এমপিওভুক্তির দাবিতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছেন পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব নতুন শিক্ষকরা। আজ সকালে তারা এই মানববন্ধন করেন। পরে মানববন্ধনে অধিপ্তরের একজন কর্মকর্তা আসেন। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা জানান, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত সুপারিশপত্রের ৪ নং পয়েন্টে ৩৯০০/২০১৯ নং মামলার রায় অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১২ জুনের পূর্বে যারা শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ অর্জন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে বয়স শিথিলযোগ্য।
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২২ এপ্রিল
সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকায় আমরা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত হই। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সহযোগিতায় আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এমপিওর জন্য আবেদন করি। তবে মাদ্রাসা অধিদপ্তরের সেন্ট্রাল পোগ্রামার থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মতো মার্চ মাসেও আমাদের এমপিও ফাইল গণহারে রিজেক্ট করে দেয়া হয়েছে।
এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন আমাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি। যা আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের পরিপন্থী। শিক্ষকরা আরও জানান, এমপিও না হওয়ার কারণে করোনা পরবর্তী সময়ে তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকেই নিজ বাড়ি থেকে ৭০০/৮০০ কিলোমিটার দূরে চাকরি করছেন। বাসা ভাড়া থেকে শুরু করে সবকিছুই নিজ খরচে বহন করতে হচ্ছে। যা অত্যন্ত কষ্টকর। এই অবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের এমপিওভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।