অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামের বালক স্বরূপ স্থাপিত হয়েছে এবং ২২ জানুয়ারি সেই মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়েছে। শ্যাম বর্ণের রামলালার মূর্তি স্থাপিত হয়েছে মন্দিরের গর্ভগৃহে। রামলালার মূর্তির বিশেষত্ব ইতিমধ্যে সকলের চোখে পড়েছে। উল্লেখ্য রামলালার মূর্তি কেন কালো সে বিষয়ে রামায়ণে উল্লেখ পাওয়া যায়।
যেখানে বলা হয়েছে রামচন্দ্র শ্যামল বর্ণের ছিলেন। রামলালার এই মূর্তি কালো রঙের শালীগ্রাম পাথর দিয়ে তৈরি। শালীগ্রাম রূপেও বিষ্ণু পূজিত হন। আবার রাম বিষ্ণুর অবতার। তাই অযোধ্যা রাম মন্দিরে স্থাপিত রামলালার মূর্তি শালীগ্রাম পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। রামলালারপ মূর্তির পাশাপাশি মন্দির নির্মাণেও বিশেষ বিষয়ে নজরে রাখা হয়েছে। এই মন্দিরের ২০০০ হাজার ফুট গভীরে এক বিশেষ জিনিস রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও রাম মন্দিরের নানান বিশেষত্ব চোখে পড়ে। সেগুলি এখানে তুলে ধরা হল।
অযোধ্যা রাম মন্দির ও রামলালার মূর্তির বিশেষত্ব
- রাম মন্দির নির্মাণে কোনও লোহা বা স্টিলের ব্যবহার করা হয়নি।
- গর্ভগৃহে যে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে, সেটিকে তামার পাইপ দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে। তামার সঙ্গে যুক্ত করে মূর্তি স্থাপন করানোর ফলে মূর্তিতে প্রতিনিয়ত শক্তির সঞ্চার হবে।
- মন্দিরের ছাদের পাথরে জোড়া লাগানোর জন্য তামার ধাতুর ব্যবহার করা হয়েছে। তামা দীর্ঘদিন ভালো ও মজবুত থাকে। যার ফলে মন্দিরের ছাদ দীর্ঘদিন পর্যন্ত মজবুত থাকবে।
- অভিজ্ঞদের মতে গর্ভগৃহের ২০০০ ফুট নীচে একটি ক্যাপসুল লোকানো হয়েছে। এতে রামায়ণ সংক্রান্ত কিছু প্রমাণ বর্তমান। যা বহু বছর ধরে নিরাপদ থাকবে।
- একটি মাত্র শালীগ্রাম পাথর দিয়ে রামলালার মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। এই মূর্তি নির্মাণে অন্য কোনও পাথর ব্যবহৃত হয়নি।
- রামলালার মূর্তিতে বিষ্ণুর দশম অবতার খোদাই করা হয়েছে। মাঝখানে রামলালা ও তাঁর চার পাশে বিষ্ণুর অন্যান্য অবতার যেমন মৎস্য, কুর্ম, বরাহ, নরসিংহ, পরশুরাম, কৃষ্ণ, কল্কি