১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর 3 একটি গাড়ী হাল এলরড, গাড়ীকে ধাক্কা দেয়।
দুর্ঘটনাটিতে তার শরীরের এগারোটি হাড় ভেঙ্গে যায় এবং তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ছয় মিনিট পর পুনরায় তার হার্টবিট শুরু হয়। ছয়দিন পর্যন্ত তিনি কোমায় ছিলেন। সপ্তম দিন তার জ্ঞান ফিরে এবং তার এই অবস্থা দেখে ডাক্তার জানায় সে কখনো চলাফেরা করতে পারবে না। কিন্তু হাল এলরড জীবনের কাছে হার মানেনি এই ঘটনার কয়েক বছর পর হাল একজন পেশাদার বক্তা, জনপ্রিয় লেখক এবং আলাট্রা মেরাথন দৌড়বিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। অনেকটা মৃত্যুর পর তিনি আবার বেচে উঠেন এবং বেচে উঠার পর ডাক্তারের সকল অনুমানকে মিথ্যে প্রমানিত করে আজ তিনি এই অবস্থানে পৌছান। হাল বলেন এর জন্যে সবচাইতে প্রথমে আপনাকে ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
কোমা থেকে উঠার পর তিনি ছয়টি প্রাত্যহিক অভ্যাস করেছিলেন যা তার জীবনকে বদলে দিয়েছিলো। যেগুলো তিনি প্রতিদিন অনুশীলন করতেন। এই সব তিনি শিখেছিলেন বিভিন্ন বই পড়ে এবং অন্যসব সফল মানুষদের কাছ থেকে। হাল এলরড তার সর্বাধিক বিক্রিত বই ‘দ্য মিরাকল মর্নিং’ এ তার এই সব অভ্যাসের কথা বর্ণনা করেন। আজ আমি আপনাদের সেই বই থেকে ভোরের ছয়টি অভ্যাসের কথা বলবো যা হাল প্রতিদিন অনুশীলন করতেন। এই অভ্যাসগুলো অনুসরণ করে আপনিও একজন সফল মানুষে পরিনত হতে পারেন।
এই ছয়টি অভ্যাস খুবই কার্যকরী ছিলো তাই লেখক এই অভ্যাসগুলো প্রতিদিন অনুশীলন করতেন। যখন তিনি এগুলো শুরু করেছিলেন তখন তার পনরো হাজার ডলার ধার ছিলো, নিজের বাড়িটিও বিক্রি হওয়ার উপক্রম হয়েছিলো। তিনি একদম স্বাস্থ্যহীন এবং বিষন্ন ছিলেন। এই ছয়টি সকালের অভ্যাস নিয়মিত শুরু করার পর দুমাসের মধ্যে তার উপার্জন দ্বিগুন হয়ে যায়। নিজের বাড়িটি বিক্রির হাত থেকে বাচান। কিছুদিন পরে সুস্থ্য হয়ে আলট্রা মেরাথন দৌড়বিদ হন এবং একজন সুখী মানুষও হন। সেই ব্যাক্তিটি যাকে ডাক্তার বলেছিলো কখনো চলতে পারবেনা। এসব এতো তাড়াতাড়ি হয়েছিলো যে হাল নিজেই অবাক হয়ে যান। তাই তিনি বইটির নাম রাখলেন ‘মিরাকল মর্নিং’ যার অর্থ দাড়ায় ‘অলৌকিক সকাল’। কারণ তার কাছে এগুলো অলৌকিকই মনে হচ্ছিলো। এবার আপনাদের সেই সকল অভ্যাসগুলোর কথা বলবো যা আপনি অনুসরন করবেন একদম রুটিন মাফিক।
এল্রোড পাঠকদেরকে প্রতিদিনের স্বাভাবিকের চেয়ে এক ঘণ্টা আগে উঠতে উৎসাহিত করে।
হ্যাল এলরড তার মিরাকল মর্নিং বই এ বলেছেন তিনি গবেষনা করে দেখেছেন যে, সফল লোকেরা দৈনিক ছয়টি কাজের একটি কাজ অন্তত করেন। এগুলাকে তিনি নাম দিয়েছেন
SAVERS
অর্থাৎ
এস = সাইলেন্স বা মেডিটেশন।
মানে ধ্যান, ইয়োগা অথবা প্রার্থনা করেন যা তাদের মস্তিককে শিথিল করে দিনের ভালো একটা শুরু দেয় এবং মস্তিককে সর্বোচ্চ কর্মক্ষম করে দেয়। প্রথমে লেখকের মনে হতো মেডিটেশন বা প্রার্থনা একটি ধর্মীয় ব্যাপার মাত্র যার সাথে সফলতার কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি গরেষনা করে এবং সফল মানুষদের জীবনী পড়ে জানতে পারেন মেডিটেশন এমন একটি হাতিয়ার যা সফল মানুষদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে।
এ = এফার্মেশন
এই কাজটি আপনি আপনার জীবনের লক্ষ্য লিখেও করতে পারেন। তিনটি কথা আপনি লিখতে পারেন;
১. আপনি আপনাকে কেমন দেখতে চান?
