্বাভাবিক খাবার খেতে বাধা নেই। যদি e GFR< 60 হয়, তাহলে আমিষ বা প্রোটিন দিনে ০.৮/কেজি ওজন খেতে হবে। এর মানে ৬০ কেজি ওজনের একজন রোগী দিনে ৪৮ গ্রাম প্রোটিন খেতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে, এই মাত্রা তৈরি হয়েছিল পশ্চিমা বিশ্বের মানুষের জন্য, কারণ তাদের খাবারে মাংসের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভাসে মাছ বা মাংসের পরিমাণ এমনিতেই তুলনামূলক কম।
কিডনির সমস্যা থাকলেও দিনে ১টা ডিম, দুপুর ও রাতের খাবারে ২ টুকরা মাছ বা মাংস, ৩ বা ৪ টেবিল চামচ ডাল খেতে বাধা নেই। তবে রেড মিট মানে গরু বা খাসির মাংসের পরিবর্তে মুরগির মাংস ও মাছ খাওয়া ভালো।

কিডনি রোগীদের সব সময় যে নানা ধরনের ফল বা শাকসবজি খাওয়া নিষেধ, এ ধারণা ঠিক নয়। শুধু কারও রক্তে যদি পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে বা কিডনির জিএফআর যদি ৩০–এর কম হয়, তাহলে পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার কম খেতে হবে। ডাবের পানি, কলা, খেজুর, শুকনা ফল, আলু, টমেটো, শসা, পালংশাক, ফলের রসে পটাশিয়াম বেশি থাকে।
আপেল, পেয়ারা, আঙুর, নাশপাতি, জাম, তরমুজ—এ ফলগুলোয় পটাশিয়াম তুলনামূলক কম থাকে। এ ফলগুলো পরিমাণমতো খাওয়া যাবে।
শাকসবজি সেদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে তারপর রান্না করতে হবে।

খাবার লবণ
খাবারে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে।

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি
কিডনির জিএফআর ৬০–এর কম হলে দিনে ১০০০ গ্রামের বেশি ক্যালসিয়াম না খাওয়া ভালো। ছয় মাস অন্তর রক্তে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি–এর মাত্রা পরীক্ষা করে প্রয়োজন হলে খেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

তরল বা পানীয়

কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে তরল খাবার নিয়ন্ত্রণ জরুরি।  চা, দুধ, পানি সব মিলিয়ে তরলের হিসাব করা হয়।  কোন রোগীকে কতটুকু তরল বরাদ্দ করা হবে, তা নির্ভর করবে রোগীর অবস্থার ওপর। খুব গাঢ় করে জাল দিয়ে দুধ পান করা যাবে না। শরীরের ইডিমা, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, সোডিয়ামের মাত্রা, ইজিএসআর- এসবের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে এক থেকে দেড় লিটার, কখনও কখনও দুই লিটার পর্যন্ত তরল বরাদ্দ হয়। অনেকেই অসুস্থ কিডনিকে সুস্থ করার জন্য অতিরিক্ত পানি খান— এটি ভুল।

দীর্ঘমেয়াদি ক্রনিক কিডনি রোগী এ ধরনের খাবারের পরামর্শ মেনে চললে কিডনিকে মারাত্মক জটিলতার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। একঘেয়েমি হলেও ধৈর্যের সঙ্গে সঠিক পথ্য ব্যবস্থাপনা মেনে চলা প্রত্যেক কিডনি রোগীর জন্য জরুরি।

কিডনি রোগীরা যেদিকে দৃষ্টি দেবেন

চিচিঙ্গা, লাউ, করলা, বিচি ছাড়া শশা, সজনা, ডাঁটাশাক, লালশাক, কচুশাক, ঝিংগা, পেঁপে, হেলেঞ্চা শাক ইত্যাদি শাক-সবজি খাবেন।

যেসব সবজি খাবেন না

ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালংশাক, কচু, মুলা, পুঁইশাক, ঢেঁড়স, গাজর, কাঁঠালের বিচি, শিমের বিচি, মুলাশাক ইত্যাদি।

প্রাণিজ আমিষ, যেমন- মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি সীমিত পরিমাণে খাবেন।

ডাব, কলা, আঙুর একেবারেই খাবেন না, কেননা, এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি। কিডনি রোগীদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়তে থাকে।

কম পটাশিয়ামযুক্ত ফল; যেমন— আপেল, পেয়ারা, পাকা পেঁপে, নাসপাতি ইত্যাদি।

রোগীর খাদ্যতালিকায় প্রোটিন রাখতে হবে রোগের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে। যেমন- রোগীর রক্তের ক্রিয়েটিনিন, শরীরের ওজন, ডায়ালাইসিস করেন কিনা, করলেও সপ্তাহে কয়টা করেন তার ওপর নির্ভর করে প্রোটিনের মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।

যেমন- কিডনি রোগ শনাক্ত হওয়ার পর প্রতিকেজি দৈহিক ওজনের জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন ০.৫-০.৮ গ্রাম। গুরুতর রোগীর জন্য ০.৫ গ্রাম।

এসব নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্যতালিকা তৈরি করে খাবার খেলে কিডনি রোগ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

Leave a Reply