Mysterious Suicide ” #পর্ব_১

বড় আপুর মৃত্যুটা হয়েছিলো খুব রহস্য জনক ভাবে! বাবার জোরাজোরি তে যদি ময়নাতদন্ত করা না হতো তাহলে এই রহস্যের সামান্য পরিমাণও আমরা জানতে পারতামনা।
গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো বড় আপু! তাও আবার কদঁম গাছের সাথে। এখানে বেশকিছু অদ্ভুত বিষয় হলো,
১) কদম গাছটি ছিলো বাড়ীর পেছনে পুকুর ধারে, পুকুর ধারে বললে ভুল হবে মুলত পুকুরের মাঝখানে।
বর্ষায় পুকুরের পানি বাড়ার কারনে মনে হয় গাছটা পুকুরের মাঝখানে।
বড় আপু সাতার জানতোনা। আর গাছের কাছে যেতে হলে সাতার জানা আবশ্যক!
২)গাছটি ছিলো অনেক পুরোনো তাই অনেক লম্বা! আপুর উচ্চতা ছিলো ৫ ফিট ২! এতো উপরে রশ্মি লাগানো তার জন্য ছিলো অসম্ভব! তাও আবার পানির উপরে!
৩) ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আপুর মৃত্যুর সময় রাত ২ঃ৫০ মিনিট। যে মেয়ে অন্ধকার কে ভয় পেয়ে সারারাত রুমে লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাতো, সে যাবে মাঝরাতে বাড়ির পেছনের পুকুরে ফাঁস দিতে!! বিষয়টা সত্যি অদ্ভুত!

তারথেকেও বড় কথা আপুর মৃত্যু নাকি গলায় দরি দেওয়ার কারনে হয়নি!!
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী,
৪) আপুর মৃত্যু হয়েছে গলা কাটার পর শ্বাস বন্ধ এবং রক্ত পাতের কারনে! এবং গলা টা কাটা হয়েছিলো ভেতর থেকে!!!
গলার বাইরে কোনো ক্ষতের চিহ্ন ছিলোনা! যা ছিলো খুবই রহস্যময়!!
৫) আপু ছিলো অবিবাহিত, আপু নাকি ২ মাসের অন্তঃস্বত্বা! ছিলো কিন্তু তার গর্ভে কোনো সন্তান ছিলোনা! একটা বাচ্চা গর্ভে থাকলে যা যা হয় সব হয়েছিলো শুধু বাচ্চাটাই ছিলোনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আপু ইতোপূর্বে কারো সাথে শারিরীক মিলনে লিপ্ত হয়নি।
যা ছিলো সত্যিই অবিশ্বাসযোগ্য।
আপুর মৃত্যুর পর পরিবারের আমরা সবাই খুব ভেঙে পরেছিলাম। প্রানবন্ত একটা মেয়ে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে কি থেকে কি হয়ে গেলো!
সবথেকে বেশি ভেঙে পরেছিলো বাবা। মায়ের মৃত্যুর কষ্ট টা সামলে না উঠতেই আপুর মৃত্যু বাবাকে পুরোপুরি ভেঙে দিয়েছিলো!!
আপুর মৃত্যুর কয়েক মাস আগের ঘটনা,
কলেজে রাজনৈতিক কি এক ঝামেলার কারনে……
চলবে……
Mysterious Suicide “
Source: Bhoot Story – ভুত স্টোরি fbpage

Leave a Reply