২. আপনি এই পরিবর্তনগুলো কেনো চান?
৩. এই কাজগুলো করার জন্য আপনি কি কি অঙ্গীকার করছেন?
এই কথাগুলো একটি ডায়েরিতে লিখুন এবং প্রতিদিন সকালে পড়ুন।
ভি = ভিজুয়ালাইজেশন বা নিজের স্বপ্ন গুলো ভাবা।
তৃতীয়টি হচ্ছে নিজের কল্পনা শক্তির ব্যবহার। নিজের সাথে কথোপকথোন এবং কল্পনা শক্তির ব্যবহার দুটো যেনো জময ভাইবোনের মতো। আপনার মনে হতে পারে এই দুটি একই বিষয়। কিন্তু আসলে দুটি সম্পূর্ণ আলাদা দুটি বিষয়। কথোপকথোন আপনাকে সাহায্য করে আপনার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাগুলোকে মনে রাখতে এবং আপনার শেষ ইচ্ছেগুলো কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা দেয় । ধরুণ কল্পনা হচ্ছে একটি দৃশ্য এবং কথোপকথোন হচ্ছে তার ধ্বনি বা আওয়াজ।
ই = এক্সারসাইজ বা বেয়াম করা। যে কোন সাধারন বেয়াম ও হতে পারে।
চতুর্থ অভ্যাস হচ্ছে শরীরচর্চা বা ব্যায়াম। আমরা সবাই জানি শরীরচর্চা আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরী। কিন্তু আমরা বেশীরভাগ মানুষই এটিকে এড়িয়ে চলি।
বিশ থেকে একুশদিন একটু কষ্ট করে সকাল সকাল উঠলেই এটি অভ্যাসে পরিনত হয়ে যাবে। সকালে ব্যায়াম করার অনেক বৈজ্ঞানিক উপকারিতা রয়েছে। ব্যায়াম করার ফলে আপনার মস্তিস্কে বেশী পরিমান অক্সিজেন যায় এবং এটি আপনার মস্তিস্কে এন্ডোরফিন রস নিঃস্বরণ করে।
আর = রিডিং বা পড়া। যে কোন ভালো বই এর একটা চ্যাপ্টার পড়া।
পঞ্চম অভ্যাসটি হচ্ছে পড়াশুনা করা। পড়াশুনা ব্যাক্তিগত উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে ভালো একটি উপায়। প্রতিদিন সকালে অন্তত দশপৃষ্ঠা বই পড়ার চেষ্টা করুন, এই হিসাবে আপনি বছর শেষে তিন হাজার ছয়শত পঞ্চাশ পৃষ্ঠা পড়ে ফেলবেন যেটি প্রায় সতরো আঠারোটি বইয়ের সমান। সত্যিই দেখুন একটি ছোটো প্রতিজ্ঞা আপনার জীবনে কতো বড়ো পরিবর্তন আনতে পারে।
এস = স্ক্রাইবিং বা লিখা। নিজের স্বপ্ন গুলো বা দৈনিক কি কাজ করতে হবে তা লিখে রাখা।
ষষ্ঠ এবং শেষ অভ্যাসটি হলো লেখা। প্রতিদিন সকালে কয়েক মিনিট ব্যয় করুন আপনার চিন্তা এবং আবেগগুলো লিখতে। এটি থেকে আপনি প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখবেন। এটিকে ইংরেজীতে ‘মর্নিং পেইজ’ বলে বাংলায় আমরা ‘ভোরের পত্র’ বলতে পারি। হাল এই পত্রটিকে দুই ভাগে লিখতেন প্রথম ভাগে লিখতেন ‘আজকের শিক্ষা’ অর্থাৎ এখন পর্যন্ত আমি কি কি শিখেছি আর কি কি পেয়েছি এবং দ্বিতীয় ভাগে লিখতেন নতুন পরিকল্পনা অর্থাৎ আরোও নতুন কি শিখতে হবে বা আরো কি করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি হালকে সাহায্য করেছিলো লক্ষ্যে অটুট থাকতে।
এই প্রাত্যহিক কার্যকলাপ অনুসরন করার জন্য আপনাকে যে কাজটি সর্বপ্রথম করতে হবে তা হচ্ছে ভোরে ঘুম থেকে উঠা। এই সব নিত্যকর্ম সকাল আটটার মধ্যে শেষ করতে হবে। যেমন এই বইটির বিকল্প শিরোনাম হলো ‘সকাল আটটার আগের ছয়টি অভ্যাস যা আপনার জীবনকে পরিবর্তন করবে’।
