বাংলাদেশে মেডিকেল টেকনোলজির উন্নয়ন, প্রয়োজন ও করণীয়ঃ

বাংলাদেশে মেডিকেল টেকনোলজির উন্নয়ন, প্রয়োজন ও করণীয়ঃ

আসসালামু আলাইকুম।সাম্প্রতিক বাংলাদেশে বিএমটিএ নির্বাচন নিয়ে প্রচুর জল ঘোলা হচ্ছে।একাংশের ধারনা বিএমটি এ আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করবে আরেক অংশের ধারনা বিএমটিএ তাদের ভাগ্য নিয়ে খেলছে।আমি এই দুই মতেরই বিরোধীতা করছি, BMTA কোন সরকারি অধিদপ্তর না যে মেডিকেল টেকনোলজিষ্টদের ভাগ্য পরিবর্তন করার সামর্থ্য তাদের আছে/থাকবে।এইটা একটা পেশাজীবি সংগঠন, এমন সংগঠন ডাক্তার নার্স ইঞ্জিনিয়ার উকিল সবারই আছে। তাদের ভূমিকা কি, সাধ্য সামর্থ কি খোজ নিয়ে দেখবেন।আমাদের অনেক দূরে যেতে হবে, আর আমাদের পথ অত্যন্ত বন্ধুর/জটিল।আমাদের সময় নেই একটা পেশাজীবি সংগঠন নিয়ে আলোচনার বা একে এত বেশি গুরুত্ব দেবার।

আমি আপনাদের মাঝে ৩ টা বিষয় রাখব, যা বাংলাদেশে মেডিকেল টেকনোলজিষ্টদের জন্য প্রকৃত ভূমিকা রাখবেঃ

১। A Medical Technology University (একটি মেডিকেল টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়)

যেখান থেকে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট গণ পিএইচডি করবে এবং প্রতি মাসে প্রত্রিকায় বুলেটিনে প্রকাশ হবে বাংলাদেশের এমটিদের অবস্থা,কতজন আছে কতজন প্রয়োজন, মেডিকেল টেকনোলজির প্রয়োজনীয়তা, তাদের দায়িত্ব ও পরিসর ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করবে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

২। Bangladesh Medical Technology Council (বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজি কাউন্সিল)

একটি বোর্ড,যা আমাদের সিলেবাস বানাবে, আমাদের সিলেবাসের মধ্যে থেকে কলোরিমিটারের সাথে অটো এনালাইজার আর পিসিআর এর আলোচনা ঢুকাবে। আমাদের প্রশ্ন করবে এমএসসি/ পিএইচডি টেকনোলজিষ্টগন, খাতা দেখবে তারা, কোন বেসিক এমবিবিএস যার ক্লিনিকাল ডায়গনোসিস এর প্রসিডিউর, ক্লিনিকাল কেমিষ্ট্রি, ডায়াগনষ্টিক মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে কোন জ্ঞান নেই তেমন কোন কর্মকর্তা কোন ভাবেই মেডিকেল টেকনোলজির প্রফেসর হতে পারে না।

প্রশ্ন করব আমরা খাতা দেখব আমরা পড়াব আমরা, মার্ক্স আসবে ৯৩, যেখানে আমি বই মুখস্থ করেও ৫৩ এর বেশি পাই নাই।কাকুরা আমার নিজের সার্টিফিকেট থেকে একেকটা সাবজেক্ট এ ৪০ করে মার্ক্স কমায় দিয়েছে, যতটুকু মার্ক্স তাদের হাতে খাতা যাওয়ার কারনে হারিয়েছি তা দিয়ে আরেকটা পাশের সার্টিফিকেট হয়ে যাবে।

৩। Directorate General Of Medical Technology DGMT (মেডিকেল টেকনোলজি অধিদপ্তর)

আমার স্বার্থ আমার প্রতিবেশীর হাতে সংরক্ষিত নয়, আমার জমির দলিল, আমার সঞ্চয়ের টাকা আমি পরের লকাপে রেখে নিশ্চিত হতে পারছি না।বাংলাদেশে মেডিকেল টেকনোলজির জন্য আলাদা অধিদপ্তর হলে আমাদের প্রথম শ্রেণির নিয়োগ হবে।বিসিএস ক্যাডার হবে আমাদের মেডিকেল টেকনোলজিষ্টগণ।এমবিবিএস দ্বারা পরিচালিত অধিদপ্তর আমাদের জন্য স্বাধীনতা উত্তর ৫০ বছরে ১ টি ও প্রথম শ্রেণির পদায়ন করে নি।কারন তারা এখনো পাকিস্থানীদের মত মানসিকতা পোষন করে, আমাদের জিম্মি করে রাখতে চায়।এর কবল থেকে নার্সেরা ইতোমধ্য বেড়িয়ে এসেছে, তাদের আলাদা অধিদপ্তর হয়েছে, তাদের নিয়ে ভাবার জন্য তাদের নিজেদের ডিজি আছে, তাদের অধিদপ্তর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ১ম শ্রেণির নিয়োগ হয়েছে। নার্সেরা পিএইচডি করতেছে। http://dgnm.gov.bd নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সাইটের ঠিকানা এটা।

 

এই ৩ টা কাজ আমাদেরই বাস্তবায়ন করতে হবে, সেটা প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে ধরনা দিয়ে হবে না, নিজেদের চিন্তা চেতনার উন্নয়নের মাধ্যমে হবে। এতে পুরো এমটি জাতির স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহন চাই। আমি শুধু আপনাদের মাঝে, আপনাদের কানে, আপনাদের ব্রেইনে , আপনাদের ভেইন, আর্টারিতে এই ৩ টি কথা পৌছে দিতে চাই।

আজ আমি ৩ টি কথার সমন্বয়ে তৈরি করা একটা ফেসবুক কভার ফটো এখানে আপলোড দিব, যা আপনারা নিজেদের কভার ফটো হিসেবে সেট করবেন, শুধুমাত্র তারা যারা মুক্তি চান পেশাগত গোলামি থেকে।

আমি যুদ্ধ চাই না, আমি নিরব বিপ্লব চাই।

যারা যারা মনে করেন মেডিকেল টেকনোলজির উন্নয়ন প্রয়োজন/সম্ভব তারা এই কভার ফটো নিজের আইডিতে সেভ করবেন। আমাদের চিন্তা শক্তি মুক্তি পাক।

Leave a Reply