বিষাক্ত কাগজ -ফেরদৌস আহমদ।

বিষাক্ত কাগজ

ফেরদৌস আহমদ।

সন্ধ্যা রাতে তরুণী বসে, পড়ছে ক্লাসের পড়া

মাথা চুলকায় মাথা যে তার ,খুশকি উকুনে ভরা।

কাছে চিকন চিরুনি পেয়ে, মারতে লাগল মাথায়

উকুন খুশকি পড়তে লাগল, খোলা বইয়ের পাতায়।

বইয়ের পাতায় জ্যান্ত উকুন পিলপিলিয়ে হাটে

পিষে তাদের মারছে খুকি, শক্ত নখের পিঠে।

ধুলাবালি উকুন খুশকি হাজার ময়লা মাখা

বইখানিরে বছর শেষে বাক্সে হলো রাখা।

বিকেল বেলা খবর কাগজ পড়তে বসে দাদু

কোলে নিয়ে নাদুস নুদুস নাতনি সোনা যাদু।

হঠাৎ সোনা দাদুর কুলেই করে দিল সিসু

কিছুই তো নেই পেপার হল মুত্র মোছার টিস্যু।

ছোট্ট শিশুর সর্দি নাকে মুছতে ডাকে মা কে

মায়ের হাতের পেপার ছিল মারলো ঘষা নাকে।

মল মূত্র সর্দি মাখা ময়লা পেপার যত

তুলে রাখলো সেই বাক্সে ময়লা বইয়ের মত।

কাগজ বাঁধলো বাসা টিকটিকি ও উই

তেলাপোকা ইঁদুর বাবু সঙ্গে ইতর দুই।

বাসা বেঁধে ইঁদুর বাচ্চা দিচ্ছে মাসে মাসে

কাগজ মাখে প্রসবকালীন ময়লা রক্ত রসে।

বাথরুম নেই তেলাপোকার নেই কো ধোয়ার জল

এই কাগজেই ত্যাগ করে তাই মূত্র এবং মল।

হঠাৎ করে কাগজ কেনার হকার ব্যাটা এসে

টিকটিকিদের সুখের বাসা ভেঙ্গে দিল শেষে।

কিনে নিল পুরনো কাগজ হাজার ময়লা যাতে

পৌঁছে গেল আচার মুড়ি ফুচকাওয়ালার হাতে।

এই কাগজে আমরা সবাই খাবার রেখে খাই

দোহাই লাগে এমন কাজটি আর করো না ভাই।

পথের ধারে আচার দেখে জ্বিবে এল জল

মুখে নেস নে কাগজে ভাই তেলাপোকার মল।

ময়লা জেনেও কাগজে খাই আমরা আজব বোকা

সভ্য সাজের অন্তরালে ময়লা খাওয়ার পোকা।

Leave a Reply