বইটির শেষে হাল তার পাঠকদের একটি ত্রিশ দিনের অলৌকিক সকালের প্রতিজ্ঞা করতে বলেছেন। তিনি বলেছেন একজন দ্বায়িত্বশীল পার্টনার খুজুন এবং দুজনেই একে অপরের সাথে প্রতিজ্ঞা করুন যে আপনরা দুজনই এই ত্রিশ দিনের প্রতিজ্ঞাটি পালন করবেন। দেখবেন কি হয়। আপনি তিনটি পর্যায় বুঝতে পারবেন। প্রথম দশদিন এই রুটিনটি অনেক কঠিন লাগবে। আপনাকে প্রতিদিন নিজের সাথে যুদ্ধ করতে হবে। তারপরের দশদিন স্বাভাবিক লাগবে এবং শেষ দশদিন থেকে আপনার ভালোলাগা শুরু হবে। আপনি এটি সব সময় করতে চাইবেন। তাই আপনিও এই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করার জন্য পার্টনার খুজুন এবং বদলে ফেলুন আপনার জীবন।
যদি আপনি আপনার দিনের শুরুটি ঘড়ির অ্যলার্মের বিরতি দিতে দিতে ঝিমুনি দিয়ে শুরু করেন তাহলে এই রুটিন কাজ করবেনা। এমন করলে আপনি আরো বেশী ক্লান্ত বোধ করবেন। এটি করলে আপনি গভীরভাবে ঘুমাতেও পারবেননা। বরং আপনি নিজের অজান্তেই আপনার অবচেতন মনকে তথ্য দিতে থাকবেন যে আপনি দিনটি শুরুই করতে চান না। যদি আপনি আপনার জীবনকে হ্যা বলতে চান তাহলে অ্যলার্মের বিরতি বাটনকে না বলুন।
“আপনার সকালে রুটিন বা এর অভাবটি আপনার জীবনের প্রতিটি একক ক্ষেত্রের সফলতার মাত্রা প্রভাবিত করে,” তিনি লিখেছেন। “মনোযোগী, ফলপ্রসূ, সফল সকাল দৃষ্টি নিবদ্ধ, উৎপাদনশীল, সফল দিন উৎপন্ন করে।” যে অপেক্ষাকৃত চাপ-মুক্ত সময়,
হ্যাল এলরোড আমেরিকার অন্যতম শীর্ষ কর্পোরেট এবং কলেজ মূল স্পিকার, খ্যাতি ব্যবসা অর্জনের একটি হল, আন্তর্জাতিক সাফল্য কোচ, একটি জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বিক্রয় ম্যানেজার, রেকর্ড-ব্রেকিং বিক্রয় রেপ, অতি ম্যারাথন রানার, কৃতজ্ঞ স্বামী এবং গর্বিত বাবা।
তিনি ট্রাকিং কোম্পানিগুলির জন্য পরামর্শ, নকশা এবং কোডিং জটিল প্রেরণ এবং লোড ম্যানেজমেন্ট অপ্টিমাইজেশান সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। জনাব এল্রোড বেলেভার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান তার স্নাতক ডিগ্রী অর্জন, এবং অস্টিন টেক্সাসের ইউনিভার্সিটি থেকে অপারেশন গবেষণা প্রকৌশল একটি বিজ্ঞান মাস্টার।
হ্যাল সারাদেশে কয়েক ডজন টিভি এবং রেডিও শোতে হাজির হয়েছেন এবং তিনি দ্য এডুকেশন অফ মিলিয়নেয়ার্স, সোল সিরিজের সর্বকালের সেরা বিক্রয়কৃত চিকেন স্যুপ, কাটিং এজ সেলস, দ্য 800 পাউন্ড গরিলা সহ অসংখ্য বইয়ের বৈশিষ্ট্য পেয়েছেন বিক্রয়, চেইনগুলি মুক্তি, সামনের সারিতে লিভিং কলেজ লাইফ, এবং লেখকের গাইড অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি বিল্ডিংয়ের জন্য কয়েকটি নাম লিখুন।
সকাল আটটার আগের ছয়টি অভ্যাস যা আপনার জীবনকে পরিবর্তন করবে
