ভারত মহাসাগরে তৈরি হওয়া লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে যাচ্ছে। এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘অশনি’। সোমবার প্রবল শক্তি নিয়ে এটি ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে আঘাত হানতে পারে।
শনিবার থেকেই ভারতের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী পর্যটন কেন্দ্রগুলোর তৎপরতাও আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত গভীর নিম্নচাপটি ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। রোববারের মধ্যে তা সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসেবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে। আর সোমবার সকালের মধ্যেই তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আছড়ে পড়বে। তার পর উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে তা উত্তর মিয়ানমার ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ উপকূলে পৌঁছাবে।
সঙ্গীতাচার্য (পণ্ডিত) তারাপদ চক্রবর্তী – রাগপ্রধান সঙ্গীত| Pandit Tarapada Chakraborty – Raga Megh
যদিও এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি কোনো প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়বে না। তবে শনিবার থেকেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বৃষ্টি শুরু হবে। রোববার তা আরও বাড়বে। আর সোমবার তা ভারী থেকে অতিভারী আকারে বর্ষিত হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। যে কারণে শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হচ্ছে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রও।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বসবাসকারী সাধারণ মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। কাঁচাবাড়িতে যারা থাকেন, তাদেরকে ভারত সরকারের তরফ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আসন্ন জলোচ্ছ্বাসের জেরে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর। সূত্র: আনন্দবাজার।