প্রথম অভ্যাসটি হলো ‘নিরবতা’। লেখকের কাছে নিরবতা মানে ধ্যান অথবা প্রার্থনা। বেশিরভাগ মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠেই রাজ্যের চিন্তায় মশগুল হয়ে যান। কেউ খবরের কাগজ পড়েন আবার কেউ ফেসবুকিংয়ে ব্যস্ত হয়ে যান। কিন্তু সফল মানুষেরা এগুলো করেন না। তারা সাধারনত সকালে ঘুম থেকে উঠে নিরব থাকেন। মানে ধ্যান, ইয়োগা অথবা প্রার্থনা করেন যা তাদের মস্তিককে শিথিল করে দিনের ভালো একটা শুরু দেয় এবং মস্তিককে সর্বোচ্চ কর্মক্ষম করে দেয়। প্রথমে লেখকের মনে হতো মেডিটেশন বা প্রার্থনা একটি ধর্মীয় ব্যাপার মাত্র যার সাথে সফলতার কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি গরেষনা করে এবং সফল মানুষদের জীবনী পড়ে জানতে পারেন মেডিটেশন এমন একটি হাতিয়ার যা সফল মানুষদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। বিলিওনিয়ার হ্যাচ ফান্ড ম্যানেজার রে ডালিও বলেন মেডিটেশন তার সফলতার এক নম্বর চাবিকাঠি। শুধুমাত্র তিনিই নন পৃথিবীর অনেক বড় বড় প্রধান নির্বাহী নিজেদের মস্তিস্কককে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মক্ষম এবং নিয়মানুবর্তিত রাখার জন্য মেডিটেশনকেই কৃতিত্ব দেন। এর জন্য সর্বপ্রথম যা করতে হয় তা হচ্ছে নিরবতার অনুশীলন।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে নিজের সাথে কথোপকথন। নিজের সাথে সুনিশ্চিতভাবে কথা বলা সফলতার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। এটি পেশাদার দৌড়বিদ, অভিনেতা এবং সফল উদ্যোক্তারা করে থাকেন। এই কাজটি আপনি আপনার জীবনের লক্ষ্য লিখেও করতে পারেন। তিনটি কথা আপনি লিখতে পারেন;
১. আপনি আপনাকে কেমন দেখতে চান?
২. আপনি এই পরিবর্তনগুলো কেনো চান?
৩. এই কাজগুলো করার জন্য আপনি কি কি অঙ্গীকার করছেন?
এই কথাগুলো একটি ডায়েরিতে লিখুন এবং প্রতিদিন সকালে পড়ুন।
তৃতীয়টি হচ্ছে নিজের কল্পনা শক্তির ব্যবহার। নিজের সাথে কথোপকথোন এবং কল্পনা শক্তির ব্যবহার দুটো যেনো জময ভাইবোনের মতো। আপনার মনে হতে পারে এই দুটি একই বিষয়। কিন্তু আসলে দুটি সম্পূর্ণ আলাদা দুটি বিষয়। কথোপকথোন আপনাকে সাহায্য করে আপনার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাগুলোকে মনে রাখতে এবং আপনার শেষ ইচ্ছেগুলো কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা দেয় । ধরুণ কল্পনা হচ্ছে একটি দৃশ্য এবং কথোপকথোন হচ্ছে তার ধ্বনি বা আওয়াজ।
আপনি যে কথোপকথোনগুলো করছেন বা লিখছেন তা অর্জন করার জন্য আপনাকে সেগুলো কল্পনা করতে হবে। উদাহরণসরূপ ধরুন আপনি একটি পরীক্ষা দিবেন। কল্পনা করুন আপনি কেমনভাবে প্রস্তুতি নিবেন। কল্পনা করুন আপনি অনেক রাত পর্যন্ত পড়ার টেবিলে বসে বই পড়ছেন, বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছেন, নোট তৈরি করছেন। অথবা মনে করেন আপনি পিয়ানো বাজানো শিখবেন। আপনি কল্পনা করুন আপনি পিয়ানোর কীবোর্ডে হাত রাখছেন। আপনার প্রিয় গানটি বাজাচ্ছেন। কল্পনা হচ্ছে ছোট ছোট সিঁড়ির মতো এটি আপনাকে সাহায্য করবে সকালের অনুশীলন শেষ হবার পর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সবার প্রথমে করতে। কথপোকথোন এবং কল্পনা শক্তির ব্যবহার আপনার প্রাত্যহিক কাজ সম্পর্কে আপনার ভাবনা বদলে দেবে।
চতুর্থ অভ্যাস হচ্ছে শরীরচর্চা বা ব্যায়াম। আমরা সবাই জানি শরীরচর্চা আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরী। কিন্তু আমরা বেশীরভাগ মানুষই এটিকে এড়িয়ে চলি। ব্যায়াম না করার জন্য আমাদের অনেক বাহানা থাকে তার মধ্যে সবথেকে প্রচলিত বাহানাগুলো হচ্ছে আজও অনেক দেরি হয়ে গেছে, আটটা বেজে গেলো এখন ব্যায়াম করে কি হবে, কাল থেকে শুরু করবো। এই বাহানা থেকে আপনাকে বের হতে হবে। আপনাকে সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। বিশ থেকে একুশদিন একটু কষ্ট করে সকাল সকাল উঠলেই এটি অভ্যাসে পরিনত হয়ে যাবে। সকালে ব্যায়াম করার অনেক বৈজ্ঞানিক উপকারিতা রয়েছে। ব্যায়াম করার ফলে আপনার মস্তিস্কে বেশী পরিমান অক্সিজেন যায় এবং এটি আপনার মস্তিস্কে এন্ডোরফিন রস নিঃস্বরণ করে। এতে আপনার চিন্তা অনেক স্বচ্ছ বা পরিস্কার হয়, আপনি ভালো বোধ করবেন, সারাদিনের জন্য আপনার কার্যক্ষমতা বেড়ে যাবে। ব্যায়াম করার জন্য লেখক ব্যায়ামাগারে যেতে বলেননি। আপনি পার্কে যেতে পারেন, বাসার আশেপাশে কোনো মাঠে অথবা বাসায়ই ব্যায়াম করতে পারেন। কোনো যন্ত্রের দরকার নেই খালিহাতে ব্যায়াম যেমন: দৌড়, বুকডন এবং খালিহাতের অন্যান্য ব্যায়ামগুলো করতে পারেন।
পঞ্চম অভ্যাসটি হচ্ছে পড়াশুনা করা। পড়াশুনা ব্যাক্তিগত উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে ভালো একটি উপায়। প্রতিদিন সকালে অন্তত দশপৃষ্ঠা বই পড়ার চেষ্টা করুন, এই হিসাবে আপনি বছর শেষে তিন হাজার ছয়শত পঞ্চাশ পৃষ্ঠা পড়ে ফেলবেন যেটি প্রায় সতরো আঠারোটি বইয়ের সমান। সত্যিই দেখুন একটি ছোটো প্রতিজ্ঞা আপনার জীবনে কতো বড়ো পরিবর্তন আনতে পারে।
ষষ্ঠ এবং শেষ অভ্যাসটি হলো লেখা। প্রতিদিন সকালে কয়েক মিনিট ব্যয় করুন আপনার চিন্তা এবং আবেগগুলো লিখতে। এটি থেকে আপনি প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখবেন। এটিকে ইংরেজীতে ‘মর্নিং পেইজ’ বলে বাংলায় আমরা ‘ভোরের পত্র’ বলতে পারি। হাল এই পত্রটিকে দুই ভাগে লিখতেন প্রথম ভাগে লিখতেন ‘আজকের শিক্ষা’ অর্থাৎ এখন পর্যন্ত আমি কি কি শিখেছি আর কি কি পেয়েছি এবং দ্বিতীয় ভাগে লিখতেন নতুন পরিকল্পনা অর্থাৎ আরোও নতুন কি শিখতে হবে বা আরো কি করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি হালকে সাহায্য করেছিলো লক্ষ্যে অটুট থাকতে।
এই প্রাত্যহিক কার্যকলাপ অনুসরন করার জন্য আপনাকে যে কাজটি সর্বপ্রথম করতে হবে তা হচ্ছে ভোরে ঘুম থেকে উঠা। এই সব নিত্যকর্ম সকাল আটটার মধ্যে শেষ করতে হবে। যেমন এই বইটির বিকল্প শিরোনাম হলো ‘সকাল আটটার আগের ছয়টি অভ্যাস যা আপনার জীবনকে পরিবর্তন করবে’। যদি আপনি আপনার দিনের শুরুটি ঘড়ির অ্যলার্মের বিরতি দিতে দিতে ঝিমুনি দিয়ে শুরু করেন তাহলে এই রুটিন কাজ করবেনা। এমন করলে আপনি আরো বেশী ক্লান্ত বোধ করবেন। এটি করলে আপনি গভীরভাবে ঘুমাতেও পারবেননা। বরং আপনি নিজের অজান্তেই আপনার অবচেতন মনকে তথ্য দিতে থাকবেন যে আপনি দিনটি শুরুই করতে চান না। যদি আপনি আপনার জীবনকে হ্যা বলতে চান তাহলে অ্যলার্মের বিরতি বাটনকে না বলুন।
বইটির শেষে হাল তার পাঠকদের একটি ত্রিশ দিনের অলৌকিক সকালের প্রতিজ্ঞা করতে বলেছেন। তিনি বলেছেন একজন দ্বায়িত্বশীল পার্টনার খুজুন এবং দুজনেই একে অপরের সাথে প্রতিজ্ঞা করুন যে আপনরা দুজনই এই ত্রিশ দিনের প্রতিজ্ঞাটি পালন করবেন। দেখবেন কি হয়। আপনি তিনটি পর্যায় বুঝতে পারবেন। প্রথম দশদিন এই রুটিনটি অনেক কঠিন লাগবে। আপনাকে প্রতিদিন নিজের সাথে যুদ্ধ করতে হবে। তারপরের দশদিন স্বাভাবিক লাগবে এবং শেষ দশদিন থেকে আপনার ভালোলাগা শুরু হবে। আপনি এটি সব সময় করতে চাইবেন। তাই আপনিও এই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করার জন্য পার্টনার খুজুন এবং বদলে ফেলুন আপনার জীবন।
জনাব হ্যালো এলরড হোয়াইটফাস ইনকর্পোরেশন টেকনোলজির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এন্টারপ্রাইজ জনাব এল্রোড হোয়াইটফেন্সের সকল প্রযুক্তির জন্য দায়ী, অবকাঠামো এবং কোর ইকাম্যান্স সফটওয়্যারের প্রসারসহ। জনাব Elrod শক্তি প্ল্যাটফর্ম এবং ইলেকট্রনিক ট্রেডিং বৃহত আকারের সিস্টেম উন্নয়ন একটি পটভূমি আছে।জনাব এল্রোদ ইন্টারনেট পণ্য ওয়েবসাইট Pricelock এ পরামর্শ থেকে হোয়াইটফাসে এসেছিলেন, যেখানে তিনি প্রধান প্রযুক্তিবিদ হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং কোম্পানির বাণিজ্যিক লঞ্চ পরিচালনা করেছিলেন। জনাব এল্রোড শক্তি ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান যেমন সান্ত্রিক / ডাইরেক্ট এনার্জি, রয়টার্স এবং এনরন, এর মধ্যে সিনিয়র প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা পদে রয়েছে।বিশিষ্টতা তার এলাকায় যেমন পণ্য যেমন বিদ্যুৎ, প্রাকৃতিক গ্যাস, কাঠ সজ্জা এবং কাগজ জন্য বাণিজ্য মৃত্যুদন্ড এবং পোস্ট বাণিজ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য সিস্টেম হয়েছে। তিনি ট্রাকিং কোম্পানিগুলির জন্য পরামর্শ, নকশা এবং কোডিং জটিল প্রেরণ এবং লোড ম্যানেজমেন্ট অপ্টিমাইজেশান সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। জনাব এল্রোড বেলেভার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান তার স্নাতক ডিগ্রী অর্জন, এবং অস্টিন টেক্সাসের ইউনিভার্সিটি থেকে অপারেশন গবেষণা প্রকৌশল একটি বিজ্ঞান মাস্টার।
বানিজ্যিক প্রধান শাখা
5333 ওয়েস্টহিমের
হিউস্টন, টেক্সাস 77056
যুক্তরাষ্ট্র
HATechnically, Hal Elrod Has Died 3 Times
হঠাৎ এলরড বলেছিলেন যে তিনি তার জীবনে দুবার নিচে আঘাত করেছেন: তার ভয়ঙ্কর 1990 অটোমোবাইল দুর্ঘটনার পর এবং আবার গ্রেট রিসেশনের সময় চরম আর্থিক বিপর্যয়ের পরেও।Elrod দ্বিতীয় হরিণ অভিজ্ঞতা ছিল দ্বিতীয় বলছেন। “দুর্ঘটনার পর অনেক লোক আমাকে দেখাশোনা করছিল,” তিনি বলেন। কিন্তু ২008-09 সালে “আমি অনুভব করলাম যে আমি আমার নিজের আর্থিক সমস্যায় আছি।”
ইনি হলেন হ্যাল এলরড 1990 তেসরা ডিসেম্বর একটি গারি তাকে ডা মৃত বলে 6 মিনিট পর পুনরায় হার্টবিট শুরু হয় 6 কোমায় থাকে 7 দিন গআন ফিরে ডা বলে সে কখনো চলাফের করতে পার্বেনা 11টি হ্ার HA
জীবনে দুবার নিচে আঘাত করেছেন: তার ভয়ঙ্কর 1990 অটোমোবাইল দুর্ঘটনার পর এবং Elrod দ্বিতীয় হরিণ অভিজ্ঞতা ছিল দ্বিতীয় বলছেন। “দুর্ঘটনার পর অনেক লোক আমাকে দেখাশোনা করছিল,” তিনি বলেন।
আর্থিক বিপর্যয়ের – কিন্তু ২008-09 সালে “আমি অনুভব করলাম যে আমি আমার নিজের আর্থিক সমস্যায় আছি।
সৌভাগ্যবশত, তিনি সত্যিই একা ছিলেন না। তার বন্ধু জন বের্ঘফের সহায়তায়, এল্রোড আক্ষরিকভাবে বিছানা থেকে নিজেকে দৌড়ে বাইরে চলে যেতে বলেছিলেন।
বের্ঘফের ব্যায়ামের বেনিফিট এলরড একটি ঘন্টা-দীর্ঘ সকালের রুটিনের উপকারিতা বিবেচনা করে, যা তিনি তাঁর সর্বশেষ বই, দ্য মুরক্কাল মর্নিং-এর বিস্তারিত বর্ণনা করেন।
এর কয়েক বছর পর বেস্ট motivation স্পিকার ,book সেলার writer মারথন রানার
এল্রোড পাঠকদেরকে প্রতিদিনের স্বাভাবিকের চেয়ে এক ঘণ্টা আগে উঠতে উৎসাহিত করে। “আপনার সকালে রুটিন বা এর অভাবটি আপনার জীবনের প্রতিটি একক ক্ষেত্রের সফলতার মাত্রা প্রভাবিত করে,” তিনি লিখেছেন। “মনোযোগী, ফলপ্রসূ, সফল সকাল দৃষ্টি নিবদ্ধ, উৎপাদনশীল, সফল দিন উৎপন্ন করে।” যে অপেক্ষাকৃত চাপ-মুক্ত সময়, হ্যাল এলরড তার মিরাকল মর্নিং বই এ বলেছেন তিনি গবেষনা করে দেখেছেন যে, সফল লোকেরা দৈনিক ছয়টি কাজের একটি কাজ অন্তত করেন। এগুলাকে তিনি নাম দিয়েছেন
SAVERS
অর্থাৎ
এস = সাইলেন্স বা মেডিটেশন।
এ = এফার্মেশন
ভি = ভিজুয়ালাইজেশন বা নিজের স্বপ্ন গুলো ভাবা।
ই = এক্সারসাইজ বা বেয়াম করা। যে কোন সাধারন বেয়াম ও হতে পারে।
আর = রিডিং বা পড়া। যে কোন ভালো বই এর একটা চ্যাপ্টার পড়া।
এস = স্ক্রাইবিং বা লিখা। নিজের স্বপ্ন গুলো বা দৈনিক কি কাজ করতে হবে তা লিখে রাখা।
S.A.V.E.R.S
SILENCE,
AFFIRMATION
VISUALIZATION
EXERCISE
READING
SCRIBING
সে তার জীবন এসএ.ভি.এ.আর.এস.এস. কার্যক্রম.
6 morning habits
এস = সাইলেন্স বা মেডিটেশন।
SILENCE,
চিত্তাকর্ষক, যার দ্বারা তিনি ধ্যান, প্রার্থনা, প্রতিফলন, গভীর শ্বাস বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, পৃথকভাবে বা সংমিশ্রণ করা হয়। “যদি আপনি অবিলম্বে আপনার চাপের মাত্রা কমাতে চান- শান্ত স্বচ্ছতার এবং মনস্তাত্বিক মনোযোগ দিয়ে প্রতিদিন শুরু করতে পারেন যা আপনাকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার অনুমতি দেবে- বেশিরভাগ মানুষ কি করে বিপরীত কাজ করে: উদ্দেশ্যপূর্ণ সময়ের সাথে প্রতিটি দিন শুরু করুন নীরবতা। “
এ = এফার্মেশন
AFFIRMATION
1.নিজেকে কেমন ভা্বে দেখতে চান ?
2.এই পরিবর্তন গুলো কেন চান ?
3.ওই সব কাজগুলোর জন্য কি কি করতে পারবেন ?
অ্যাফরিমেশন, একটি ইতিবাচক, আত্মবিশ্বাসী মনোভাব তৈরি করার জন্য নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক বিবৃতি পুনরাবৃত্তি করার সময়–পরীক্ষিত অনুশীলন। গবেষণা উদ্ধৃত করে দেখায় যে 70 শতাংশ নারী স্ব–নিঃশব্দে হাস্যরস ব্যবহার করে এবং 77 শতাংশ আত্ম–নিপীড়নমূলক কথা বলে, এলরড যুক্তি দেন যে একজন ব্যক্তির প্রোগ্রামিং যে কোনও সময়ই পরিবর্তন করা যেতে পারে। কি ভুল হয়েছে উপর ফোকাস এর পরিবর্তে, বার বার নিজেকে বলুন “আপনি হতে চান, আপনি কি সম্পন্ন করতে চান এবং কিভাবে আপনি এটি সম্পন্ন করতে যাচ্ছেন।”
ভি = ভিজুয়ালাইজেশন বা নিজের স্বপ্ন গুলো ভাবা।
VISUALIZATION
Read More: মুক্তমতের প্রকাশ ও মুক্তমনাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দের তালিকা
long term goal দিতে সাহায্য করে
মাদের সংঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ
বিশ্লেষণ, একটি অভ্যাস “নির্দিষ্ট ফলাফল এবং আচরণ মানসিক ছবি তৈরি করতে আপনার কল্পনা ব্যবহার করে আপনার বাইরের বিশ্বের ইতিবাচক ফলাফল উৎপন্ন করতে চাইছেন।”
ই = এক্সারসাইজ বা বেয়াম করা। যে কোন সাধারন বেয়াম ও হতে পারে।
EXERCISE
ব্যায়াম। “এমনকি কয়েক মিনিটের মধ্যেই আপনার শক্তি বৃদ্ধি পাবে, আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পাবে এবং আত্মবিশ্বাস ও মানসিক সুস্থতা বাড়বে এবং আরও ভাল চিন্তা এবং দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ দেবে।”
আর = রিডিং বা পড়া। যে কোন ভালো বই এর একটা চ্যাপ্টার পড়া।
READING 10
পড়া চালিয়ে যান। বিশেষত, নেপোলিয়ন হিল দ্বারা রিচ দ্বারা চিন্তা এবং বৃদ্ধির মত আর্থিক ব্যক্তিগত উন্নয়নমূলক বই পড়া বা গ্যারি ডি চ্যাপম্যান দ্বারা দ্য 5 প্রেম ভাষা মত সম্পর্ক স্ব-সহায়তা বই পড়া। Elrod কমপক্ষে 10 পৃষ্ঠা একটি দিন প্রস্তাবিত।
SCRIBING
এস = স্ক্রাইবিং বা লিখা। নিজের স্বপ্ন গুলো বা দৈনিক কি কাজ করতে হবে তা লিখে রাখা। LEASON AND LEARN
SCRIBING। Elrod যে এস পৌঁছানোর একটি থিসরাস প্রয়োজন স্বীকার, যা জার্নালিং ইঙ্গিত।”আপনার মাথা থেকে চিন্তা এবং লিখিত তাদের নির্বাণ দ্বারা, আপনি লাভজনক অন্তর্দৃষ্টি লাভ